প্রথমবার আমেরিকা যাত্রায় আমার মাথা পুরোপুরি খারাপ হবার যোগাড়। এর মূল কারণ এটা আমার প্রথম বিদেশ ভ্রমণ, তার ওপর সম্পূর্ণ একা, তারও ওপর পৃথিবীর এই মাথা থেকে ঐ মাথা, দুই দুইটা কানেক্টিং ফ্লাইট, সাকুল্যে ৩৬ ঘন্টা লাগবে পৌঁছাতে।
একেবারে শেষ মুহূর্তে মুম্বাইর প্লেন ধরেছি, আর একটু হলে আমাকে ছাড়াই প্লেন রওয়ানা হচ্ছিল। সেই আতংক কাটতে না কাটতেই প্লেন ছেড়ে দিল। জানলা দিয়ে দেখলাম চোখের পলকে কয়েক হাজার ফুট ওপরে উঠে মেঘের মাঝে হারিয়ে গিয়েছি। মেঘের মাঝে কী অদ্ভুত রৌদ্রছায়ার খেলা। কাব্যিক মনে উদাস হওয়ার বদলে আমার গা কাঁপতে লাগলো। প্লেনটাকে মনে হচ্ছিল একটা মুড়ির টিনে বাতাস ভরে হাওয়ায় ছেড়ে দিয়েছে। আমি দোয়া-দুরুদ পড়ে অপেক্ষা করতে থাকলাম কখন প্লেন মাটিতে পৌঁছে।
প্রথম দফায় মুম্বাই এয়ারপোর্টে ১০ ঘন্টার ট্রাঞ্জিট পড়লো। সাথে ভারতের ভিসা নাই, সুতরাং এয়ারপোর্টেই উদ্ভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরি করতে থাকলাম। কোথায় কি গুবলেট করে ফেলি বুঝতে পারছি না, সবকিছুই ধাঁধা লাগছে। নিজেকে পুরোপুরি "আদম" মনে হচ্ছে।
কিছুক্ষণ পরে আবিস্কার করলাম আমার চাইওতেও দ্বিগুণ উদভ্রান্ত দৃষ্টিতে দু'জন ঘোরাঘুরি করছে। জিজ্ঞেস করে তারা যখন জানলো আমিও বাংলাদেশী, তখন খুশীতে পারলে আমাকে জড়িয়ে ধরে।
এরা দু'জনে সম্পর্কে শালা-দুলাভাই, ভিজিট ভিসায় যাচ্ছে সাউথ আফ্রিকা, কিন্ত আসল উদ্দেশ্য চাকুরি। এজন্যে দালালকে ২৫ লাখ টাকা দিয়েছে। এটা শুনে আমার চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। এটা দেখে দুলাভাই উদাস গলায় বললো, এর আগেও দালালকে টাকা দিয়ে ধরা খেয়েছে। এবারের দালালের রেপুটেশন ভালো, এইজন্যে খরচ বেশি হয়েছে।
আমি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললাম, কি সহজেই না এদের প্রতারণা করা যায়। আবার মায়াও লাগলো, তাদের সারল্য দেখে।
শালা-দুলাভাই আমার সাথে সাথে ঘুরতে লাগলো, যাই দেখে তাতেই মুগ্ধ হয়। উদ্ভট সব প্রশ্ন করে, আমিও মাথা নেড়ে গম্ভীর মুখে জবাব দিই।
মুম্বাই এয়ারপোর্টের দোকানগুলোর ডিজাইন খুব সুন্দর, বেশিরভাগই "ওপেন কন্সেপ্ট" এ সাজানো, কোন দরজা নেই। মনে হচ্ছিল কোন বিলাস বহুল বাড়ির ড্রয়িং রুমের মাঝ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি।
ঘুরতে ঘুরতে আমাদের ক্ষিদে পেয়ে গেল। সমস্যা হলো আমাদের কারো কাছেই ইন্ডিয়ান রুপী নেই। আমার কাছে যাওবা ইউএস ডলার আছে, শালা দুলাভাই কাছে আছে শুধু বাংলাদেশী টাকা। আমি জিজ্ঞেস করলাম বাংলাদেশী টাকা দিয়ে সাউথ আফ্রিকায় কি করবে। শালা বললো, ডলার কোথায় পাওয়া যায় তারা জানেনা। সেজন্যে বাংলা টাকা নিয়ে নিয়েছে যদি কোথাও কাজে লাগে। এটা শুনে আমার অবাক হওয়া উচিৎ কিনা বুঝতে পারছিলাম না।
যাই হোক ওদেরকে নিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম। রেস্টুরেন্টটা অনেক সুন্দর। নানা দেশের মানুষ আসা যাওয়া করছে ভারতীয় খাবার খেতে। নানান খাবারের সুবাসে মৌ মৌ করছে।
