ঢাকাসহ সারা দেশে টার্গেট কিলিং বেড়ে যাওয়ায় উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশেষ কোনো গোষ্ঠী কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে এগুলো ঘটাচ্ছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অপরাধীদের চিহ্নিত করতে পারছেন না। ফলে উৎকণ্ঠা আরও বাড়ছে। তাদের মতে হঠাৎ এই খুনোখুনির মধ্যে দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার মতলব থাকতে পারে। অপরাধগুলোর বিচার করতে না পারলে পরিস্থিতির পরিবর্তন করা সম্ভব হবে না। জানা যায় একই কায়দায় গত দুই তিন দিনে চারজন খুনের শিকার হয়েছেন। সোমবার খুন হয়েছেন ইউএসএআইডির কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান এবং নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বী তনয়। তার দুই দিন আগে রাজশাহীতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও সংস্কৃতিকর্মী এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তার আগের দিন গোপালগঞ্জে কুপিয়ে মেরে ফেলা হয় পরমানন্দ সাধু নামে এক পুরোহিতকে। চলতি মাসে ঢাকায় একইভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাজিমুদ্দিন সামাদ।
এ ছাড়াও প্রতিদিন কম আর বেশি খুন হচ্ছে দেশের অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট থাকা ব্লগার সহ বিভিন্ন লেখক প্রকাশক । একই ভাবে শিয়া, আহমদিয়া সম্প্রদায়ের পাশাপাশি বিদেশি এবং যাজক পুরোহিতরাও এসব খুনের পাল্লায় পড়ছেন । আর এসব হত্যাকাণ্ডের পর আইএস কিংবা আল-কায়েদার নামে দায় স্বীকারের বার্তা এলেও তা ভুয়া বলে উড়িয়ে দিয়ে পুলিশ বলছেন বাংলাদেশি জঙ্গিরাই এসব ঘটাচ্ছে।
তাছাড়াও সরকারি দলের নেতা কর্মিদের দাবী সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্যই নাকি হঠাৎ করে ঢাকা সহ সারাদেশের এসব খুনখুনী
বেড়ে গেছে ।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৯