{শুরু টা কৃষ্ণ তরুনের দু'টো চরণ থেকে।ভালো লাগা থেকে জুড়ে দিলাম আরো দু'টো চরণ।তারপর এলেন আমি বাঙ্গালি৭১, সামছা আকিদা জাহান,তিতি আনা ,জাকিরুল হক তালুকদার , সবাক দা, নাঈম , সুবিদ্ দা ।
সব মিলিয়ে কত টুকু কাব্যিক হয়ে উঠেছে,তার চেয়ে বড় হলো পুরো টা আমাদের সম্মিলিত ভালো লাগার প্রকাশ।
আসলে এটা একটা এক্সপেরিমেন্ট।বুঝলাম,কবিতা একান্তই কবির নিজস্ব ভাবনা,যা আর কারো সাথে মেলে না।
কৃতজ্ঞতা অবশ্যই কৃষ্ণ দা'র কাছে।}
==========================================
দেয়ালে তোমার তৃপ্ত মুখের ছায়ায় জমে আছে ক্লেদ;
নিঃসঙ্গ বারান্দায় ঘোর তোলে মধ্যরাতের বাতাস- ........কৃষ্ণ তরুণ
দেয়াল খামচে বেঁচে থাকে নির্জন হা-হুতাস
চোখের সামনে নগ্ন হয় স্মৃতির ব্যবচ্ছেদ। ........পাপী ০০৭
দেয়াল ঘড়িটার সাথে আমার ভীষন অভিমান
আমি স্থির, সে কেন অবিরাম চলে
চোখ ভেসে যায় ক্লান্ত জলের ঢলে
প্রানটা শুকিয়ে গেছে, রয়ে গেছে তোমার জন্য টান।.....আমি বাঙ্গালি৭১
কবিতার মত তোমার চোখ দুটি দেখে
হয়েছিলাম মুগ্ধ এক উজ্জ্বল ভোরে
সেই মুগ্ধতার জোয়ারে আজ শুধুই ভাটা
তুমি নেই আজ আমার স্বপ্নপ্রান্তরে।
ভোরের আলোয় আজ দেখিনা তো আর
তোমার আহবান
দেখি শুধু কুয়াশাচ্ছন্ন এক ঘোলাটে ভোর
সে শুধু হতাশারই জয়গান। .....................নাঈম।
আমি গদ্যের পথে চলি নির্ভিক
কবিতা আমার আসে না পাই না ছন্দের মিল
বিবেক আমাকে করেনা অপরাধী আমি
দুঃশাসনের কাছে কভু নত করি না মোর শির ........সামছা আকিদা জাহান
চলো পাখির বিয়ে দেখে আসি, দিগন্তে ঘুম পাড়িয়ে
তুমি তোমার মতোই থাকো, রোদ থাকুক-
তাপ পরবর্তী সমস্ত আলো থাকুক, এখানে অন্য কেউ আসুক
ভিন্ন কোলাহলে মূর্ছিত হোক অনন্তের চিৎকার ...... তিতি আনা
অতিথি পাখির মতো তুমি কালভেদে আসো
আর আমার স্বপ্নে বারবার দাও হানা
তুলে ধরো আমার কাছে ভঙ্গুর দুটি ডানা
বুঝি আমি; দুরে চলে গেছ;
তবু এখনো ভালোবাসো? ......জাকিরুল হক তালুকদার
হে দিকভ্রান্ত শরতের কাশ- আবার এসো
মানা করে দাও ঘাসফড়িং আর রোমান্টিক সব কীট।
আমার সাদা আলো- ভুল করে দেখে নিও কুয়াশার শরীর
আগামী হেমন্তে পোশাক বুননে মন দেবো। .................. সবাক
আসতে চেয়ে তোমার দেখানো পথে
ফুল দেখে হায় বৃথা চেষ্টায় ভুলগুলো রয় পরে
তবে কি হবেনা আর তোমার সাথে চলা
নাকি থুবড়ে পড়বো শেষে
হয়নি তো কভু চড়া যুধিষ্ঠিরের রথে । ................সুবিদ।
==========================================