বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ , ভারতীয় সরকারের পছন্দের দল। ভারত সরকার সবসময় চায়, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকুক।
আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ভারতে ডক্টরেট ডিগ্রী গ্রহন করতে গিয়ে কপালে সিদূর পরেছিলেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঐ অনুষ্ঠানে ভারতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়া হলে, শেখ হাসিনা তার কোন প্রতিবাদ করেননি।
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন আগেই এ ঘটনা ঘটল। আমাদের বৃহৎ প্রতিবেশী ভারত উস্কানী দেবার এ সময়টা বেছে নিল কেন, সেটা একটা বড় প্রশ্ন।
ভারতীয়দের কী মতলব আছে তা তারাই ভালো জানে। তবে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে নিজেদের রক্ষার জন্য । বহিঃশক্তির ব্যাপারে সতর্ক থাকার পাশাপাশি আমাদের ভেতরের শত্রুদের সম্পর্কেও হুশিয়ার থাকতে হবে।
নির্বাচনের মাত্র তিনদিন আগে বাংলাদেশের জলসীমায় ভারতীয় নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজের ঢুকে পড়া প্রমান করে, "দেশ বাঁচাও" নিছক একটা নির্বাচনী শ্লোগান নয়, বরং অপরিহার্য বাস্তবতা। এ শ্লোগানের মধ্য দিয়ে বিএনপি দেশবাসীকে বলতে চেয়েছে, আমাদের নিজেদের ব্যাপারে নীতি ও সিদ্ধান্ত আমরা নিজেরাই নেব, নাকি বাইরে থেকে চাপিয়ে দেয়া হবে-তার ফয়সালা নির্ভর করছে ২৯ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে ভোটারদের রায়ের ওপর। বিএনপি আশঙ্কা করছিলে বাইরের হস্তক্ষেপের।
এ ঘটনার মধ্য দিয়ে আমরা জানলাম এ আশঙ্কা অমূলক নয়।
ভিনদেশের জাহাজ এসে আমাদের জলসীমায় রিগ বসাবে, সার্ভে করবে আর আমরা চুপ করে থাকব, তা তো হয় না।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৪২