নবি প্রতারণা করলে আল্লাপাক নবিকে হত্যা করতেন!
হা হা হা হা হা। কোরানের আয়াত এরকমই।
হাসি চেপে একটি কাজ করেন। সুরা আল হাক্কাহ (সুরা নম্বর ৬৯) এর ৪০ থেকে ৪৭ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়ে যান। এই আয়াতগুলোকে এখানে দেই, দেখেন
নিশ্চয়ই উহা (কোরআন) একজন সম্মানিত রসূলের বাণী।
এবং এটা কোন কবির কালাম নয়; তোমরা কমই বিশ্বাস কর।
এবং এটা কোন গণকের কথা নয়; তোমরা কমই অনুধাবন কর।
এটা (কোরান) বিশ্বপালনকর্তার কাছ থেকে অবতীর্ণ।
সে (মুহাম্মদ) যদি আমার নামে কোন কথা রচনা করত,
তবে আমি তার দক্ষিণ হস্ত ধরে ফেলতাম,
অতঃপর কেটে দিতাম তার গ্রীবা/প্রধান ধমনী। (সুম্মা লাক্বাত্বা’না মিনহুল ওয়াতিন)
তোমাদের কেউ তাকে রক্ষা করতে পারতে না।
(সুরা হাক্কাহ, ৬৯; আয়াত ৪০-৪৭)
একটু তফসির না করলে এর রস আস্বাদন করতে পারবেন না। হজরত যখন দাবি করা শুরু করলেন আল্লাহ তার উপর আয়াত নাজিল করছেন তখন অনেকে স্বভাবতই সন্দেহ করল। তাই মুহাম্মদ বার বার দোজখের ভয়ংকর আযাব, জান্নাতের সীমাহীন লোভ দেখানো শুরু করলেন। তারপর এই আয়াত। নবি নিজে নিজে যদি কোরানের আয়াত রচনা করতেন তবে কী ভয়ংকর পরিণতি হত সেটা আল্লাপাক তাকে জানিয়ে দিচ্ছেন! কী হাস্যকর! এর ভয়ংকর বিবরণ শুনলে মানুষ ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়ে আর নবিকে প্রশ্ন করার সাহস করবে না। আল্লাপাকের নামে নবি আয়াত রচনা করে চালিয়ে দিলে আল্লাপাক গ্রীবা কেটে দিতেন, কেঊ তাকে রক্ষা করতে পারত না। যেহেতু গ্রীবা কেটে দেয়া হয় নি তাই এক্কেরে নিশ্চিত কোরান আল্লার বাণী! (অনেক অনুবাদক ‘ওয়াতিন’ শব্দের অর্থ করেছেন প্রধান ধমনী। এটি কেটে দিলে মানুষের তাৎক্ষণিক মৃত্যু ঘটে। মানে একই কথা, পৈশাচিক পন্থায় হত্যা করা)।
এতে আল্লাহ ওরফে মুহাম্মদের যে চেহারা আমাদের সামনে ভেসে উঠে তা এরকম হতে পারে –
ধরেন আপনার একজন বিশ্বস্ত দাস আছে। আপনি তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো দায়িত্ব দিলেন। একই সাথে ঘোষণা করলেন যদি সে আপনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে তবে তাঁর গলা কেটে দিবেন। হয়ত শেষ পর্যন্ত সে তা না করায় তাঁকে হত্যা করার প্রয়োজন হয় নি আপনার, কিন্তু এহেন ঘোষণায় আপনার চরিত্র ও বৈশিষ্ট সম্পর্কে কী জানা গেল? এ ধরণের হীন ঘোষণা খুবই বদমেজাজী, অত্যন্ত ইতর কারো কাছ থেকে আসতে পারে শুধু, তাই না?
পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু, মহাবিশ্বের মহারাজা আল্লাপাক নবির অসততার শাস্তি হিসাবে প্রথমে কুস্তি করবেন অর্থাৎ ডান হাত চেপে ধরবেন। আচ্ছা, বাম হাত না কেন? তারপর আল্লাপাক যা করবেন তা ভয়াবহ। এই আল্লাপাক ওরফে মুহাম্মদের বান্দারাই তো তাকে অনুসরণ করে মানুষের গলা কাটবে, তাই না? মুমিনরা যে মানুষের কল্লাকাটার নূরানি স্বপ্নে বিভোর সেটা এমনি এমনি হয় নাই, নি:সন্দেহে সেটা এসব অশ্লীল, আজগুবি এবং একই সাথে কৌতুককর আয়াতগুলোর অনিবার্য ফল।
অত্যন্ত স্পষ্ট যে এই আয়াত মুহাম্মদের স্বরচিত এবং তিনি পৌত্তলিকদের দেবতা আল্লাহকে একজন অসহিষ্ণু রাজার মত করে চিত্রিত করেছেন। কারণ মহাবিশ্বকে সৃষ্টি করার ক্ষমতাসম্পন্ন এবং একই সাথে যুক্তিবোধ-সম্পন্ন, শুভবোধ-সম্পন্ন কেউ একজন তুচ্ছ মানুষকে এভাবে কতল করার চিন্তা করতে পারেনা।
এবার প্রশ্ন হচ্ছে, এই আয়াতগুলোর উপযোগিতা কী? এতগুলো আয়াত এভাবে বাজে খরচ করা কেন? আল্লা যদি জানতেন যে নবি বিশ্বাসঘাতকতা করবেন না তাহলে এসব আয়াত নাজিল করারই বা প্রয়োজন কী ছিল? আল্লা কী বলতে পারতেন না ‘আমি নিশ্চিত জানি আমার নবি প্রতারণা করবে না।’ এতটুকু বলাই তো যথেষ্ঠ ছিল। বাচালতা আল্লাহ তো দূরের কথা একজন সাধারণ মানুষের জন্যই অশোভনীয়।
আরো বিনোদনের বিষয় হচ্ছে এ সুরার ৪০ নম্বর আয়াতে আত্মপ্রশংসা করে মহানবি বলছেন, নিশ্চয়ই উহা (কোরআন) একজন সম্মানিত রসূলের বাণী- ইন্নাহু লাক্বাওলু রাসুলিন কারিম। মুসলমানরা 'রসুলে করীম' বলতে মুহাম্মদকে বুঝান সব সময়। কোরানের এই আয়াতের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অনেকে আয়াতের অর্থ পাল্টে দেন। 'বাণী' এর পরিবর্তে বলেন 'আনীত' কিন্তু 'ক্বাওলু' এর অর্থ 'বাণী'। আবার এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কেউ কেউ এমনকি জিবরাইলকেও রসুল বানিয়ে ফেলেছেন অথচ কোরান জিবরাইলের বাণী নয়, জিবরাইল তথাকথিত মাধ্যম মাত্র। ধরেন আপনি একটি চিটি পাঠালেন আপনার বন্ধুকে, আপনার বন্ধু কি এখন বলবে এ চিটিটার কথা পোস্টম্যানের বাণী? অর্থাৎ কোরানের এ আয়াত থেকে বোঝা যায় কোরান মুহাম্মদের বাণী, তার দ্বারাই রচিত। শাঁক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না, কোরানে এভাবেই মাঝে মাঝে আসল সত্য বের হয়ে পড়েছে। অবশ্য এই আয়াতের পরেই আবার দানাই-পানাই শুরু হয়ে যায়। কোরান কোনো কবির বাণী নয়, গণকের বাণী নয় ইত্যাদি। এরপর কতল করার উপরোক্ত হুমকি। পুরো কোরান জুড়েই কী অদ্ভূত আর উদ্ভট গোজামিল!
আগের প্রসঙ্গে ফিরে যাই। যেমন ধরেন আপনি দাবি করলেন আল্লাহ আপনার উপর মাঝে মাঝে আয়াত নাজিল করে। আর আপনার এ দাবির সত্যতা প্রমাণে ঘোষণা করলেন -আল্লাহ আপনার কানে কানে বলে দিয়েছে যে কোনো দুই-নম্বরি করলে আল্লাহ আপনার ঘাড় মটকে দিত! হায়! আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগের মরুভূমিতে এত বড় মাপের একখান প্রতারক কিভাবে জন্ম নিয়েছিলেন? আরো বিস্ময়কর বিনোদনের ব্যাপার হচ্ছে, দেখেন মুহাম্মদের মৃত্যু কিভাবে হয়েছে। সহীহ বুখারী থেকে
মাগাজী অধ্যায় ::সহিহ বুখারী :: খন্ড ৫ :: অধ্যায় ৫৯ :: হাদিস ৭১৪
আয়শা বর্ণিত : রাসুল(সা) যখন মৃত্যু শয্যায় যে রোগে তিনি মৃত্যুবরন করেন, তখন প্রায়ই বলতেন- “আমি এখনও খায়বারে যে বিষ মিশান খাবার আমাকে দেয়া হয়েছিল তার জন্যে তীব্র যন্ত্রনা অনুভব করছি এবং আমার মনে হচ্ছে , আমার গ্রীবাদেশ যেন সেই বিষক্রিয়ায় কাটা যাচ্ছে”।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৮