somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

৩৬/বি নং রুটের বাস মালিকদের কাছে জিম্মি মোহাম্মদপুর বাংলামটর হয়ে মতিঝিলগামী যাত্রীসাধারণ

২০ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মোহাম্মদপুর থেকে ফার্মগেট বাংলামটর হয়ে যে সকল যাত্রী মতিঝিল কিংবা চিটাগাং রুটে যাতায়ত করেন তারা অসহায় ও জিম্মি হয়ে পড়েছেন ৩৬/বি রুটের বাস মালিক-শ্রমিকদের খামখেয়ালীপনার কাছে। জ্বালানি তলের দাম বাড়েনি, সরকারও বাসভাড়া পুননির্ধরণ করেনি। মালিকেরা নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে এই বাড়তি ভাড়ার দ্বায়ভার চাপিয়ে দিয়েছে যাত্রীদের উপর। মোহাম্মদপুর টু চিটাগাং রুটে বিকল্প কোন যানবাহন না থাকায় বাধ্য হয়েই এই রুটের যাত্রীগণ ৩৬/বি মিনিবাসে যাতায়াত করতে বাধ্য হন এবং এই বাড়তি ভাড়া নিয়ে বচসা হলেও বাড়তি ভাড়া পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছে ক্ষুদ্ধ ও হতাশ যাত্রীরা। এই রুটের যাতায়াত কারী মিনি বাসের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। যার কারণে অতি প্রত্যুশ থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত যাত্রীদের বাদুড় ঝোলা হয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হয। একাধিক বার অনুরোধ ও প্রতিবাদ করেও এর থেকে উত্তরণের জন্য কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙানো যায়নি। যানা গেছে নামে বেনামে এই সকল বাসের মালিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কিছু সদস্য। যার কারণে এই রুটে অন্য কোন বাস প্রবেশ করতে সাহস করেনি বা চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়েছে। মোহাম্মদপুর ঝিকাতলা হয়ে মতিঝিল পথে একাধিক আধুনিক পরিবহনের বাস থাকলেও মোহাম্মদপুর-ফার্মগেট হয়ে মতিঝিলগামী বাস সবেধন নিলমনি এই ৩৬/বি। মোহাম্মদপুর-ফার্মগেট হয়ে চিটাগাং রোড এই দীর্ঘ পথে ৩৬/বি নং মিনিবাসের সংখ্যা বর্তমনে ৩০টির মতো যদিও প্রতিদিন যান্ত্রীক ত্রুটির কারণে এর এক তৃতীয়াংশ বাস চলাচলের অযোগ্য থাকে। মাত্র ২০/২২টি মিনি বাস দিয়ে এই দীর্ঘ পথের হাজার হাজার যাত্রী পরিবহন করা রীতিমত দুঃসাধ্য। সে কারণে এই রুটের যাত্রীদের বাদুর ঝোলা হয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হন। সবচেয়ে দুঃসহনীয় যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় মহিলা যাত্রীদের। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও তারা বাসে যায়গা করে নিতে পারেণ না। ফলে রাস্তায় কাটাতে হয় দিনের অনেকটা সময়। বিশেষ করে অফিস সময়ে মোহাম্মদপুর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যাতায়াত করতে কম পক্ষে ৩/৪ ঘন্টা ব্যায় করতে হয়। সম্প্রতি বিআরটিসি মোহাম্মদপুর-বাড্ডা রুটের সিটিং সার্ভিস কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে যারা মোহাম্মদপুর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যাতায়াত করেন। তবে যাদের কারওয়ান বাজার কিংবা বাংলামটর হয়ে যাতায়াত করতে হয় তাদের সমস্যা রয়েই গেছে। জানাগেছে কয়েকটি পরিবহণ কোম্পানী এই রুটে তাদের গাড়ি প্রবেশ করাতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। এর পূর্বে মোহাম্মদপুর-ফার্মগেট রুটে কয়েকটি টেম্পু চলাচল করলেও এই রুটের বাস মালিক শ্রমিকদের প্রতিরোধে তারা তাদের গাড়ি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছেন। প্রয়োজনের তুলনায় গাড়ীর সংখ্যা কম এবং যাত্রীর সংখ্যা বেশী হওয়ায় বাস মালিকদের আগ্রাসী ও অনৈতিক আচরণে ক্ষোভে ফুসছে এ রুটের যাত্রীসাধারণ। ফলে প্রতিদিন বাস শ্রমিকদের সাথে হচ্ছে বচসা যা কখনো কখনো হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়।