খাওয়া-দাওয়া ভালোই হলো। ডলারে বিল দেবার পরে অনেক-গুলো ভাংতি ডলার পেলাম। দুলাভাই কাঁচুমাচু করে কি যেন বলতে চাইলো। আমি তাকাতে বললো, আফ্রিকায় নেমে ফোনের সিম কিনতে চায় বাড়িতে ফোন দিতে। আমি কিছু ডলার দিলাম। সত্যি সত্যি যে কেউ তাদের এভাবে ডলার দেবে এটা মনে হয় ভাবেনি। তারা এতো অবাক হলো যে বলার নয়। কিছু বাংলাদেশী টাকা আমার হাতে ধরিয়ে দিল দুলাভাই।
ভরপেট খেয়ে আমাদের সবারই চোখ ঢুলু ঢুলু অবস্থা। বাংলাদেশ সময়ে গভীর রাত। আমার ফ্লাইট আগে। একটা ঝিমুনি দেবো কিনা বুঝতে পারছি না। ব্যাগে ফোন আছে। কিন্তু চার্জ নেই বলে এলার্ম দেবার উপায় নেই। দুলাভাই দরাজ গলায় বললো, ভাই ঘুমান, টাইম হইলে উঠায়া দিবো।
কিন্তু সমস্যা হলো আমরা তিন জনেই ঘুমিয়ে পড়লাম।
সৌভাগ্যবশত আমার ফ্লাইটের কিছু আগে দুলাভাইর ঘুম ভেঙ্গে গেল। আমাকে ওঠালো, শালাকেও ওঠালো।
এবার বিদায় বেলা। শালা-দুলাভাই'র চোখ ছল ছল করছে। সম্পূর্ণ ভিনদেশে নিজের দেশের মানুষ তাদের কোন উপকার করবে এতটা সম্ভবত আশা করেনি। কয়েক ঘন্টায় আমি যেন তাদের খুব কাছের আত্মীয় হয়ে গিয়েছি। দু'জনেই আমাকে জড়িয়ে ধরে চোখ মুছতে লাগলো।
পৃথিবীর যে প্রান্তেই যাই না কেন, যেভাবেই থাকি না কেন, আমরা বাংলাদেশীরা সাথে করে আমাদের বিশাল হৃদয়টা নিয়ে যাই। বিদেশের মাটিতে একটুকু ভালোবাসার স্পর্শে আমাদের অস্তিত্বের পুরোটুকুই দিয়ে দিই। আর চোখ মুছতে মুছতে ভাবি, কবে দেশে যাবো।
ওহ আমেরিকা!
পাইলট যখন ঘোষণা দিল, আর কিছুক্ষণের মাঝেই আমরা যুক্তরাষ্ট্রের মাটি স্পর্শ করবো, আমি প্লেনের জানলা দিয়ে তাকালাম।
বিশাল জলরাশির ওপর দিয়ে উড়তে উড়তে প্লেন নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। উত্তেজনায় আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসার অবস্থা। এই সেই আমেরিকা!
প্লেন থেকে বের হয়ে সেই উত্তেজনা অন্যদিকে ধাবিত হলো।
অন্য দেশের ইমিগ্রেশনে এটা আমার প্রথম অভিজ্ঞতা। কি করবো এখনো পুরোপরি বুঝে উঠতে পারছিনা। অন্য যাত্রীদের পিছু পিছু যেতে লাগলাম, দেখি কী হয়। গিয়ে পড়লাম ইমিগ্রেশনে। আমাদের বসতে দেয়া হলো কয়েকটা কাউন্টারের সামনে।
বেশীক্ষণ কোথাও বসে থাকতে ভালো লাগেনা আমার। নতুন দেশে কোন ঝামেলায় পড়ি এই ভয় না থাকলে হয়তো আশপাশটা ঘুরে দেখতাম। আমি সুবোধ বালকের মতো বসে চারদিকের মানুষদের দেখতে থাকি। সাদা-কালো-এশিয়ান সারা পৃথিবীর সব দেশের মানুষ, এতো কম সময়ে আগে কখনো সামনা সামনি দেখিনি।
একটা তরুণ ছেলেকে দেখলাম লাফ-ঝাঁপ করছে। মনে হচ্ছে খুবই মজার একটা জায়গায় এসেছে। লাফ-ঝাঁপ করাটা সেই মজার অংশ। একটু পরে পুলিশ এসে তাকে ক্যাঁক করে ইন্টারোগেশন রুমে নিয়ে গেলো। এটা দেখে আমি কিঞ্চিৎ ঘাবড়ে গেলাম। নিজের চেহারা যথাসম্ভব নিরীহ করে ফেললাম। ভাজা মাছ উলটে খাওয়াতো দূরে থাক, ভাজা মাছ কি সেটাই জানিনা!
