ব্লগার্স বায়োগ্রাফীঃ ট্রিপল সেঞ্চুরি পোস্ট
বর্তমানে ব্লগ পরিসংখ্যান কোনো ফ্যাক্টর নয়। যেখানে একজন ব্লগার দৈনিক ৮/১০টা কপিপেস্ট পোস্ট দেন, যেখানে অটো রিফ্রেশারে পোস্টের হিট সংখ্যা বাড়ানো হয়, যেখানে একজন ব্লগার পোস্ট নাপড়েই প্রতি মিনিটে একাধিক মন্তব্য করেই যাচ্ছেন-সেখানে একজন সুস্থ্য ব্লগারের ব্লগ পরিসংখ্যান লজ্জারও! তারপরেও আমার তিনশত পোস্টে অনেকজন গুনী ব্লগারের প্রতি শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা জানাতেই 'ট্রিপল সেঞ্চুরী' উল্লেখ করা।
এই ব্লগে অনেকের কাছেই আমি কঠিন ঋণে আবদ্ধ। আমার পক্ষে সেই ঋণ মুক্ত হবার কোনো সুযোগই নেই। ঋণ মুক্ত হতে চাইওনা। কারন, কিছু কিছু মানুষের কাছে ঋণী হয়ে থাকাতেও একধরনের সুখ আছে। সামু ব্লগ ও ব্লগার্স আমার কাছে তেমনই-যার এবং যাদের সুন্দর লেখা, মন্তব্য পড়ে তাদের কাছে আমি সব সময়ই ঋণী থাকতে চাই-তেমন কয়েকজন সূধী ব্লগারদের সন্মান জানাতেই এই পোস্টঃ
মিলটন : একজন নিপাট ভদ্র লোক ব্লগার। সত্য-সুন্দর-পবিত্রতার পুজারী। ব্যাক্তি জীবনে ফেমিলী কেয়ারিং, বন্ধুবাতসল, পরোপকারি, কর্মঠ, দ্বায়িত্বশীল এবং ১০০ ভাগ বিশ্বাসী একজন মানুষ-যাকে বিশ্বাস করে কেউ ঠকবেনা। খারাপকে সভয়ে এড়িয়ে চলে আর সুন্দরকে লালন করে।ওকে বিশ্বাস করা যায় পরম নির্ভরতায়। সামুতে মিলটনই একমাত্র “"বনসাই” ব্লগার"।ও কঠিণ পণ করেছে- কোনো অবস্থাতেই ৩৫ বছর বয়স অতিক্রম করবেনা! কিন্তু নিজ ভূড়ির বনসাই করতে পারেনি। করবে কি করে-সবাই ওকে "বারোমাস ইফতারী"র দাওয়াত খাওয়ায়, ট্রাক ভর্তি করে ইলিশ মাছ, আম-লিচু যেভাবে পাঠায় তা সবই একা একা ভূড়িভোজ করে।ভূড়িতো বাড়বেই!
মুহিব : সুদর্শন, সজ্জন, ভদ্র, বিনয়ী একজন ব্লগার। শিশুরমত মন।খুব ভ্রমন পিয়াসী।
তানভীর আহমেদ সজীব : প্রচুর পড়াশোনা করে। ব্লগের লেখা পড়ে বুঝে অসাধারন সুন্দরসব বিশ্লেষণী মন্তব্যের জন্য বিখ্যাত হয়েছিলেন। প্রচন্ড পরিশ্রমী,দ্বায়িত্ববান আত্মপ্রত্যয়ী ও অনেস্ট একজন মানুষ-কিন্তু ভাগ্য বিড়ম্বিত! ভাগ্য কখনওই ওর সহায়ক নয়। ব্লগের পরিবেশ নস্ট হওয়ার প্রতিবাদে নিজের লেখা ৬৫টি পোস্ট ডিলিট করে সামুতে সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষে একটি পোস্ট লিখে সামুর নস্ট ব্লগারদের আক্রমনের শিকার। ভাগ্যই ওর দূর্ভাগ্য!
কালপুরুষ : এভার গ্রীণ শব্দটা কালপুরুষের জন্যই প্রযোজ্য। প্রচন্ড আড্ডাবাজ! আড্ডার জন্য তাঁর বাড়ির ছাঁদ, ড্রয়িং রুম, মাঠ-ঘাট, দিন রাত্রী কোনো কিছুই সমস্যা নয়। জানিনা-এই ভয়ংকর আড্ডাবাজ ভদ্রলোকের সাথে এখনও ভাবী কিভাবে আছেন! স্বামীটি রশিক, ভাল রন্ধন শিল্পী-হয়ত কিম্বা ভয়ত রান্নার প্রয়োজনেই রেখে দিয়েছেন! সব ব্লগারদের সাথে সেতু বন্ধনে বাদশা ভাইর জুড়ি নেই।
