প্রতিদিন সকালে হাঁটতে ভালই লাগে, কেমন জানি একটা মিষ্টি আবহাওয়া। সাধারণত হাতির ঝিলের বাশ এন্ড দিয়ে শুরু করি... আমার এক বন্ধু এই বিখ্যত নামকরনটি করেছে। হাতির ঝিলের ইস্ট ওয়েস্ট ভার্সিটি প্রান্তের নাম বাশ এন্ড- প্রচুর বাশ বিক্রির জন্য খাড়া করা আছে তাই। আর গুলশানের যাবতীয় কর্পোরেট অফিসের এমপ্লইদের যেসব বাশ দেওয়া হয় সম্ভবত এখান থেকেই রপ্তানি করা হয়। অপর প্রান্তের নাম মগ এন্ড বা মগবাজার এন্ড —সে অবশ্য এই এন্ডের নাম দিছিল পাওয়ার এন্ড এখানে পাওয়রের সাব স্টেষন আছে তাই। এই নামটা তেমন জনপ্রিয়তা পাই নি বরং মগ এন্ডটাই বেশি জনপ্রিয়তা পাইছে। যাই হোক...আমি অবশ্য মগা এন্ডে না গিয়ে আগেই রিটার্ন মারি। কারন মগা এন্ডের কাছে যতই যাবেন ততই সুঘ্রান বাড়তে থাকে—এত সুঘ্রান যে কোথেকে আসে? ফিরতেছি গুদারা ঘাটের পাশ দিয়ে সুন্দর লেক ঘেষে রাস্তা হইছে। হটাৎ দেখি এক পোলারে মায়ে খুব নিবৃত করার চেষ্টা করতেছে মাগার পোলায় নাছড়বান্দা। চিল্লায়ে যাচ্ছে ‘আই লাভ ইউ সুইটি’। । ব্যপার ত সিরিয়াস-- মজা দেখার জন্য আমিও দাড়াইলাম। তবে পোলার বয়স মাত্র তিন চার হবে। এই সাত সকালেই নেঙ্গু ভেংগু হয়ে তার সুইটির কাছে ছুটে আসছে । ওপ্রে অবশ্য জামা আছে-- এরেই কয় উপর দিয়ে ফিটফাট নিচ দিয়ে সদর ঘাট। অবশ্য তার সুইটি তারে নিরাশ করল না, বের হয়ে আসল। যেহেতু প্রেমিকের বয়স মাত্র তিন চার তার প্রেমিকা নিশ্চয় তন্বী তরুণী হবে না—খালা বা এরম কারো কোলে করেই এসেই ধমক শুরু করে দিল, “ গুম গাম গুম গাম”। মানে এই সাত সকালে কি লাগাইলা তুমি মান সম্মান আর থাকল না। মজা দেখতে অবশ্য নোকার মাঝি সহ দোকানদার অনেকেই জড় হইল। সবার মুখেই নির্মল আনন্দের হাসি। এই কাঠ পাথরের শহরের এই জাইগা টাই ছায়া ছায়া গাছে ঘেরা...... মানুষ গুলোও থাকে টিনের ঘরে কিন্তু সব সময় হেটে ফিরার সময় দেখি ওদের মাঝে কি এক আনন্দ আর সুখি সুখি ভাব আর আমদের ফ্লাট গুলোর বিত্ত বৈভব পেরিয়ে হাজারও অশান্তি। আসলে প্রাচুর্যে কেবল সুখ নাই...... সুখ আছে মানবতায়।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৯