দেহাবসানের পর
মৃতদেহের চোখে তাকাবো বলে
পাঁজর খুলে খুলে ধ্যান করেছি অবিরাম;
আজ-তক চোখ খোলা মৃতদেহের সন্ধান মেলে নি।
বোবার আর্তনাদ শব্দ-বর্ণে বিভাজিত হয়,
কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে মরচে ধরা যৌবন;আর
ফেনিল হয়ে ঝরে পড়ে জল,
মৃত চোখের।
প্রতিটা চোখে ভাঙ্গন লেগে আছে
মৃত্যুর কাছে হার মেনে যায় দেহ-কাষ্ঠ;
আপাদ-মস্তক রোদে পুড়ে কবেই নিঃশেষ তার!
রাতের শেষ প্রহরে ঘোষণা করেছে শশ্মানের প্রহরী-
কোথাও কোনো কবরের জায়গা নেই।
জানাজা নেই কোনো কাফন পরা লাশের,
চিতা জ্বলছে না কোনো সংখ্যালঘু তরুনীর,
দ্বি-দ্বন্দ্বে অসাড় হয়ে আছে চার্চের ঘুম।
বেলা ত্রি-প্রহরের পর;
অবশেষে পাওয়া গেলো চোখ খোলা মৃতদেহ;
অদ্ভুদ শুয়ে সাড়ে বারো হাত মাটির নিচে।
চোখের ভেতর নগ্ন সাপের আবাসন,
পাঁজর জুড়ে কালশিটে দাগ।
কাফনের ভেতর অর্ধ-অর্ধ পুড়ে মেশা চন্দনকাষ্ঠ-দেহকাষ্ঠ;
বাহিরে মৃত্তিকাবদ্ধ দন্ডায়মান নাবালক ক্রুশ।
দয়াপরবশ কোনো বিকলাঙ্গের খুদিত এলিজি:
'ওপারে কোনো অস্তিত্ব নেই মৃতদেহের'।
কবিতা টি চুয়েট ছাত্র ইউনিয়নের নিয়মিত প্রকাশনা বহ্ণি তে প্রকাশিত।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৪৮