ঘুমঘরের স্তব্ধ অন্ধকারে ইদানিং বর্ষাকাশের মেঘবার্তার মতো ভেসে ওঠে
'চিরসত্য ডেথথিওরি'।
আবছায়া একটা ভয়ংকর ভয় ঘটাকরে জাপটে ধরে ভিতরবাহির-
'হাজার বর্গমাইল দূরত্বের এই ঘুম যদি আর না ভাঙ্গে?!'
বটছায়া,
চিরঘুমে শায়িত সাদাকাপড়ে মোড়া সেই আমিও তোমার স্পর্শ চাই-
আঁতুড় ঘরের ঘ্রাণ চাই
বরইপাতার জলে চাই পাড়াপড়শীর আদর-
অন্তঃসারশূন্য
__________
মিউজিক প্লেয়ারে বাজছে সপ্তপদী ছায়াছবির কালজয়ী গান-
'এই পথ যদি শেষ না হয়, তবে ...'
দৃশ্যমান একটি অদৃশ্য পথ অতিক্রম করছি আমি আর অন্তজালিকা!
আমাদের সম্মুখে- সফেদ আকাশ, স্বপ্নতটের উজ্জ্বল জলতরঙ্গ - সম্ভাবনা।
বিপরীতে শাশ্বতিক বর্ণহীন প্রহেলিকা।
আবার গন্তব্য?!
শূন্যে-ই তো ঝুলে আছে জীবন...
২
একটি অনাকাঙ্ক্ষিত এক্সিডেন্ট!
অতঃপর,
নয়প্রহর পেরুলেও মতলব মাতব্বরের মাতব্বরি শুয়ে আছে আমড়াকাঠের কফিনে
পঞ্চায়েতি গোরস্তানে খনন হয়েছে -
'সাড়েতিনহাত' মাপের আরো একটি নতুন 'কবর'।
সুশীল সরকারের সৎকার হয়েছে প্রাক্তন ভোরে
এখন মধ্যদিন।
মহল্লার মসজিদে মোলায়েম কণ্ঠে ঘোষিত হচ্ছে বিদায়ি শোকসংবাদ-
বাচালদের মুখেমুখে লাশের জীবনেতিবৃত্ত।
মৃত্যু
_____
হঠাৎ! একদিন আত্মীয়স্বজন সিসিটিভি, সিকিউরিটি... স..অ..ব
সবচোখ ফাঁকি দিয়ে মৃত্যু গিয়ে দাঁড়াবে তোমার সামনে-
ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত তুমি আত্মরক্ষার্থে চিৎকার করবে, পালাতে চাইবে--
কিন্তু পারবে না!
কেউ শুনবে না তোমার চিৎকার
কেউ শুনবে না তোমার আকুতি
কেউ শুনবে না তোমার কান্না...
সেদিন পৃথিবীর কোনো শক্তিই তোমাকে পারবেনা বাঁচাতে।
হে প্রাণ,
একদিন এই লৌকিক পৃথিবী ছেড়ে তোমাকে চলে যেতে হবে।
যেভাবে, যেপথে চলে গেছেন তোমার বাবার বাবা কিম্বা পূর্বসূরিররা...
(সম্পাদিত)
আচড়
_______
আজ মৃত্যু হলে কাল মরহুমের দুইদিন, পরশু তিনদিন...
চারদিন পেরুতে না পেরুতেই ম্রিয়মাণ জীবনেতিবৃত্ত!
টুনি-মন্তুদের মনেরাখে না জাজ্বল্যমান ইতিহাস।
হে মহাকালের পথিক,
এসো চেনা রক্তগন্ধের চৌকাঠ পেরিয়ে মুক্তমনে
ঘুরে বেড়াই শহরের অলিতে-গলিতে..
ফুটপাতে...
প্রাণে- প্রাণে...
কালেরপথে রেখে যাই জীবনতুলির আচড়।
[ছবি: Google]
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৪৬