অবশেষে আমার ডাক এলো। আমি গুটি গুটি পায়ে ইমিগ্রেশন অফিসারের রুমের দিকে গেলাম। রুমে ঢুকতেই পরিস্কার বাংলায় কে যেন বললো, “দেশের বাড়ি কোথায়?”
আমি পুরোপুরি বিভ্রান্ত হলাম। একবার ভাবলাম, অতিরিক্ত উত্তেজনায় হেলুশিনেশন হচ্ছে। পরে দেখলাম, না, সবই ঠিক আছে। ইমিগ্রেশন অফিসার একজন বাংলাদেশী, আমার দিকে হাসি হাসি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
অফিসার খুব ভালো ব্যবহার করলেন। জিজ্ঞেস করলেন কেন এসেছি, কোথায় উঠবো। তারপর পাসপোর্টে সিল লাগিয়ে আমার হাতে দিয়ে সুন্দর একটা হাসি দিয়ে বললেন, আমেরিকা অনেক সুন্দর দেশ, আপনার অনেক ভালো লাগবে, এঞ্জয় দ্য ট্রিপ!
আমার যেন ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়লো।
কোন কিছুতে বিস্মিত হলে আমেরিকানরা 'হলি কাউ' বলে।
ইমিগ্রেশন থেকে বের হয়ে চারিদিকে ভালো করে দেখে আমিও মনে মনে বললাম, 'হলি কাউ!'
মার্কিন দেশে বাঙ্গালী রসনা
আমেরিকায় গিয়ে খাওয়া-দাওয়া নিয়ে মহা-যন্ত্রণার মধ্যে পড়েছিলাম। নতুন এসেছি বলে পথ-ঘাট, নিয়ম-কানুন কিছুই চিনি-জানি না। নিজেকে গ্রাম থেকে সদ্য ঢাকায় আসা কেউ মনে হচ্ছে।
সিয়াটলের যে হোটেলটিতে ছিলাম, খাবারের জন্যে তার রেস্টুরেন্টের উপরই মূলত ভরসা করতে হলো। সমস্যা হলো, এই রেস্টুরেন্টের খাবারগুলো “কেমন যেন”, মানে আমাদের বাঙালী জিভে ঠিক আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে না। প্রতিবার মেন্যু খুলে একেবারেই অজানা সব-আইটেম থেকে একটা বেছে নিয়ে অর্ডার করি, আর আশা নিয়ে বসে থাকি, এই বারেরটা যেন কিছুটা স্বাদযুক্ত হয়। তা হলে, সেটার ওপর থাকা যাবে যে কয়দিন সেই হোটেলে থাকি। প্রায় প্রতিবারই চুড়ান্ত রকম হতাশ হয়েছি।
একবার স্কুইডের স্যুপের অর্ডার করলাম। অর্ধেক বাটি শেষ করার পর ঠিক কী কারণে এই বস্তু এতোক্ষণ গলায় ঢালছি, সেটা নিজের কাছেই পরিস্কার হচ্ছিল না। আরেকবার একটা আইটেম অর্ডার করলাম যেটা নাকি কুমড়া দিয়ে তৈরি, সুতরাং খেতে খারাপ হবে না, এই আশায়। কিন্তু মুখে দেবার পর দীর্ঘদিন কুমড়া নামক সবজিটির ওপর অন্যায়ভাবে শ্রদ্ধা হারিয়ে ফেলেছিলাম!