সুলতানা শিরীন সাজি : অসম্ভব রকম মমতাময়ী, স্নেহ প্রবণ, সদালাপী, দরদী মানুষ। প্রতিটা মূহুর্ত সকলের ভালো দেখতে চান-দেখতে চান আমার পরিবারের সব ভালো। তিনি প্রচন্ড সুন্দর কবিতা লেখেন-সব কবিতাতেই পবিত্রতার ছোঁয়া। প্রতিটা কবিতাই যেনো পবিত্র প্রার্থনা! তাঁর কবিতা ছবিতাও বটে! তাই তাঁর কবিতা শুধু পড়ার নয়, দেখারও। তাঁর প্রতিটা কবিতায় খুঁজে পাই প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের সেতু বন্ধন। যেখানে ফুটে ওঠে তাঁর প্রিয় স্বদেশ, প্রিয় জন্ম ভূমি্র জন্য হাহাকার। আমার ধারনা-যারা কবিতা ভালোবাসেন তাঁদের সকলের প্রিয়তেই আছেন সাজি। সামুতে আমার পরিচিত ব্লগারদের ৯০ ভাগ ব্লগারই সাজি বুবুর মাধ্যমে পরিচিত।
মাহবুব মোর্শেদ : মেধা, যোগ্যতা, বিনয় ও সৌজন্য যখন এক হয়েযায় তখনই একজন প্রকৃত মানুষের মানবিকতার পরিস্ফুরণ হয়। তেমন একজন ব্লগারের নাম মাহবুব মোর্শেদ।
রাজীব: ব্লগ ও ব্লগের বাইরে আমার স্নেহ ভাজন একজন মানুষ। উচ্চ পদস্থ্য সরকারী কর্মকর্তা-রাজীব যে অফিসের কর্ম কর্তা সেই অফিসের চেয়ার টেবিলও যেখানে দূর্ণীতিগ্রস্থ্য-রাজীব সেখানে সৎ অফিসারের উজ্জ্বল প্রতীক। চাকুরীর সুবাদে অনেক দেশ বেড়িয়েছে-তাই সাধারন জ্ঞান ভান্ডার পূর্ণ। কম্পু স্পেশালিস্ট হলেও অটোমোবাইল ওর প্রিয় সাব্জেক্ট। ব্লগের মনোযোগী পাঠক হিসেবে সব সময়ই সুন্দর মন্তব্য করতে অভ্যস্থ।
ক্যামেরাম্যান: একজন প্রানোচ্ছল মানুষ। বয়স তার তারুণ্য থামাতে পারেনি। ভাল অর্গানাইজার।আড্ডা প্রিয় মানুষ।অনেক পড়াশোনা করেন- তাঁর জ্ঞান ভান্ডার বৈচিত্রময়। বিচিত্র আর বৈচিত্র সুন্দর মন্তব্যে ওনার জুড়ি মেলা ভার! আমার সুহৃদ বন্ধু।
পারভেজ : আমার খুব প্রিয় একজন ব্লগার। ওনার মন্তব্যগুলো হতো অসাধারন সুন্দর!
মানবীঃ অসম্ভব প্রিয় একজন ব্লগার। প্রচন্ড জাতীয়তাবাদী-ক্ষুরধার লেখণীতে দ্বিধাহীন চিত্তে নিজের বিশ্বাস প্রকাশ করেন। প্রচন্ড পরোপকারী। দেশের জন্য, নিপীড়িত মানুষের জন্য কিছু করার আকুতি তাঁর চেতনায়। আমি বাংলা টাইপ করতে পারতামনা। তিনিই আমাকে বাংলায় টাইপ করার জন্য অভ্র সফট ওয়্যার পাঠিয়েছিলেন। আমার অসুস্থ্যতার সময় বিভিন্ন ভাবে আমাকে সুস্থ্য হতে মানষিক সাহস সহায়তা দিয়েছেন।
ফরহাদ উদ্দীন স্বপন : খুব মেধাবী একজন ব্লগার। সামুতে আমি যতজন লেখক/কবির কবিতা পড়েছি- ‘আধূনিক কবিতা’ লিখিয়েদের মধ্যে অন্যতম তিনি। আমার ব্লগ লেখায় টেকনিক্যাল দিকটা প্রাথমিক ভাবে তিনি নিজেই অনেকবার পরিবর্তন,পরিবর্ধন, পরিমার্যন করে শিখিয়ে দিতেন।তিনিই আমাকে শিখিয়েছিলেন-একটা লেখা কি করে সুন্দর ভাবে পাঠকদের সামনে তুলে ধরতে হয়।
কৌশিক : ব্লগ লেখায়-মন্তব্যে রাফ এন্ড টাফ। কিন্তু সামনা সামনি কৌশিকেরমত ভদ্র লোক, সৌজন্যবোধ, আত্মসম্মান সচেতণ মানুষ আমি খুব বেশী দেখিনি। ব্লগ লেখায় আউলা ঝাউলা-যখন যা খুশী মনে হয়-তাই লেখে, যা বিশ্বাস করে তাইই বলে-এটা ব্যাক্তি অসততা নয়। কৌশিক ভাল কবিতা লিখতে পারে-যা ওর নিয়মিত পাঠকদের অজানা নয়।
আবু সালেহ : মনোযোগী পাঠক। যথাযথ মন্তব করেই নিজের যোগ্যতা প্রমান করেছেন।
অন্তিম : মায়া কাড়া শান্ত সুবোধ ছেলে।ওকে দেখলেই মন থেকে অপার স্নেহ উঠে আসে। অসাধারন সুন্দর কবিতা লিখত।সামুতে গালাগালি স্বীকৃত হবার পর সামু থেকে নিরবে প্রস্থান। বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসে মেধা তালিকায় থেকেও শুধু মাত্র “কোটা” কু প্রথার কারনে নিয়োগের জন্য সুপারিশ পায়নি-তাই ওর মন খারাপ!
