দুঃখিত যান্ত্রিক নগর, তোমার কোলাহলে কাব্যিক ভাষা বাধাগ্রস্থ হয়ে
লড়ছে মানুষ জীবিকার তালাশে, বেকারত্বের হারে!
আর ঘরে বসে অলস সাজে ভাবনার সাগরে ডুব দিচ্ছ
তুমি, সাংবাদিকের চায়ের কাঁপে।
সম্মুখে আজ অগ্রভাগ
নিম্নে উতলা ধরণী ক্লান্ত!
মস্তিষ্কে প্রচন্ড যানযট, তাই
স্বপ্নগুলোও অবারিত ও বারন্ত।
কল্পনার সাগরে বুধ হয়ে বাস্তবতাকে আড়াল করে
কতটা ঢেকে রাখা যায় বল হৃদয়ের রক্তকরন,
অন্ধকারের আধারে হাতাশার অতলে
ঝড়ের তোরে ছিঁড়ে যাওয়া নাবিকের মাস্তুল।
দুপুরের প্রখর রোধের, কড়া তাপে
সোনালী ধান পাকে কৃষকের মাঠে,
তারি মাঝে বেলার বুকভরা প্রার্থণাতে
খরা হয়ে যদি বৃষ্টি নাহি আসে।
মানসিক বিষাদের অনুশাসনে
দুষ্কৃতকারী সামাজিক নোংরামি ,
নিশ্চুপ বসে থাকা অপমানিত সৈনিকের
নীরব অশ্রুসিক্ত প্রতিবাদের শোধ।
তারি মাঝে তুমি গান গেয়ে যাও
একটি শালিকের তরে . . .
মধ্য-দূপুরের কল্পনার স্রোতে
ঝড় হয়ে সাইক্লোন ছুটে
তোমার ভাবনার অন্তরালে!
অনিশ্চিত কিন্তু অবধারিত
তোমার ভাবনাতে রাজ্যের নীতি!
বাস্তবিক সত্য, সেটাকে উপেক্ষা করে
কিছু শব্দ রেখে গেলাম . . .
মরণ হয়ে জীবনের তরে।
লেখাটি সিলেটের প্রখ্যাত বাংলাদেশের স্বনামধন্য ‘সবজান্তা‘ ভূষিত শ্রদ্ধেয় সিনিয়র স্যার
মজলুম কাব্যের নেতা ভাষাসৈনিক আবু হেঁনা , এর নাম স্মরণে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৩১