সিয়াটল থেকে শিকাগো গিয়ে এই দুরাবস্থা থেকে মুক্তি ঘটলো।
এয়ারপোর্টে আমাকে রিসিভ করতে এসেছেন আমার অফিসের বড়-কর্তা এনাম নূর। উনি “আমেরিকা কেমন লাগছে?” জিজ্ঞেস করতেই আমার “আবেগে কাইন্দালাইছি” অবস্থা! সবকিছু শুনে খুব দ্রবীভূত হয়ে গেলেন। উদাস হয়ে বললেন বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় আসার পর পর তিনিও একই কথা বলে ছিলেন। তাঁকে নস্টালজিক করার সমূহ উপকার পেলাম।
এর পরে যে কয়দিন আমেরিকায় ছিলাম ঝাল কিংবা মশলা যুক্ত খাবার নিয়ে আর চিন্তা করা লাগেনি।
অথেনটিক থাই ফুডের স্বাদ সেবারই প্রথম পেয়েছিলাম। নুডুলস, স্যুপ, টমইয়াম চিকেন নানা কিছু অর্ডার করে ওয়েটারকে ব্যতিব্যস্ত করে ফেলেছিলাম।
চাইনিজ ফুডের স্বাদ দেবার জন্যে আমাকে নিয়ে যাওয়া হল শিকাগোর চায়না টাউন। “ডিম-সাম” বলে খাওয়ার এক বিশেষ চাইনিজ তরিকা আছে। তিন স্তরের ট্রলিতে করে চৈনিক ওয়েটাররা শতেক রকম আইটেম নিয়ে আসবে, সেখান থেকে কাস্টমাররা তুলে নেবে যার যার পছন্দের খাবার। বেশিরভাগ খাদ্যের আইটেম দেখে আমার বিস্ময়ের সীমা ছিল না, কারণ এগুলোর সাথে দেশে আমরা চাইনীজ ফুড বলে যে বস্তু খাই তার সাথে কোন মিল নেই। দেশী চাইনিজ ফুডগুলোকে “বাংনিজ” খাবার বলা যায়। চিকেন ফিট, বা মুরগীর পা, যেটা আমরা সাধারণত ফেলে দেই, সেটার একটা জনপ্রিয় আইটেম আছে।
আমাকে খুব আগ্রহ করে সেটা খাবার অফার করলেন এনাম, কিন্তু বিশেষভাবে রান্না করার মুরগী পায়ের দিকে তাকিয়ে আগ্রহ চলে গেল।
এর ভেতর এনামের সাহায্য নিয়ে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে চপস্টিক ব্যবহার শিখে ফেললাম। এ নিয়ে স্ত্রীর সামনে তার আনন্দ ও গর্বের সীমা রইল না।
সবগুলো না হলেও রেস্টুরেন্টটির কিছু কিছু আইটেম ভালোই লেগেছে।
চায়না টাউনে আরেকবার গিয়ে হাতে বানানো নুডলস খেয়ে এসেছি। রেস্টুরেন্টে কাস্টমারের সামনেই সবার দিকে হাসি হাসি মুখে কারিগর অবিশ্বাস্য দ্রুত গতিতে নুডলস বানাচ্ছে, একটু পরেই সেটা রান্না হয়ে চলে যাচ্ছে কাস্টমারের বাটিতে। স্বাদও ভালো। অসাধারণ দক্ষতার জন্যে কারিগর আমাদের পক্ষ থেকে ১০ ডলার টিপস পেল।
ইন্ডিয়ান টাউনে গিয়ে যথারীতি মিলল ইন্ডিয়ান খাবারের। তবে খাবারের চাইতেও অবাক হয়েছি সেখানকার রাস্তা ঘাটে নির্বিঘ্নে গাড়ির সামনে মানুষের চলাচল দেখে, যেটা আমেরিকার মতো দেশে খুবই বিরল!
অফিশিয়াল ট্যুর ছিল বলে, শিকাগোতে যতদিন ছিলাম, নিজের পকেট থেকে বিল দিয়েছি একবারই। আর তখনই সম্মুখীন হলাম বিচিত্র এক অভিজ্ঞতার।
সারা বিকেল রিভার ক্রুজে ঘোরা-ঘুরি করে ক্লান্ত-ক্ষুধার্ত হয়ে এক সহকর্মীসহ বসলাম একটা থাই রেস্টুরেন্টে। অর্ডার একটু বেশিই দিয়ে ফেলেছিলাম, খেলাম গলা পর্যন্ত। সহকর্মীকে আগেই বলেছি ডিনার আমি করাবো, যেহেতু সে রিভারক্রুজের দায়িত্ব নিয়েছে।
কিন্তু ৪৩ ডলার বিল দেখে একটু দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। এখন আর পেছন হটার উপায় নেই। বিল দেবার পর ৭ ডলার ভাংতি ফেরত এলো। বিলের আকারের কারণেই টিপস নিয়ে আর ভাবলাম না।
কিন্তু ফল হলো নিদারূণ। খুবই হতাশ ও দুঃখী গলায় ওয়েটার বললো তাদের সার্ভিসে কোন সমস্যা ছিল কিনা। আমার সহকর্মীটি দ্রুত ব্যাখ্যা করলো, আমেরিকায় বিলের সাথে একটা নির্দিস্ট পরিমান টিপস দেয়াই নিয়ম।
কি আর করা, এক বসায় কত টাকা খেলাম সেটা হিসেব করার জন্যে ডলারের সাথে টাকার গুন অংক শুরু করে দিলাম, উদাস হয়ে শিকাগোর মেঘলা আকাশের দিকে তাকিয়ে!
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:২৩