সহেলী : অনেকের মতই ইনিও আমার নাদেখা, কোনো দিন কথা নাহওয়া আমার সুহৃদ। প্রচন্ড আবেগী একজন মানুষ! খুব অভিমানী-তাই আমি তাঁর পোস্টে মন্তব্যে লিখেছিলাম-"“জুলেখা বাদশার মেয়ে, তাঁর ভারী অহংকার-সে সব সময় মূখ ভার করে রাখে"”-ইত্যাদি ইত্যাদি। সহেলীর লেখা মানেই সকলের প্রিয়।তিনি তাঁর লেখা কাউকে "কপি" করতে মানা করায়-আমি তাঁর সব লেখাই কপি করতাম ঘোষনা দিয়ে! সামু থেকে তিনি নির্বাসনে- তাঁকে মিস করি।
রাগিব : সামুর অন্যতম গুণী একজন ব্লগার। তাঁর প্রতিটি লেখাই পাঠকদের সম্পদ। যিনি বাংলা পিডিয়া আন্তর্জাতিকী করনে অসামাণ্য ভুমিকা রেখেছেন বিশ্বের দরবারে।–স্যালুট হিম।
সাইফুর/ চিকন মিয়াঃ প্রায় পাঁচ বছর আগে যখন আমি বাবুয়া নিকে লেখা শুরু করি-তখন বাংলা টাইপ জানতামনা। তখন প্রথম ৪/৫ মাসে ২৪টা পোস্ট ইংরেজীতে লিখেছিলাম। যেদিন প্রথম পোস্ট লিখে সার্ভ করি-সাথে সাথেই ‘মাইনাস’ দেয় চিকন মিয়া! ধৈর্য্য ধরি। এভাবে প্রতিটা পোস্ট প্রকাশের সাথে সাথেই চিকণ মিয়ার ঘোষিত মাইনাস। কোনো কথা নেই-শুধু "মাইনাস"! আমি ওকে ব্লক করি। সাথে সাথে একটা পোস্ট দিল চিকন মিয়া। লিখলো-“"ওরে নাঈম্যা, তোরা কে কোথায় আছোস -আমারে বাবুয়া ব্লক করছে"”! আর যায় কোথা! শুরু হলো মাইনাসের মহা উতসব! সেই মাইনাস খ্যাত চিকন মিয়াই সাইফুর-আমার অত্যন্ত স্নেহ ভাজন, আমার সুর্হিদ।
রিয়াজুল ইস্লাম:পেশায় ঢাবি'র শিক্ষক। ক্লীণ ইমেজের একজন ব্লগার। শিক্ষা, সৌজন্য বিনয় প্রকাশ পায় ওর সবকিছুতেই।
জানাঃ মেধা, ধৈর্য্য, অধ্যাবসায়,মনোবলে বলীয়ান একজন মানুষ জানা। মেধা, দেশপ্রেম, ইচ্ছা শক্তি, মানষিক দৃঢ়তাকে পুঁজি করে অনেক আর্থীক ক্ষতি স্বীকার করে বিশ্বের বাংলা ভাষাভাসীদের উপহার দিয়েছেন প্রথম বাংলায় ব্লগিং করার প্লাটফরম।এক্ষেত্রে তিনি নিজে ইতিহাস সৃস্টি করেছেন এবং নিজেও ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবেন।
যখন আমি চিকন মিয়া গংদের মাইনাসে জর্জরিত এবং ইংলিশে পোস্ট লেখায় বিদ্বেসীদের বিদ্বেসে অসহায় হয়ে ব্লগ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেই তখন জানা আমাকে বাংলা টাইপ শেখায় উতসাহ যোগান। তখনও আমি জানতামনা তিনি সামুর কর্ণধার।তিনি আমাকে বাংলা টাইপ শেখায় উতসাহ দিতে নিজের ৭০ বতসরের শাশুরীর সেস্কোফোন শেখার কথা জানান। মানবীর দেয়া অভ্র সফটওয়ার আর জানার উতসাহে আমি বাংলা টাইপ শিখি(বর্তমানে বানান ভুল হলেও আমার বাংলা টাইপ স্পীড নিয়ার ৩০, অথচ ২৫/২৬ বছর যাবত ইংলিশ টাইপ করেও স্পীড বিলো ৩৫)।
প্রসঙ্গত বলছি- আমরা ব্লগারগন ভীষণ রকম অসহিষ্ণু। সামান্য এদিক সেদিকে হলেই নিজ নিজ আগ্রাসী স্বভাব প্রকাশে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করিনা। সেখানে সামুর হাজার হাজার ব্লগারদের সবরকম খিস্তি খেউড়, গালাগালি সহ্য করে "ধরিত্রী বসুন্ধরা"র প্রতীক হয়ে আছেন জানা। তাঁর জন্য সব সময় শুভ কামনা।
নিশাচর : নিশাচর থেকে বান্দরে রুপান্তরিত একজন ব্লগার।ব্লগে লেখালেখিতে ভাল নাহলেও স্বজ্জন হিসেবে নিশাচর সব সিনিয়র ব্লগারদের অত্যন্ত পরিচিত নাম। নিক বানদর হলেও বাস্তবে সে একজন ভাল মানুষ। টগবগে প্রানোচ্ছল যুবক। পেশায় দক্ষ একাউন্টেন্ট। ওর নিশাচর নিক মাল্টি ইউজার ইউজ করত।একজন ব্লগারের কারনে প্রায় ৫ বছর বয়সী নিকটি বাতিল হয়ে যায়। বর্তমানে দেশের সর্ব বৃহত একটি গ্রুপ অব কোম্পানী/ইন্ডাস্ট্রীর একাউন্টস বিভাগের পদস্থ্য কর্তা-ভাবতেই পারিনা অমন অস্থির একজন মানুষ কিকরে অমন গুরুদ্বায়িত্ব সামলায়! আমার বাবুয়া নিক বাতিল হলে জুল ভার্ন নিকটি নিশাচরই রেজিঃ করেদিয়েছিল।
আন্দালীবঃ আধূনিক কবিতা লেখায় এক নিজস্বতা সৃস্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। অত্যন্ত কঠিন, অপ্রচলিত শব্দ ব্যাবহার করেন-তাই তাঁর কবিতা বুঝতে আমাকে অবশ্যই বাংলা অভিধান সাথে নিয়ে পড়তে হ্য়। সামু থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসিত।
নাফিস ইফতেখার : অত্যন্ত গুনী ব্লগার। নাসিফের লেখাই বোধহয় সব থেকে বেশী ব্লগারদের প্রিয়তে আছে।আমার চীন ভ্রমন পোস্টের সব ছবিগুলো নাফিসই রিসাইজ করে পোস্টে এড করে দিয়েছিল।
সবুজ সাথী বেশ সিনিয়র এবং নির্বিবাদী ব্লগার।অত্যন্ত সুন্দর মন্তব্য করে।
সুরঞ্জনাঃ চিরন্তন বাংগালীর চিরায়ত বোনের প্রতীক সুরঞ্জনা। স্নেহ মায়া মমতায় সব ব্লগারদের স্নেহময়ী বড় বোন। রবীন্দ্র নাথ তাঁর মুখস্থ। প্রচুর পড়া শুনা করেন-পড়েন প্রাচীণ ও বর্তমান সাহিত্য। জীবন ঘনিষ্ঠ লেখাই বেশী লিখতে পছন্দ করেন। ভালো রাঁধুনী। তাঁর ভালো রান্না খেয়েও আমাদের দুলাভাই(আপুর কুম্ভকর্ণ) তালপাতার সিপাই!
