__________________________
উৎসর্গঃ হৈমন্তী
হৈমন্তীর সাথে চন্দ্রিমার কোনোএক দ্বিতীয়-জন্মরাত দেখতে দেখতে পাঠ করছি
তোমাকে লিখা পাণ্ডুলিপি
বিবর্ণ কাব্যগ্রন্থের মলাটের মতো থুপথুপ বিবর্ণতায় আঁকা রাতের প্রকৃতি
বাতাসে ঝিঝিদের বিধুর বিরহ
আকস্মিক জিজ্ঞাসুস্বরে হৈমন্তী বললো,
'আমি তোমার কবিতা হতে চাই, অনন্য। লিখবে আমায়...
লিখবে?
তোমার কবিতায় আমি আমাকে পড়তে চাই!'
এবং কালান্তরে
চোখের আগুনে বিবর্ণ পাণ্ডুলিপি ছাঁই করে ঠোঁটে-চোখে এঁকে দিলো একগুচ্ছ গোলাপ।
তারপর
তারপর চন্দ্রিমার দ্বিতীয়জন্মরাত সাক্ষী করে, আরো বললো-
এই নাও আকাশ; নিপট শূন্যতার শুভ্রপ্রচ্ছদ
এইখানে এঁকে দাও তোমার তুমিটাকে
আমি এক শূন্যতার জলদিঘি, আমাকে পূর্ণ করো
তুমি তরল হও, জল হও
তুমি ঠাকুমার বলা সেই রাজকুমার হও! অনন্য। মহাকালের ঘোড়াচড়ে একদিন
যার আসার কথা ছিলো আমার অঙ্গনে
যার পথ চেয়ে চেয়ে কেটে গেছে আমার তেইশ বসন্ত
তুমি আমার সেই তুমি হও! অনন্য
আমাকে পূর্ণ করো!
আমাকে পূর্ণ করো!
একযুগ পরও, আচ্ছন্ন আমি অন্তরে বিহ্বলতা নিয়ে স্মরণ করছি প্রিয় সেই হৈমন্তীকে
রাত বাড়ছে। চন্দ্রিমার আরো এক দ্বিতীয় জন্মরাত
_________________
সম্পাদিত
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৪