ফেসবুকের আরেক নাম বলে জেলাস বুক—কথাটা আমার না আমার এক খালুর, উনি অবশ্য দেশের বাইরে থাকেন।তবে কথাটা এক অর্থে মিথ্যেও না, ফেসবুকের পাতায় পাতায় শুধু নিজের অর্জনকে দেখানর গল্প আর বড় হতে পারার গল্প—তবে এটা একটা দিক মাত্র, তবে ভাল দিকও কম নেই। এইত আমাদের দেশে রাজন হত্যা থেকে শুরু করে অনেক বিচারের মূলেই রয়েছে ফেসবুকের অনন্য অবদান। আর বিভিন্ন গ্রুপের জনকল্যান মূলক কাজ, ব্যবসা বানিজ্য এইসব ত আছেই। তবুও ফেসবুকের মূল চালিকা শক্তি আসলে প্রদর্শন...... ধারনাটাও এসেছিল কোন একটা প্রদর্শন প্রতিযগিতা থেকে, তবে এসব প্রদর্শনী এক ধরনের আনন্দ দেয় বইকি। এই ত বিজয়ের মাসে শুরু হয়ে গেছে পতাকা মুড়ে দেশপ্রেম প্রদর্শনের বিশাল প্রতিযোগিতা। কিন্তু এই মানুষগুলোই হয়ত দেশের স্বার্থ সুরক্ষায় এতটুকু আগ্রহী নয়। জনগণের টাকা নিজের বেতন হয় জেনেও সরকারি জিনিসের যথেচ্ছ ব্যবহার, নিজের গাড়ি বহরের ঝাঝে হাজার হাজার মানুষের কার্জ ঘণ্টা নষ্ট করা, নিজের রাগ মেটাতে সরকারি গাড়ি ঘোড়া ভেঙ্গে পুড়িয়ে বিল্পবী সাজা কিংবা নিজের আই ইনকাম সত্ত্বেও সরকারের প্রাপ্য ট্যাক্স না দেওয়া সবই আমাদের দেশ প্রেমের নমুনা বটে। তবুও পান্তা ইলিস খেয়ে একদিনের বাঙ্গালি সাজার মত প্রতি বিজয় দিবসে একদিনের দেশ প্রেমিক সাজি। বাইরের দেশের নাগরিকত্বের জন্য আমার চেষ্টার অন্ত নেই তবু আমি দেশকে ভালবাসি অনেক। ধর্মে একটা কথা আছে যার বাংলা অর্থ করলে হয় নিষ্ঠা, যেই নিষ্ঠা বিহীন লোকদেখান কোন কাজের কোন মূল্য কিন্তু ধর্মে নেই। বড় দুঃখের সাথে বলতে হয়, যে লোকটি যত বেশি দেশপ্রেম প্রদর্শন করবেন-- এ দেশে যেন তার দামই বেশি। প্রদর্শনের এ যুগে দেশপ্রেম প্রদর্শিত হয় নিয়ত—আমাদের দৈনন্দিক কার্জক্রমে তার প্রতিফলন থাক বা না থাক।দেশপ্রেম যতই প্রদর্শিত হোক না কবল অপ্রদর্শিত রয়ে যায় আমদের অবৈধ অর্জনকরা অর্থ গুলো আর সে জন্যই বিদেশে টাকা পাচারের অঙ্ক বাড়তে থাকে প্রতি নিয়ত হু হু করে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৭