ঈশ্বরবিষয়ক সোজাসাপ্টা সাত!
_____________________
১,
যখন আমি ঈশ্বরের কাঁধে
তখন তিনি নামেন ধরার বুকে
যখন তিনি একাকীত্বে ভুগেন
আমি তখন ঘোষণা দিই নিজের ঈশ্বরত্বের!
২,
ঈশ্বরকে গাল দেয়া খুব সোজা
চলুন গাল দিই ঈশ্বরকে,
সে আনমনে গাল শোণে-
শেষ বিকেলে ঠিকই তোমাকে ভেবে
পূরণ করতে বসবে যাবতীয় চাওয়া-পাওয়ার নিকেশ!
৩,
আলগোছে ছুঁয়ে যায় নিস্কলুষ হাত
শিউরে ওঠি ফের তোমাকে ভেবে
তুমি যেন ঈশারায় ডাকা এক সতেজ ভোর
তবু বারবার কেন অন্তহীন বিস্ময়;
তোমাকে ভাবি বলে মাঝে মাঝে তোমাকে খুঁজি
চোখে চোখে অন্তঃর্জন আর ঐশ্বরিক হাত
ঈশ্বর হয়েছো বলে ফি-দিন কান পেতে শুনি
তোমার সুমিষ্ট কলহাসি।
৪,
যে শুরু করেছিল পথচলা তার জন্মকাল থেকে
তার জন্মের কোন ঠিকানাও পায়নি কেউ
নিজহাতে গড়া নিজের অবয়ব আর অপরাপর সব
যত্ম করে রাখে সে মনের শো-কেসে।
কত ঝঞ্ঝা দেখো ছুটে যায় পাগলা গারদে
কত কী যে আঁতিপাতি নিয়ন্ত্রণবৃত্তে
কত কী হয়ে যায় বরফকাল
তবু হিম-হিম মগজে দেখেছি শুধু উত্তরীয় প্রেম।
আমার মগজে আমিই থাকি তোমাতে দেখেছি আ-পৃথিবী
আমি আমার বিরাগ হলেও তুমি যে অন্যজাতের
তাই ফি-দিন তোমাতে এসেই করে যাই
আগাগোড়া আত্মসমর্পণ।
৫,
কোন সূঁতো ধরে টান দিলে কেন্দ্রবৃত্তকেও কাছে টানা যায়
জানতে চাওয়া যায় কোন উদভ্রান্ত বৃদ্ধা থেকে
যার কোটি মাইলের অর্জন খাঁ-খাঁ হাত।
তার যদিও সখ্যতা ছিল ঈশ্বরের সাথে তবু
পথ হারিয়েছিলো সে কোন এক ভুলের ফেরে।
ভুলে ভুলে যে জীবন যায় তার পথ ধরে হাটতে গেলে
ফি-দিন সে উদভ্রান্ত্র বৃদ্ধার মতো আমরাও চলে আসি তোমার কাছে
তুমি পৃথিবীর মতো আমাদের আগলে রাখলেও
আমরা চলে যাই তোমাকে ছেড়ে,ভরসার ছাঁদ রেখে।
তুমি ঈশ্বর হয়েছো;ঈশ্বরের রূপ ধার করেছো নিজ থেকে
বিয়ে করেছো পৃথিবীর মা'কে, তাই
পৃথিবীও রাঙিয়েছে আমায় অশেষ আলোয়।
৬,
আমাদের দিন নামলে আমরা ব্যস্ত হয়ে যাই
আমাদের রাত নামলে আমরা ব্যস্ততা গিলে ফেলি
অপরাপর দিন-রাত হাঁ করে বসে থাকে
আমরা উপভোগ করতে বসে যাই বিশালাকার হাঁ।
আমাদের ভুলে যাওয়া কালে আমরা ঈশ্বরের কাছে হাত পেতেছিলাম
ঈশ্বরও আমাদের নিরাশ করেনি তাই বারবার ফিরে যাই তার কাছে
তিনি বড়ো সংক্রামক- হাই তোলার মতো!
দিনশেষে আমি বাড়ি ফিরি
ঈশ্বরও মাঝে মাঝে আমার বাড়ি বেড়াতে আসেন!
৭,
সব কাহিনী কাহিনীতে মিশে গেলে বাকি থাকে কেউ কোনজন
যে জায়নামাজের সামনে দাঁড়ায় উদার জমিন হয়ে
আমাকে ফি-দিন নতমস্তকে আসতে বলে ভোর হয়ে গেলে
আমি বারবার ভুলে যাই তবু রোজ রোজ দাঁড়ায় সে আমার দ্বারে
আমি দ্বার বন্ধ করে আমাকে আগলাই আমা থেকে; পূণর্বার।
আমার কাহিনী আমার মাঝে জমা হয় নিয়ম করে
আমি ভাংতে পারি না সে নিয়মের ফের, তাই
আমি যোগ দিয়েছিলাম যার দলে সে আমাকে ছাড়ে
আমি কী তবে তোর ছিলাম বলে বারবার ফিরি তোর দলে!