ধীবরঃ কট্টর/হার্ড লাইনার জাতীয়তাবাদী। যুক্তি,তথ্য উপাত্যই যার লেখার মৌলিকত্ব। দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক পত্রিকার কলামিস্ট হিসেবে আগুণ ঝড়া কলাম লিখে স্বৈরাচারী সরকারের ভীত কাঁপিয়ে ছিলেন এবং স্বৈরাচারের বিরাগভাজন হয়ে দেশ ছেড়েছিলেন। নব্য স্বৈরাচার এখনও তাঁকে ধাওয়া করছে-ব্লগেও যার নিস্তার নেই। লেখালেখি ও ব্লগের বাইরে প্রচন্ড বন্ধুত্ব প্রিয় এবং দ্বায়িত্ববান একজন মানুষ।
এই ব্লগারের সব লেখাতেই দেশ প্রেম।কোনো দিন তাঁর কোনো লেখা/মন্তব্যের কারনে তাঁকে কোনো প্রকার ব্লগীয় শাস্তি পেতে হয়নি। কিন্তু একটি লেখাকে কেন্দ্র করে এখনও তাঁকে কমেন্টস ব্যান করে রাখা হয়েছে। মডারেটরের নিকট বিনীত প্রার্থনা-তাঁকে মন্তব্য করার অধিকার ফিরিয়ে দেয়াহোক।
কবির চৌধুরী : সংগীত পিপাষু একজন গুনী ব্লগার। সংগীতের সপ্ত সুর, সপ্তম মার্গ তাঁর অন্তর জুড়ে। স্পেশালী পাশ্চাত্য সংগীত অন্তরে ধারন করেছেন-তাইতো সংগীতের যাবতীয় বিষয় পাঠকদের কাছে তুলে ধরেন পুংখানুপুখ ভাবে।ওর প্রতিটি লেখাই প্রিয়তে রাখলে নিজ সংগীত ভান্ডার সমৃদ্ধ হবে।
সামছা আকিদা জাহান : খুব ভালো একজন ব্লগার। অসাধারন সুন্দর সব পোস্ট আমাদেরকে উপহার দিয়ে কৃতজ্ঞতার বন্ধনে আবদ্ধ করে রেখেছেন।
সবাক : অত্যন্ত মেধাবী একটি ছেলে। অবাক করা কবিতা লেখায় পান্ডিত্ব প্রমান করেছে। লিখতে পারে সব বিষয়েই। প্রচন্ড পরিশ্রমী,প্রচন্ড ক্রিয়েটি অসম্ভব দ্বায়িত্বশীল। ব্লগে ভিন্নমতাবলম্বীদের গালাগালির জন্যও সিদ্ধহস্ত সেই সংগে চরম ধর্ম বিদ্বেসী! সবাক নিকের পিছনে ইব্রাহীম খলিল সুমন ছেলেটা বাস্তবে প্রচন্ড বিনয়ী ভদ্র এবং লাজুকও বটে।
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ নামের মধ্যেই তাঁর আদর্শ তুলে ধরেছেন। জ্ঞানী ও দেশাত্মবোধক লেখায় জুড়ি নেই।
হুপফূলফরইভার : মজার একজন মানুষ-নিজের ভালোটুকু সবার সাথে শেয়ার করতেই আনন্দ পায়। সব কিছুতেই মজা করে। গুনী ব্লগার।ওর সততা-সৌজন্য আর বিনয় যেকাউকে আকর্ষন করে।
রন্টি চৌধুরী : ভাল লেখায়,বলায় একজন পার্ফেক্ট স্বজ্জন ব্লগার।
সুনীল সমুদ্র : যার লেখনীতেই নিজ ব্যাক্তিত্ব প্রমান করেন-তিনি আমার অন্যতম প্রিয় ব্লগার সুনীল সমুদ্র।একজন নিপাট ভদ্রলোক, বন্ধুবৎসল সুলেখক।
জুনঃ স্টুডেন্ট লাইফেই মেধাবী হিসেবে কৃতিত্ব অর্জন করে রাস্ট্রীয় সম্বর্ধনা পেয়েছিলেন। দেশী বিদেশী বাংলা ইংরেজি, ইংরেজী-ফার্সী, ফ্রেঞ্জ অনূবাদ প্রচুর পড়েছেন, পড়াশোনা করাই তাঁর অন্যতম অভ্যাস। আমি এমন কোনো বিখ্যাত কিম্বা অখ্যাত বইর কথা শুনিনি-যা তিনি পড়েননি! অমন একজন ভাল পাঠক অবশ্যই ভাল লেখন হবেন-এটাই স্বাভাবিক। তাঁর দেশ বিদেশে ভ্রমনের নেশায় তাকে 'লেডি ইবনে বতুতা' বলাই সংগত। ভিশন আমোদ প্রিয় মানুষ জুন একই সংগে খুবই খুঁতখুতে স্বভাবের তাই সব পুরনো পোস্টগুলোও প্রায় দিনই এডিট করেন! কথা বলতে পারেন ননস্টপ! কেউ ফোন করলে শোনে কম-বলে বেশী! ওদের পরিবার আমাদের পারিবারিক বন্ধু।
স্পেলবাইন্ডার : এই পোস্টে উল্লেখিত ব্লগারদের ৯৫ ভাগ ব্লগারদের সাথেই আমার কখনও দেখা সাক্ষাত,একনকি ফোনেও কথা হয়নি। তবে স্পেল বাইন্ডারের সাথে ফোনালাপ হয় প্রায়শই-দেখা হয়নি। ব্যাক্তি জীবনে অসম্ভব ভাল একজন মানুষ। নীতির প্রশ্নে দ্বিধাহীন। নিজ বিশ্বাসে অটল। নাপড়ে মন্তব্য করেননা-কাউকে খুশী করার জন্যও মন্তব্য করেননা।অত্যন্ত বিশ্বাসী একজন মানুষ। সামু ব্লগে আমার নিক পাসওয়ার্ড আমি ছাড়াও আরো চার জন ব্লগার জানেন-তারা হচ্ছেন-মিল্টন, কৌশিক, স্পেলবাইন্ডার ও সুচিন্তিত মতামত। এদেরকে আন কন্ডিশনাল বিশ্বাস করা যায়। এই চারজনেরই ভিন্ন ভিন্ন দর্শনে নিজ নিজ আদর্শে চির উন্নতমম শির।
