দুপুরের ইলশেগুঁড়ি ধ্বনি গান হয়ে বাজছে তপতীর অন্তঃকর্ণে
রইসুল শুনছে বুলবুলের পদধ্বনি;
আর ভাবছে- তবে কি বুলবুল সত্যি সত্যি ঘূর্ণিঝড় হয়ে ফিরছে আবার!
মানুষ কর্মফল থেকে পালাতে পারে না বলেই বোধহয়
দুপুরের এই ইলশেগুঁড়িতে তপতী দেখছে তার প্রিয়মুখ, প্রেমিককে
আর রইসুলের ভাবনায় এসেছে প্রতিদ্বন্দ্বী বুলবুল
(কোনোএক অন্ধকারে যার সৎকার করেছিলো সে জলের জোয়ারে)
রইসুলদের অন্তঃদুয়ারে একপশলা ভয় হয়ে বুলবুলরা কড়ানাড়ে
বারবার
বারবার
আমৃত্যু!
সাধু
_____
'মুক্তিযোদ্ধা বৃদ্ধার মৃত্যুকালে কোনো দেশ ছিলো না'
'এককালে, দুপুরের বেনামী তর্কে পরকীয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধঘোষণাকারী বন্ধুটি এখন স্বাচ্ছন্দ্যে অস্তিত্বে মাখছে পরকীয়ার কলঙ্ক'
'বটছায়া একবাবা মধ্যরাতে পিচাশ হয়ে গিলে ফেলেছে তার সন্তানের জান, কেটে কেটে ছিন্ন বিচ্চিন্ন করেছে মনুষ্যত্ব....
চারিপাশের কোনো বিস্ময়তথ্য'ই এখন আর অতটা অবাক করে না আমাকে
যতটা অবাক হই এই নিজেকে দেখে!
কতো কতো রহস্য ভেতরে নিয়ে দিব্যি যাপন করছি এক সংজ্ঞাহীন বৈচিত্র্যের বেনামি জীবন।
এককালে এমন জীবন যাপনকারীর নামের পাশে অনায়াসে লিখে ফেলতাম ভণ্ড।
অথচ এখন লিখি সাধু
বস্তুতঃ সব ভণ্ড'ই নিজেকে সাধু ভাবতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।