আজ সারাদিনে সরকারী অফিসগুলোতে অনেক ভালো অভিজ্ঞতা হলো (কিছুটা অপ্রত্যাশিত ছিল যদিও)। কথোপকথনগুলোর অংশবিশেষ তুলে দিলাম নিচে। পেশাদার আচরণ, অতিরিক্ত ভাব বর্জিত, সহযোগীতামুলক মনোভাব নিয়ে বেশ সৎভাবেই কাজ করে যাচ্ছিলেন সবাই।
সোনালী ব্যাংক (নিউমার্কেট শাখা)
=================
> ভাই, ট্রেজারী চালানের ফর্ম কোথায় পাওয়া যায়?
> ওই যে দেখেন করিডোরে শাড়ি পরা, উনি দিবেন।
--
> ম্যাডাম এখানে চালানের ফর্ম দেয়া হয়?
> এই যে, নেন।
--
ফর্ম পূরণ করা হলো, কাউন্টারে টাকা জমা দেয়ার পালা। কাউন্টারের সামনে ঘোরাফেরা করতে দেখে কাউন্টার স্টাফের ডাক,
> এই যে, ট্রেজারী চালানের টাকা এখানে জমা দেন (লাঞ্চে যাওয়ার অপেক্ষায় উনি)।
--
টাকা জমা হয়ে গেল, রশিদও পেয়ে গেলাম।
*তিনকপি ফর্ম ফটোকপি বাবদ ৫/- চার্জ ও চাইলোনা কেউ (!!)।
ডি এম পি থানা (নীলক্ষেত)
==============
গাড়ির সাথে রাইফেল হেলান দিয়ে রেখে আয়েশি মুডে দাঁড়িয়ে আছেন একজন পুলিশ সদস্য।
> আসসালামু আলাইকুম, ভাই, ডি এম পি হেডকোয়ার্টার্সে কিভাবে যাবো?
> সদন্ত অমায়িক হাসি দিয়ে উত্তর- এইখান থেইকা তো গাড়ি-ঘোড়া পাইবেননা, একটা রিকশা নেন। পরীবাগ পর্যন্ত যান, ওইখানে মোড়ে দেখবেন একটা ওভারব্রীজ আছে, রাস্তা পার হইয়া হাতের ডানদিকে যাবেন। ওইখানে কাউরে জিগাইলে দেখায়া দিবো।
> থ্যাংক ইউ ভাই।
ডি এম পি হেডকোয়ার্টার্স
=============
গেটে গার্ডের সাথে মোলাকাত-
> এই যে বড় ভাই কী খবর (!!)।
> আমি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করতে এসেছি।
> ওও, ঐ যে ডানদিকের রুমটা ওখানে যান।
> আচ্ছা ভাই থ্যাংক ইউ।
ওয়ান স্টপ সার্ভিস রুম। কাউন্টারে পুলিশ সদস্যের হাতে সংযুক্তিসহ আবেদনপত্র দেয়ার পর-
> পাসপোর্টের কপি দেন।
> এই যে (দ্বিতীয় কপি, প্রথম কপি উনি খেয়াল করেননি)।
> কোন থানায় ভেরিফিকেশন হবে?
> কখগ থানা।
> এই যে এটা নেন (অতিরিক্ত ফটোকপি ফেরত দিলেন এখন )
টিকেট হাতে ধরিয়ে দিলেন।
> ডেলিভারীতো এখান থেকে নিতে হবে, নাকি?
> না, কুরিয়ারে আপনার বাসায় পৌঁছে দেয়া হবে।
আর কথা না বাড়িয়ে পরের জনের ডকুমেন্ট হাতে নিলেন।
=============
ফেরার পথেই ভাবছিলাম কোথাও-কোথাও যেকোনভাবেই হোক পরিবর্তনগুলো হচ্ছে, যার স্বীকৃতি প্রয়োজন, উৎসাহ দেয়ার প্রয়োজন। সাধুবাদ রইলো। সবাই নিজ জায়গা থেকে ঠিকভাবে কাজ করলেই অনেক বড় ধরণের পরিবর্তন সম্ভব । শুভকামনা সবার জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