হিমালয়৭৭৭ : এক সাথে দুই হাতে দুই কাপে দু কাপ চা খাওয়া ব্লগারই নয়-অন্য কোনো মানুষকে অমন করে চা খেতে আমি দেখিনি। একজন গুনী মানুষ। প্রচুর জানে তার প্রমান বিরাট বিরাট পোস্ট লেখায়। চলনে বলনে ধীর স্থির হলেও মনণে অস্থির। সৃজনশীলতা আর সৃস্টিশীলতায়ই ওর আনন্দ।
ফারহান দাউদ : চমৎকার একজন মানুষ। ওর অনেকগুলো সুন্দর পোস্ট পাঠকগন মনে রাখবেন।কিছুটা বোহেমিয়ান, একরোখা বলেই ওর চাকরী পেতে সময় লাগলেও-চাকরী ছাড়্তে এক মুহুর্তও ভাবেনা। কটা চাকরী এখন পর্যন্ত করেছে/ছেড়েছে-চিন্তা নাকরে নিজেই বলতে পারবেনা।
ভাঙ্গন : অসাধারন গুনী একজন ব্লগার।কবিতা-গল্পে সমান পারদর্শী। ওর লেখা মানেই পাঠক প্রিয়।স্বেচ্চা নির্বাসনে।
ভারসাম্য : নিক ভারসাম্য হলেও কাউকে খুশী করার জন্য মন্তব্য করেননা।জেনে, বুঝে খুব সুন্দর ও সঠিক মন্তব্য করে ইতোমধ্যেই দৃস্টি কেড়েছেন।
তায়েফ আহমাদ : চিন্তাশীল লেখক ব্লগার।
শায়মা অবশ্যই ভাল লেখে। সেই সংগে ব্লগারদের স্নেহময়ী বোন হিসেবে সকলের মন জয় করেছে।
রুদ্রপ্রতাপ : ভাল লেখেন। মুক্তি যুদ্ধে চুয়াডাংগার উপর একটা চমৎকার সিরিজ লিখেছেন।
এস এইচ খান : যিনি মনোযোগী পাঠক হিসেবে অসাধারন সুন্দর মন্তব্য করতে পারংগম।
রাজামশাই : এক সময় শুধু গাছ-ফুল পরিচিতি মূলক পোস্ট লিখে দৃস্টি আকর্ষণ করেছিলেন।হয়ত নির্বিচারে গাছকাটার ফলে গাছের স্বল্পতার কারনেই ইদানীং গাছপালা নিয়ে কম লিখেন।
চিটি (হামিদা রহমান) ; নিজ গুনে কবিতা ভিন্ন মাত্রায় উপস্থান করতে সক্ষম হয়েছেন।
দূর্যোধন : দূর্যোধনের লেখা মানেই প্রচন্ড হিউমারস। প্রচুর পড়াশোনা,জানা একজন ব্লগার। ওর লেখার প্রতিটা শব্দই এক একটা আংগুল হয়ে মনের গভীরে কাতুকুতু দেয় সেই সংগে হাস্যরসাত্মক উপস্থাপনে কঠিন বাস্তবতা পাঠকদের চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।
ত্রিনিত্রি : চমৎকার লেখেন।
লেখোয়াড় : ভালো লেখেন, সুন্দর মন্তব্য করেন।
মাহী ফ্লোরা সব ধরনের লেখাতেই নিজের যোগ্যতা ও স্বকীয়তা প্রমান করেছেন।
জামিনদার : বন্ধু বৎসল, বিনয়ী এবং অনেস্ট।
শেখ আমিনুল ইসলাম : খুব সচেতন নাগরিক ব্লগার। সৃজনশীল, বিশ্লেষণী লেখায় এবং পাঠে মনোযোগী।
নাআমি : পেশায়, চিন্তা চেতণায় এবং লেখায় অত্যন্ত দ্বায়িত্বশীল একজন ব্লগার।
দারাশিকো খুব মেধাবী একজন ব্লগার। সিনেমা রিভিউ লেখার জন্য বিখ্যাত।
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল : পেশায় উচ্চপদস্থ্য সরকারী আমলা। প্রচন্ড অনেস্ট, বিণয়ী, ভদ্র প্রচার বিমূখ একজন ব্লগারের নাম এ টি এম মোস্তফা কালাম। যিনি আমার ব্যাক্তিগত বন্ধু-এটা আমার অনেক বড় পাওয়া।
মেহবুবা : খুব কম লেখন-কিন্তু যা লিখেন তা পরিচ্ছন্ন ভাবেই লিখেন। নিজ পেশার মতই তাঁর মানবিক মূল্যবোধ টনটনে। আমার অসুস্থ্যতার সময় আমার সুস্থ্যতা কামনায় তাঁর যে আন্তরিক উদ্ববিগ্নতা, আকুতি দেখেছি-তা বোধহয় চিরন্তন মাতৃত্বের প্রতিচ্ছবি।
বড় বিলাইঃ ইনিও একজন চিকিতসক। লেখালেখিতে সিদ্ধ হস্ত। শিশুতোষ মনোভাবটা এখনও বিরাজমান-যা সততার প্রতীক।
নীরব 009 : আমার খুব পছন্দের একজন ব্লগার। ইতোমধ্যেই লেখার নিজস্ব একটা ধারা তৈরী করেছেন-যা পাঠকদের মনোযোগ কেড়েছে।
ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন : রম্য পোস্ট খুব ভাল লেখে। জেনে শুনে গুছিয়ে লেখেন-যা পাঠকদের মনোযোগ বিচ্চুত করতে পারেনা।
দিনমজুর : এন্টি স্টাবলিস্টমেন্ট, জনসচেতণ আদর্শীক চিন্তাশীল একজন ব্লগার। যেকথাগুলো আমি বলতে চাই-কিন্তু ভালো লিখিয়ে নইবলে নিজে লিখতে পারিনা-সেই বিষয়টা অত্যন্ত সুন্দর করে অকপটে লিখে যান আমার অন্যতম প্রিয় ব্লগার দিনমজুর।
