ওপরের ছবির বক্তব্য সত্য কিনা আমি জানিনে, তবে সত্য না হলে ছবিধারীর প্রতিবাদ করা উচিত। শুধুই তাই নয়--যারা এই ছবির সাথে তার সম্পর্কে মানহানীকর কথা প্রচার করছে--তাদের শাস্তি হওয়াও দরকার। এজন্য (লাইবেল) মানহানী মামলা করা যেতে পারে--যেখানে বলা হয়েছে যে, কারো সুনাম বা মর্যাদা নষ্টের অভিপ্রায়ে কেউ যদি এমন অপপ্রচার লিখিতভাবে চালায় যাতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি রুষ্ট হবেন এবং তার সুনামহানী হয়েছে বলে তিনি মনে করবেন। তবে এই সুনামহানী উক্ত ২জন জানলেই হবেনা ৩য়জনের কাছেও প্রচারিত হতে হবে। তবেই একে লাইবেল মানহানী বলা হবে এবং অপমানিত ব্যক্তি আদালতে মামলা করে তার প্রতিকার পেতে পারেন।
আসলে মোবাইল অপারেটর ছাড়া মোবাইল হ্যাকিং সম্ভব কিনা জানিনে, সাঈদীর ব্যাপারে সত্য হোক মিথ্যে এসব প্রচারনাও মানহানীকর। তবে মানহানীর ঘটনাসম্বলিত প্রচারনা সত্য হলে মানহানীর ক্ষেত্রে আসামীরা আইনত ছাড় পাবারও অধিকারী হন।
এটা তথ্য অধিকার আইনেও বারিত যে, কারও একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা যাবেনা। তবে বিচারকের স্কাইপি আলাপে কোন ব্যক্তিগত আলাপচারিত ছিলনা এটাই তফাত, তা তার বউ বা আপনজনের সাথেই হোক আর জিয়াউদ্দিনের সাথেই হোক।
সাঈদী ও তার কথিত কন্ঠ নকলকারীর ক্ষেত্রে কিন্তু সুস্পষ্ট মানহানীর উপাদান রয়েছে। ব্যক্তি স্বাধীনতার অজুহাতে কারও মানহানী সমর্থনযোগ্য নয়। নতুবা আমার আপনার শত্রুরাও এই সুযোগ নিয়ে আমার বা আপনারও মানহানী ঘটিয়ে পার পেতে পারেন।
তাই আসুন আমরা সীমালঙ্ঘন থেকে বিরত হই এবং শত্রুতার আক্রোশেও কারো বেইজ্জতি না করি। (এসবি ব্লগ থেকেনেয়া ছবি)
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩২