কামরুল হাসান তাকে চিত্রিত করেছিলেন "বিশ্ব বেহায়া" হিসাবে ।
বহুরূপী এই মানুষটি এবার সরাসরি শেখ হাসিনার বড় ভাই সেজে বসেছেন। বোনের পক্ষ থেকে এই সম্পর্কের ব্যাপারে কোন আপত্তি আসে নাই। যোগ্য বোন এতদিনে যোগ্য ভাই খুঁজে পেয়েছেন । অবশ্য অভিমান করে গুণী এই ভাইকে মাঝে মাঝে মহাচোর ডাকতেন। ভাই বোন মিলে এখন দেশটিকে সোনার বাংলাদেশ বানানোর প্রতিজ্ঞা করেছেন। তবে এটি সোনার বাংলাদেশ হবে নাকি "ইমিটেশনের বাংলাদেশ" হবে সেব্যাপারে দেশবাসী সঙ্গত কারনেই চিন্তিত হয়ে পড়েছেন । অনেকের মনে প্রশ্ন উঠেছে তাহলে নূর হোসেনকে কে মেরেছিল ? আজকের এই ভাইবোনের মধ্যে কে নূর হোসেনের মৃত্যুর জন্যে দায়ী ?
কুড়িগ্রামের মানুষকে এরশাদ আরো সহজ ভাবে নিজের বর্তমান পরিচয় জানিয়েছেন , আমিই হাসিনা আর হাসিনাই আমি। হাসিনাতে এভাবে ফানা হওয়ার বহুরূপী এরশাদের নতুন এই পরিচয়টি দেশবাসী কিভাবে গ্রহন করেন তাও এখন দেখার বিষয় । কাজেই এরশাদের দাবিমত তাকে বা হাসিনাকে ভোট দেওয়া মানেই কামরুল হাসানের মতে এক বিশ্ব বেহায়াকে ভোট দেওয়া ।
অন্যথায় এমন ফুলের মতো পবিত্র লোকটিকে বিশ্ববেহায়া বলায় কামরুল হাসানের মরণোত্তর ফাসি দাবি করা উচিত। আওয়ামী লীগের তোহফা হিসাবে বা সংসদের আসন নিয়ে গাণিতিক বেকায়দায় ফেলে এরশাদ বঙ্গভবনে বসতে পারলে কামরুল হাসান কবর থেকেই হয়তো বলে উঠবেন , আমার মরণোত্তর ফাঁসি চাই। তখন যুদ্ধপরাধীদের বিচারের সাথে সাথে এই মরণোত্তর ফাসিটির আয়োজন না করে আওয়ামী লীগের অন্য উপায় থাকবে না।
কারন বহুল আলোচিত লং ড্রাইভের এই সঙ্গীটিকে শেখ হাসিনা ঠিকভাবে চিনতে না পারলেও তাঁর শর্ট কনজুগেল লাইফের পার্টনার বিদিশা তাকে ঠিকই চিনেছেন। এখন দেশবাসী যদি এই বহুরূপীকে চিনতে পারতো বা তার অতীত ইতিহাসগুলি একটু স্মরন করতে পারতো তবে এই দেশটির অনেক মঙ্গল হতো।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে ১৯৯০ সালে খুনি এরশাদ বিরোধী সালে সকল ছাত্রসংগঠনের সম্মিলিত মিছিল।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৬