একরামুল হক শামীম : সব ভাল কাজের সাথে সংশ্লিষ্ঠ এবং দ্বায়িত্বশীল ব্লগার। ব্লগের বাইরেও অসম্ভব প্রানবন্ত একজন মানুষ শামীম। ওকে সবাই ভালোবাসে, স্নেহ করে।
পাহাড়ের কান্না : চমতকার কমেডি কবিতা/ছড়া পোস্ট লেখায় অবশ্যই পহেলা নম্বরের ব্লগার। ওর লেখা পড়লেই আমি কিশোর হয়ে যাই।
দাসত্ব : গবেষণাধর্মী লেখায় সিদ্ধহস্ত। তথ্য প্রমান ভিন্ন কোনো লেখা লেখেননা।
ত্রিশোনকু : ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ। সত্যকে সত্য, মিথ্যাকে মিথ্যা বলতে অকুতভয়-যার প্রতিফলন লেখায় ও মন্তব্যে।
নাজনীন খলিল : আমার অন্যতম প্রিয় কবি ব্লগার। তিনি আমার লেখারও প্রসংশা করতেন।একজন বদ ব্লগারের মিথ্যা তথ্যে বিভ্রান্ত হয়ে একটা খারাপ মন্তব্যে তাকে কস্ট দেই। আমি আমার ভুলের জন্য তাঁর নিকট দূঃখ প্রকাশ করি এবং তিনি নিজ মহানূভবতা আর মাতৃ স্নেহে আমাকে ক্ষমা করেদেন।তাঁর মহানূভবতায় আমি ঋণী।সেই উদ্যোগে স্বার্বিক সহায়তা করেছিলেন সুলতানা শিরিন সাজি ও সবাক।
তিনি আমাকে তাঁর কাব্য গ্রন্থ্য “"বিষাদের প্রখর বেলুনগুলো"” গিফট করেছিলেন।
ফিউশন ফাইভঃ যাকে আমরা ভালবেসে ফিফা নামেই ডাকি। একজন রহস্যময় গুনী ব্লগার -যার প্রতিটি পোস্টই পাঠকদের জন্য মাইল ফলক। ফিফা আমার অন্যতম প্রিয় ব্লগার।
ইউনুস খান : ভালো মানুষ। লেখালেখিতে এখন সময় দিচ্ছেনা-রাজনীতিতে ব্যাস্ত। রাজনীতিতে ইতোমধ্যেই জেল খাটাও উদ্ববোধন করেছে-সেই সংগে সম্প্রতি জীবন সংগীনির জেলে আবদ্ধ হয়েছে!
শ।মসীর : পার্ফেক্ট জেন্টেল ম্যান। দ্বায়িত্বশীল, প্রচন্ড মানষিক দৃঢ়তা সম্পন্ন। যা বিশ্বাস করে-তা জেনে বুঝে শুনেই করে। লেখায় সুন্দর ভাবে তুলে ধরে খুটিনাটি । শামসীর একজন ভাল ফটোগ্রাফারও বটে।
জসিম : মেধাবী ব্লগার। শিক্ষা বিষয়ক লেখায় তাঁর মন্তব্যগুলো অসাধারন যুক্তিযুক্ত।
জাহাজী পোলাঃ ভাল লিখেন, সুন্দর মন্তব্য করেন।সোমালীয় দস্যু কর্তিক বানিজ্যিক জাহাজ ছিনতাই ও আমাদের সমুদ্র সীমায় পরিবেশ দূষণ নিয়ে ওনার দুটো পোস্ট সামুতে মাইল ফলক হয়ে থাকবে।
ইমন জুবায়েরঃ নির্ভেজাল গুণী মানুষ! নিজ মনে প্রতিদিন লিখেন-যেনো যন্ত্র মানবের মেশিন মেড প্রডাক্ট পোস্ট! ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন ব্লগার। ব্লগে হাত কচলানো স্বভাব নেই-নিজ মনে লিখেই যাচ্ছেন, কারো ধার ধারেননা।।
স্বপ্নরাজ: অত্যন্ত মেধাবী, ভাল লেখে। পেশায় উচ্চ পদস্থ্য ব্যাংকার-কারো জন্য কিছু করতেই সদা ব্যস্ত! এতো কম বয়সেই তার যোগ্যতার প্রমান রেখেছেন পেশাগত জীবনে। আমি ভবিষ্যত বাণী করছি- একদিন তাকে আমরা পাবো কোনো ব্যাংকের সর্বচ্চ পদে।
মূখ ও মূখোশঃ সুদর্শন, নিরিহ,ভদ্র শান্ত প্রকৃতির মানুষ-দেখলেই মনে হয় আমার ছোট ভাই! ব্লগে লেখায় নিজ রাজনৈতিক দর্শন তুলে ধরতে দ্বিধা করেনা।
ডেইফ: সুশিক্ষিত, সুন্দর মনের আবেগী নিপাট ভদ্র মানুষ।
ব্লগে অল্প কিন্তু অপূর্ব সুন্দর লিখে-চমতকার মন্তব্য করে আমার প্রিয়দের তালিকায়।
আহাদিল : অনেক কম লিখে অনেক বেশী জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন নিজ মেধা ও যোগ্যতায়। আকর্ষনীয় ব্যাক্তিত্ব, রুচীশীলতার পরিচয় লেখায় ও মন্তব্যে।
সুচিন্তিত মতবাদ : একজন বিশ্বস্ত মানুষ। আমার নিজ হাতে গড়া একজন ব্যাবসায়ী। আমার সাথে ১০ বছর কাজ করে শিক্ষা সততা, মেধা, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতায় এখন নিজেই একটি রপ্তানীমূখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক। সহজ সরল রমণী নামক ব্লগার ওর একমাত্র স্ত্রী। বছর তিন যাবত সুচিন্তিত প্রচন্ড ধার্মীক হয়ে যায়।ব্লগে নিজে টুকটাক মন্তব্য করলেও ওর বৌর ব্লগিং নিষিদ্ধ করেছে!
