এই ছবিগুলা দেখার পর আমি নির্বাক । শুধুমাত্র পোস্টে যেমনটি লেখাছিল ঠিক তেমনি করে তুলে দড়ছি। পরে যদি বিস্তারিত জানতে পারি লেখাটি সংস্করণ করে নেব। তাই আপাতত সাময়িক পোস্ট নাম দিয়েছি প্রয়োজনে শিরোনামও পরিবর্তন করবো।
আমাদের কোন মন্তব্য নেই।
একটু আগেই ছবিগুলো এসেছে আমাদের কাছে। ছবিগুলো সম্ভবত তুলেছেন - সৈকত মজুমদার সাহেব।
স্থান - চন্দ্রিমা উদ্যান, ঢাকা
সময় - সম্ভবত আজ কালের মধ্যেই।
---------------------
ছেলেটি একটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক। সে এখনও শিশু আইনের মধ্যেই আছে। আমাদের এই সব পথ শিশু প্রায় অধিকার থেকে বঞ্চিত। এই পথ শিশুগুলো আমাদের বাচ্চাদের মত সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারে না। তাই আজকে এই শিশুগুলো অভাবের তারণায় কিছু ভুল হতে পারে। এরা বড় হয়ে অনেক ভাল মানুষ বাবু দেশের সুদক্ষ জনশক্তিতে পরিণিত হতে পারে। কিন্তু এদের অবজ্ঞা,অবহেলা ও পশুর মত আচরণ করলে, এরাও বড় হয়ে পশু ও সিরিয়াল কিলারের মত চরম জগণ্য পথ বেছে নিতে পারে।
ছবিতে যা দেখা গেল, এতে বোঝা যায় একটি হিংস্র ক্ষতিকর পশু কে যেন প্রতিহত করছে। এছাড়াও আইন হাতে তুলে নেওয়া বা তার শারীরিক ক্ষতি সাধন এর জন্য কেউ জবাবদিহির বাইরে না। অবস্যই একটি অপরাধের করার প্রবনতার সম্ভাবনা কিন্তু এই ছবি থেকে পাওয়া যায়। আর যদি অপরাধের সাথে জড়িত থাকে, তাহলে এদের আইনের আওতায় এনে সংশোধনী কারগারে প্রেরণ করা যেতে পারে। আইন হাতে তুলে নিয়ে এই কাজগুলো কে সমর্থন করলে শিশুদের প্রতি অত্যাচার বা অবিচার বৃদ্ধি পেতে পারে। যে অত্যাচার শিশুদের প্রতি আমাদের দেশে হয়, এগুলো কিন্তু সংখ্যায় একেবারে কম নয়।
সংশ্লিস্ট মহলের প্রতি তিব্র নিন্দা জানাচ্ছি আর সাবধান করে দিচ্ছি সাধারণকে বাধ্য করবেন না পুলিশকে নতুন করে আইন শিখিয়ে দিতে!
একটা শিশু যাই করুক, তার মানে এই না যে তাকে নির্যাতন করা যাবে। আর সে কি করছে সেটা এখানে দেখানো হচ্ছেনা। কত বয়স ছেলেটার? বেশী হলে ১০-১২ ??? বা তারও কম?
'বাংলাদেশ শিশু অধিকার অধ্যাদেশ-২০১৩ এ শিশুদেরকে বিশেষ অধিকার প্রদান করা হয়েছে। এই আইনে কোন শিশুকে গ্রেফতারকালে তার হাতে হাতকড়া পরানো বা তার কোমরে দঁড়ি বাধার নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এমনকি এই আইনের মাধ্যমে কোন শিশু অপরাধীর মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন সাজাও রহিত করা হয়েছে। এ সব জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে কোন শিশু অপরাধ করলেও তার সাথে অমানবিক, নির্মম বা অবমাননাকর আচরণে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।’
জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদে (সিআরসি) স্বাক্ষরকারী দেশ বাংলাদেশ। এই সনদের অনুচ্ছেদ-৩ এ বলা হয়েছে, শিশুর সুরক্ষাই হবে যে কোন ক্ষেত্রে প্রধান বিবেচ্য। এই সনদে আরো বলা হয়েছে, কোন শিশুকে নির্যাতন করা যাবে না বা তার প্রতি নৃশংস, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ করা যাবে না। কোন শিশুই বেআইনীভাবে তার স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হবে না। তাকে আটক করতে হলেও যথাযথ আইন মেনে চলতে হবে এবং তাকে মুক্ত রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।’
Source:
লেখাগুলাও পোস্টের বিভিন্ন মন্তব্য থেকে নেওয়া।
অনেকে আবার ছেলেটি ড্যান্ডিখোর বলে পুলিশের হয়েও সাফাই গাচ্ছেন এই অবলা শিশুটির বিরুদ্ধে!
দেশে সাধারণ মানুষের মধ্যে পুলিশের অনেক আত্নিয়-স্বজন আছে মনে হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:১৭