আমি যখন ফটোগ্রাফি শুরু করি, তখন হাতে গোণা ১-২ জন এর হাতে ডি এস এল আর ছিল। দামও ছিল অনেক বেশি। আমি ওই সময়ে একটি ক্যামেরা কিনেছিলাম প্রায় ৭০,০০০ টাকা দিয়ে। কিনেছিলাম সেমিস্টারের টাকা দিয়ে। পরে তিন মাসে বিভিন্ন কাজ করে সেই টাকা উঠিয়ে নিয়েছিলাম ও পরে ভার্সিটির টাকা শোধ করি। একটু রিস্ক নিয়েছিলাম, এই আর কি।
অল্প এক দু জন ছাড়া আর কারও সহযোগিতা পাই নি। বন্ধু-বান্ধব প্রতিনিয়ত খোঁচাখুচি আর রীতিমত পচিয়েছে। আত্মীয়-স্বজন তো রীতিমত পাগল উপাধি দিয়ে দিল। তবুও তাদের আমন্ত্রণ জানাতাম দৃকে, যখন কোন এক্সিবিশন চলত, কেও আসতো না। এমনকি নিজের পরিবারের লোকজনও। বন্ধুবান্ধবের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি কস্ট দিয়েছিল আমাকে। বিন্দু পরিমাণ সহযোগিতাতো দুরের কথা, পেজ রিপোর্ট, ফেসবুক আইডি রিপোর্ট এসবই করতো। করে তারা নাকি এক ধরণের পৈশাচিক আনন্দ পেত।
যাই হোক, তবুও হাল ছারি নি। চেষ্টা চালিয়ে গেছি। প্রতিষ্ঠিত ফটোগ্রাফারদের কাছে কীছু শেখার চেষ্টা করেছি।
২০১০ এ প্রথম আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেলাম কানাডা থেকে। এরপরে আবীর আবদুল্লাহ সার বললেন একটা ওয়েবসাইট বানাতে। এর অনেক পরে ফেসবুকে একটি পেজ ২০১২ সালে।
মাত্র শুরু করেছি, এখনও অনেক পথ পারি দেয়া বাকি। তবুও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
আর এর ফলাফল আজ যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি পুরষ্কার গ্রহণ। যেতে পারিনি সেখানে, তাই ওরা ফেডেক্সে পাঠিয়ে দিয়েছে পুরষ্কার।
www.jbigallery.com
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০১৬ রাত ৯:৫২