ছবি গুগল থেকে।
ঘুষের টাকা ভাগ করতে গিয়ে দুই পুলিশ ঝগড়া করেছে।
এক ইয়াবা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারের পর দেড় লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। সেই টাকা দুইজনের মধ্যে ভাগ হওয়ার কথা। কিন্তু দেশে তো ইনসাফ বলে কিছু নেই। কাজেই পুরো টাকা একজন পুলিশই নিয়ে নেন। খুব স্বাভাবিক কারণে অন্যজন এতে ভীষণ রুষ্ট হোন। সেই বেদনা থেকে তিনি আবার অভিযান চালান। কিছুক্ষণ আগে মুক্তি পাওয়া ইয়াবা ব্যবসায়ীকে ধরে জেলে পুরে দেন।
সাধারণত এই ধরণের খবর ছাপা হলে পুলিশ বিষয়টা অস্বীকার করে। কিন্তু এই খবরটি পুলিশ অস্বীকার করেন নি। বঞ্চনার স্বীকার পুলিশ ভাইটি অকপটে পুরো ঘটনা স্বীকার করে তার ক্ষোভ এবং বেদনার কথা সাংবাদিককে জানিয়েছেন।
পুরো ঘটনাটি অত্যন্ত হৃদয় বিদারক। সামান্য দেড় লাখ টাকা আর মাত্র দুইজন পুলিশ । টাকাটি ন্যায্যভাবে ভাগ করা কি খুবই কঠিন কাজ ছিলো? এইটি আমাদের পেশাদারী দক্ষতা? এই প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?
আর যিনি ঘুষ দিয়েছেন, তিনিও তার দায় এড়াতে পারেন না। তার উচিত ছিল পুরো টাকাটি দুই ভাগ করে দুই পুলিশকে দেয়া। আলাদা আলাদা খামে। উপরে স্পষ্টাক্ষরে নাম লিখা।
ঘুষ দেয়াই তো শেষ কথা নয়। জায়গা মতো টাকাটা দিচ্ছেন কিনা, সঠিকভাবে সেই টাকা বন্টন হচ্ছে কিনা, এসবের ব্যাপারে আরও অধিক মনোযোগী এবং কৌশলী হতে হবে।
সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে, টাকার সাথে একটি ক্যালকুলেটর দেয়া। বাজারে সুলভ মূল্যে মাত্র দেড়শ টাকায় এই হিসাব যন্ত্রটি পাওয়া যায়।
তবে হ্যাঁ, ক্যালকুলেটর দিলেই হবে না।
যাকে ঘুষ দিচ্ছেন, তাকে বলে দিতে হবে, দেড় লাখ টাকাকে দুই দিয়ে ভাগ দিয়েন ভাই।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের যুগ এটা। ভাগ দেয়ার বদলে এরা যদি গুণ দিয়ে বসে, তাহলে আপনার কপালে আরও দুর্ভোগ লেখা আছে। দিবেন দেড় লাখ টাকা, কিন্তু প্রত্যেকের ভাগে পড়বে তিন লাখ টাকা! সমস্যা আরও কেঁচিয়ে যাবে।
বুদ্ধিমান হউন, সঠিকভাবে কাজ করুন।
কালেক্টেড পোস্ট।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:২৯