অতিসম্প্রতি এই রুটের বাস মালিকগণ সিটিং সার্ভিসের নামে নতুন উপদ্রপের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছেন যাত্রীদের ঘাড়ে। আদায় করছেন দ্বিগুণ ভাড়া। গত ১লা বৈশাখ থেকে শুরু হয়েছে এই সার্ভিসের উপদ্রপ। পূর্বে মোহাম্মদপুর থেকে কারওয়ান বাজারের ভাড়া ৪ টাকা আদায় করা হলেও বর্তমানে আদায় করা হচ্ছে ৮ টাকা। মোহাম্মদপুর থেকে শাহাবাগ পর্যন্ত ৮ টাকা ভাড়া নির্ধাণ করা হলেও অলিখিত ভাবে কারওয়ান বাজারের ভাড়াও আদায় করা হচ্ছে ৮ টাকা যা পূর্বের আদায়কৃত ভাড়া থেকে দ্বিগুণ। কার নির্দেশে এবং কোন সংস্থার অনুমতি নিয়ে টাউন সার্ভিসকে সিটিং সার্ভিসে রূপান্তর করা হয়েছে তার সঠিক উত্তর মেলেনি বাস মালিক-শ্রমিকদের কাছ থেকে। সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে এবং যাত্রীদের অসহায়ত্তের সুযোগ নিয়ে এই অতিরিক্ত ভাড়া চাপিয়েছে যাত্রীদের ঘাড়ে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে বাস মালিক ও শ্রমিকদের কাছে নিগৃহিত হতে হচ্ছে যাত্রীদের। ৩৬/বি রুটের বাস মালিকদের কাছে জিম্মি যাত্রীগণ তাদের এই অসহনীয় যন্ত্রণা থেকে মুক্তিপেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এই রুটে প্রয়োজনীয় সংখ্যাক সরকারী বাসের যোগান দেওয়ার দাবী যাত্রীদের। যাতে প্রতিযোগিতামূলক ভাড়ায় যাত্রী সেবা নিশ্চিত করা যায়, অবসান হয় ভোগান্তির।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৪০
৫৮৪ বার পঠিত ১১
১৯টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। একাত্তুর থেকে চব্বিশ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:২০




সমাজকল্যাণ ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এ দেশ স্বাধীন হলো। কিন্তু এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। তাদের সুস্থ করতে পারিনি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

=একটু সৃজনশীল হও=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৬


খেয়ে দেয়ে আরামসে ঘুম, এ জীবন বুঝি
খাও দাও ঘুমাও এ কর্ম রোজই,
টিকটকে ভিডিও, ফেসবুকের রিল,
তাতেই করছো সুখ ফিল?

সাজুগুজু, প্রাশ্চাত্যের ড্রেসাপ, হাই হিলে হাঁটা
ব্যস! এমন অহমে পূর্ণ জীবনে ঝাঁটা
নেই সংসার গুছানোতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে সরকার কি পদক্ষেপ নিবে ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:২৭


আওয়ামী লীগের মিছিলের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ঢাকার ডেমরা-উত্তরা- বাড্ডা - মিরপুর সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগ ঝটিকা মিছিল করছে। প্রায় তিনমাস ধরে রাস্তায় মিছিল নামানোর প্রস্তুতি ছিলো। মিছিলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবেনাকো তুমি- যেদেশে হাসির জন্যও প্রাণ দিতে হয়!

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:৩৩

কয়েক দিন আগে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম হবু চন্দের আইন কবিতা নিয়ে, যেখানে কান্নার বিরুদ্ধে রাজা আইন জাড়ি করেছিলেন.....আজ লিখতে হচ্ছে- হাসির জন্য প্রাণ কেড়ে নেওয়ার ঘটনা নিয়ে। আমরা সবাই ইতোমধ্যেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

৭১ না দেখেও কেবল ইতিহাস পড়ে যদি আপনি ৫৩ বছর পরে এসেও পাকিস্তানকে ঘৃণা করতে পারেন। তাহলে নিজ চোখে ভারতের আগ্রাসন দেখেও চুপ কেন?

লিখেছেন তারেক সালমান জাবেদ, ২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৪:৩৭

প্রথমেই শুরু করতে চাই সীমান্ত হত্যা নিয়েঃ -
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী দ্বারা ২০০০ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১,৫০০ সাধারণ ও বেসামরিক বাংলাদেশি হত্যা করা হয়েছে। ভারত সরকারের বাংলাদেশের সীমান্তে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×