ক্ষুধিত পাষাণ : একটি মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানীর পদস্থ্য কর্তা। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার ডিপার্ট্মেন্টের ছাত্র। আমার থেকে ২০ বছরের ছোট। আমাকে ভাই ডাকে। ওর বৌও একজন ব্লগার। নিক-সাহারা খাতুন -সত্যিকার সাহারা খাতুন। আমাকে ডাকে আংকেল! ওর নাম নিয়ে অনেক ব্লগার কটুক্তি করায় ব্যাথীত! ব্যাক্তিগত পরিচয় সূত্রে এখন মাঝে মধ্যে আমার, সুরঞ্জনা ও জুনের পোস্টে মন্তব্য করতেই লগইন হয়!
হাসান মাহবুবঃ আমার অন্যতম প্রিয় ব্লগার। সামুর ফুল টাইম ব্লগারদের অন্যতম। প্রচুর লেখেন এবং অবশ্যই ভাল লেখেন। আমি তাঁর কবিতার ভক্ত। আমি তাকে কবিতায় বেশী এগিয়ে রাখলেও তিনি গল্পেও ভিন্ন মাত্রা দিতে সক্ষম হয়েছেন।
লুৎফুল কাদের সুদূর প্রবাসে থেকেও আমার নিত্য সংগী বাপজী।
সুবিদ্ : একজন মেধাবী ব্লগার। কবিতা লিখেন। মন্তব্য করেন বুঝে শুনে। কাউকে খুশী করার জন্য নাপড়ে মন্তব্য করেনা।
সৈয়দ নূর কামাল: একজন কবি। হয়ত কবিবলেই খুব বেশী ভাল মানুষ।
গুপ্তঘাতক007 ভয়ংকর সুন্দর মন্তব্য করেন।
সাকিরা জাননাত: ভাল লিখতেন। এখন ব্লগে দেখিনা।
মাহমুদা সোনিয়া : খুব ভাল লেখেন, সুন্দর গুছিয়ে মন্তব্য করেন।অল্প দিনের লেখালেখিতে নিজিস্ব এক পাঠক শ্রেনী গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন নিজ মেধায়।
সায়েম মুন কবিতা,গল্পে সমান দক্ষতা যে ব্লগার-তার নাম সায়েম মুন।
জ্বীন : একজন ভাল পাঠক, ভাল মন্তব্যকারী ব্লগার। এখন সামুতে অনিয়মিত।
রাইসুল জুহালা: কম লিখেন কিন্তু যা লিখেন সবই ভাল লিখেন। ওনার লেখায় দ্বায়িত্ববোধ ও ব্যাক্তিত্বের পরিচয় পাওয়া যায়।
মনজুরুল হক: উনার অসাধারন কিছু লেখা আমার স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কিন্তু উনি বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই পাঠক ব্লগারদের মন্তব্যের জবান দেননা-যা পাঠকদের অসম্মানের শামিল।
রুবেল শাহ : ভাল কবিতা লিখতো। এখন ব্লগে দেখিনা।
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম : যদিও কম লিখেন, কিন্তু ভাল লিখেন। খুব সুন্দর যুক্তিপূর্ণ মন্তব্য করেন।
ডিজিটাল দূষ্টু ছেলে : এংরি ইয়াং,হার্ড লাইনার ব্লগার। রম্য লেখায় বেশ সফল হয়েছিল, তেমনি প্রতিপক্ষ ব্লগারদের অশ্লীল গালাগালিতেও সকল ব্লগারদের নজর কেড়ে ছিল। আমার লেখার অসম্ভব ভক্ত ছিল। এখন ব্লগে দেখিনা।
আইরিন সুলতানাঃ গুণী, সজ্জন ও ব্যাক্তিত্ব সম্পন্ন ব্লগার। আমার দেখা প্রায় সব ব্লগার্স গেটটুগেদার্সেই হাতে ছাতা দেখেছি-তাই আমি মজা করে "ছাতা আপু" ডাকায় মৃদু হেসে সম্মান জানাতেন।
বিডি আইডল: অত্যন্ত মেধাবী ব্লগার। ভাল লেখেন।
ফিরোজ-২: ভাল কৌতুক শেয়ার করেন।লেখা পড়ে মন্তব্য করেন।
জেরী: হাসি খুশী সুন্দর মনের খুব প্রিয় একজন ব্লগার- একসময় প্রচুর লিখতেন এবং সুন্দর মন্তব্য করতেন।এখন কদাচিৎ ব্লগে দেখা যায়।
রেজোওয়ানা : গবেষণা ধর্মী বিষয় নিয়ে খুব ভাল লেখেন। বেশ কয়েকটা লেখায় তা প্রমান করেছেন।
মোহাম্মদ লোমান : নির্বিবাদী, ভাল লেখক ব্লগার ছিলেন। সকলের সাথে সৌহার্দ্যতা বজায় রাখতেন। মাত্র একটি বিতর্কিত পোস্ট লিখে ব্যান হয়েছেন। তাঁর অন্য একটা নিক জোছনার আলো থেকে মাঝে মাঝে ২/১টি মন্তব্য করেন।
