প্রতিটা মানুষের জীবনে অনেক গল্প থাকে, সে যতো সাধারণ জীবনই যাপন করুক না কেন।
লেখক হবার একটা সুবিধা হলো, এই গল্পগুলো সবাইকে জানানো যায়।
কলেজ জীবন পর্যন্ত পত্র পত্রিকায় নিয়মিত লেখা করলেও পরিবর্তীতে ব্যস্ত হয়ে গিয়েছি পেশাগত কাজে।
আমি যে লিখতে পারি সে কথা আর মনে ছিল না।
সিঙ্গাপুরে আসার পর বাবাকে নিয়ে ছোট এই বিস্ময়কর শহরটি ঘুরে দেখাতে দেখাতে খুব ইচ্ছা হলো সবার সাথে এই মজার অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করি।
মোবাইলে রিদমিক ইন্সটল করে ছোট ছোট লেখা দিয়েই শুরু। আমার ফেসবুক বন্ধুরা অনেক উৎসাহ দিলেন।
সবেচেয়ে বিস্ময়কর হলো, অনেকেই আরো লেখা পড়ার জন্য অপেক্ষা করেন। দেখা হলে তাদের ভালো লাগার কথা জানান।
ফেসবুকে লেখার সুবিধা হলো, চট করে লেখা যায়, মোবাইলে হোক বা কম্পিউটারে হোক। অনেক মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। তার চেয়ে বড় কথা পাঠকের প্রতিক্রিয়া প্রায় সাথে সাথে জানা যায়।
গত ছয় বছরে আবিষ্কার করলাম অনেক বিষয়ে লিখে ফেলেছি, সাহিত্য, প্রযুক্তি, দর্শন, দেশ ভাবনা, ভ্রমণ, ছোটগল্প। এ সবগুলো বিষয়েই যে আমি বিশেষজ্ঞ, এমন নয়। তবে কৌতুহল থেকেই গাইতে গাইতে গায়েন টাইপ অবস্থা।
প্রতিটা লেখায় পুরোপুরি সৎ থেকেছি। আমি যা ভাবি, বলি, বিশ্বাস করি - তাই এসেছে। এর বেশীও না, কমওনা।
লেখকদের আশেপাশে অনেক মানুষের বক্তব্য, তোমার লেখা যত সুন্দর, বাস্তবের মানুষ আলাদা।
সাধারণত অনেক মানুষ অন্য মানুষকে বিচার করার নিজের অভিজ্ঞতার মাপকাঠিতে। সেটা সবসময় ঠিক হবে এমনও না।
যারা সৌভাগ্যবান, তাদের কাছের মানুষেরা হয়ত বুঝতে পারেন লেখকের লেখার সততাটুকু, মনের গভীরের অনুভূতিগুলো।
আনন্দের বিষয়, আমি এই সৌভাগ্যবানদের দলে।
ঈদের লম্বা ছুটিতে এই সবগুলো লেখা গুছিয়ে এক করে ফেসবুক নোট আকারে সাজালাম, যেন কেউ খুব সহজে প্রাসঙ্গিক লেখাগুলো একসাথে খুঁজে পান।
পত্রিকা বা প্রকাশনার সাথে জড়িত আমার অনেক বন্ধুই নিয়মিত লেখা দিতে বলেন। তাদেরকে কৃতজ্ঞতা।
এই নোটগুলো তাদের জন্যেও।
লেখাগুলোর কোনটি কারো প্রকাশ করার আগ্রহ থাকলে আমাকে জানিয়ে নির্দ্বিধায় প্রকাশ করতে পারেন।
সবার জন্য শুভ কামনা।
সবগুলো লেখার সংকলনের সূচি।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০২