(এক)
আজব একটা ঘর, প্রতিনিয়ত পাল্টে যায়।
এই রোদ বৃষ্টি, এই দেখি কুয়াশা, পরমূহুর্তেই বসন্তের আমেজ।
দেয়ালগুলোয় কত শতাব্দী প্রবাহিত হয়েছে কে তার খবর রাখে,
ফাটল মাঝে আগাছার জঞ্জল, প্রতিমূহুর্তে ধ্বসে পড়ার অপেক্ষায়।
মেঝেটাও অদ্ভুত, কিছু মেরু, মরু প্রন্তর, জমাট বাধা লাভাস্তর
কিছু সামুদ্রিক জলচ্ছাস বাকিটা সবুজের সমারোহ।
ছাদটায় আলোর মশাল জ্বলে, কখনও জমাট মেঘ জমে
ভরা পূর্ণিমায় বাধ ভাঙ্গা জোছোনা অথবা নক্ষত্রের ঝড় হয়।
বিশুদ্ধ বাতাসে অরন্যের আহবান তাজা ফুলের সুবাস ছড়িয়ে দিত।
(দুই)
সহসা তৈলাক্ত জ্বালানী বিষাক্ত যান্ত্রিকতা নিয়ে হাজির।
বারুদের সাথে লাশপোড়া গন্ধ ভেষে আসে বাতাসে
মৃত্যুর ছায়া আলোকিত ছাদকে ঢেকে দেয়,
ফুল ঝরে গেছে, গুঞ্জন সব থেমে গেছে
জীবনের আহবান এখন আর নেই।
শেষ গাছটাও মরে গেল একটু আগে।
(তিন)
অনবরত কাঁপছে পায়ের নিচের মেঝে,
দেয়ালের ফাঁটলগুলো যেন কুৎসিত হা করে আছে
যে কোন মূহুর্তে গিলে খেয়ে ফেলবে।
রক্তাক্ত ছাদ একটানা পাথর বর্ষন করে যাচ্ছে
সর্বগ্রাসী মহাপ্রলয় কি শুরু হয়ে গেল নাকি!
অচমকা চোখ ধাধানো বিষ্ফোরন! অত:পর;
_________
আজব একটা ঘর, প্রতিনিয়ত পাল্টে যায়...
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:১৫