অণুজীব : অনেকগুলো ভাল লেখা পাঠকদের উপহার দিয়েছেন।
বিদ্রোহী ভৃগু ভাল লিখিয়ে ব্লগার।
রেজওয়ান মাহবুব তানিম : সুন্দর লেখেন। লেখায় মন্তব্যে-নিজস্বতা আছে।
চাটিকিয়াং রুমান: ভাল লেখেন। যেকোনো লেখা মনোযোগদিয়ে পড়ে মন্তব্য করেন।
নীলতারা: ছড়া কবিতায় সিদ্ধ হস্ত।
স্বদেশ হাসনাইন: কবিতা-গল্প দুটোই চমতকার লেখেন।
নুরুন নেসা বেগম : সব ভাল কাজের প্রেরণা হতে পারেন আমাদের সকলের শ্রদ্ধেয় এই গুণী মানুষটি। তাঁর জন্য শুভ কামনা।
চতুষ্কোণ: ভাল লেখেন। মনোযোগী পাঠক-তা তার মন্তব্য পড়লেই বোঝা যায়।
ডিসকো বান্দর : হিউমারস তিনিই করতে পারেন-যিনি সৎ ও মেধাবী,তার প্রমান প্রিয় ব্লগার ডিসকো বান্দর।
শূণ্য উপত্যকা: এখন ব্লগে দেখিনা বললেই চলে।ভাল লিখতেন এবং সুন্দর মন্তব্য করতেন।
পারভীন রহমান: ঢাবি'তে আমার ডিপার্টমেন্টের স্টুডেন্ট। একজন ভাল মানুষ। মজা করতে পছন্দ করেন।
আলিম আল রাজি : লেখালেখিতে নির্ভরতা ও দ্বায়ত্বশীলতার পরিচয় দেন।
অর্ফিয়াস : ভাল পাঠক, লেখক ও মন্তব্যকারী।
ময়নামতি : তারুণ্যে, আমোদে আমাদের অনেকের থেকে অনেক বেশী এগিয়ে। যেমন সুন্দর মন্তব্য করেন তেমন সুন্দর পোস্ট লেখেন।
শিপু ভাই : নামেই যিনি ভাই-তিনিতো অবশ্যই ভাল মানুষ। অধিকাংশ এক্টিভ ব্লগারের সাথেই দেখা হওয়া একজন ব্লগার। সকলের সাথে সৌজন্যতা বজায় রাখা তাঁর বাড়তি গুণ।
নষ্ট কবি : কেন কোন দূঃখে যে তিনি নস্ট কবি নাম ধারন করলেন! তাঁর লেখা পড়ে আমি বলি-ভাল কবি।
সুপান্থ সুরাহী : খুব সুন্দর লেখেন। গল্প-কবিতায় সমান পারদর্শী।
হ্যামেলিন এর বাঁশিওয়ালা: গান নিয়েই তার সব লেখা। আমি আদর করে,স্নেহ করে বলি –গান ওয়ালা।
স্বাধীকার : যুক্তি সংগত লেখা লেখেন এবং যেকোনো লেখা পড়ে, বুঝে অত্যন্ত গুছিয়ে মন্তব্য করেন।
বিতর্কিত বিতার্কিক : ছাত্র জীবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র, তুখোড় তার্কিক। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াও অনেক লেখা পড়া জানা একজন ব্লগার। ভাল পাঠক-তাই বুদ্ধিদীপ্ত, সুন্দর মন্তব্য করেন।
দস্যু রত্নাকর: অল্প লিখেন-কিন্তু যা কিছু লিখেছেন তা মানোত্তীর্ণ।
দেশী পোলা: লোক ভাল কিন্তু আজ্রাইলের পোষাকে বুকে কাপণ ধরিয়ে দেওয়া একজন ব্লগার। নিজের বিশ্বাস প্রকাশে অটল।
ত্রাতুল : ভাল, খুব ভাল কবিতা লেখেন।
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো...: খুব সুন্দর লিখেন। তথ্য উপাত্য এবং যুক্তি নির্ভর লেখায় সফল।
~মাইনাস~ নিক মাইনাস হলেও ভাল লেখার ভাল পাঠক-তাই তাঁর মন্তব্যগুলোও হয় অসাধারন।
জাতির নানা বুদ্ধিদীপ্ত রসবোধ সম্পন্ন একজন ব্লগার।
আনিসুজ্জামান উজ্জ্বল, মেসবাহ য়াযাদ, সাইমুন, নীল-দর্পণ, তন্ময় ফেরদৌস, সাইফুল হাসান সিপাত, লুকোচুরি, নাঈম, বাংলাদেশী পোলা, আবদুল্লাহ আল মনসুর, সেতূ, সরল মানুষ, জান পরী, পরিযায়ী স্বর্ণমৃগ,ইমুব্লগ নিকের স্বজ্জন ব্লগারদের মিস করি।
আমরা হারিয়েছি-মাহাবুব মাতিন,নোবেল বিজয়ী টিপু, রাজিত রহমান,সাগর সরোয়ারসহ অনেক প্রিয় ব্লগারদের-সকলের জন্য শ্রদ্ধাঞ্জলি।
"শেষ হইয়াও হইলনা শেষ"! লক্ষাধিক ব্লগারদের মধ্যে অনেক অনেক গুনী ব্লগারদের নিয়ে লিখতে নাপারার ব্যার্থতা আমারই!
তবে সকল ব্লগারদের শুভেচ্ছা।