মার্ক জুকারবার্গ নামক ২৩বছর বয়সী একটি ছেলে ফেসবুক নামক একটি সামাজিক যোগাযোগ বানিয়ে গোটা বিশ্বকে আবাক করে আরেকটি দুনিয়া উপহার দিয়েছে।আমারও একটি facebook একাউন্ট আছে। প্রায় প্রতিদিনই সেই একাউন্টে লগইন করি।তবে লগইন করাটা একটা কষ্টসাধ্য ব্যপার, মাঝে মাঝে ঘুম থেকে উঠে দেখি হোমপেজ এসেছে।জিপির ৯৭৭ টাকার ইন্টারনেটের এই হাল। এক হিসেবে দেখা যায় জিপি সরকারের কাছে থেকে প্রতি জিবি ডাটা ক্রয় করে মাত্র ৫ থেকে ১৫ টাকার মধ্যে কিন্তু গ্রাহকরা পাচ্ছে সেটি ৩০০ টাকায় ! ১৫ মেগাবাইট এখনো ৩৫ টাকা দিয়ে কিনতে হয় অথচ একই মূল্যে ভারতে ১জিবি ডাটা দেওয়া হয়। আমাদের অত সুবিধা দরকার নাই কিন্তু আমরা এত অভাগা যে সামান্য সুবিধাও পাচ্ছিনা। আর সরকারের চোখে পরবে কেমনে ? আমার তোমনে হয় না যে সরকারের কোন মন্ত্রী INTERNET জিনিসটা বোঝে? সরকার শুধু ব্যন্ডউইথ এর দাম কমিয়েই পগারপার হয়ে যাচ্ছে একটু দেখছেও না যে এদিকে অপারেটররা জনগনের উপর কিভাবে চড়াও হচ্ছে।জিপি সবসময় আনলিমিটেড এর নামে ফেয়ার ইউজেস পলিসি লাগিয়ে দিয়েছে সেই জন্মসূত্রে !৯৭৭টাকার একটি আনলিমিটেড মাসিক প্যকেজ আছে এদের। শর্ত হচ্ছে ৫ জিবি ইউজেসের পর স্পিড পাবেন দুই কেবিপিস। ভাবেন এতগুলা টাকা দিয়ে কিনছেন অথচ ব্যবহার করতে দিচ্ছে ৫জিবি। এগুলো দেখার মত কি কেউ নাই ?
তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে যোগাযোগের একটি চমৎকার মাধ্যম হচ্ছে ইন্টারনেট। ইন্টারনেটের মাধ্যমে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তের তথ্য নিমেষেই আদান-প্রদান করা সম্ভব।বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট বিবেচিত হচ্ছে অর্থনৈতিক উন্নয়নের চাবিকাঠি ও জ্ঞানের আধার হিসেবে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে ইন্টারনেটের ব্যবহার বাংলাদেশে এখনো আশানুরূপ বাড়েনি। এই না-বাড়ার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ইন্টারনেট ব্যবহারে উচ্চ চার্জ, অবকাঠামোগত উন্নয়নে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ঘাটতি, সাবমেরিন ক্যাবলের দুর্বল ব্যবস্থাপনা, ইন্টারনেট সেবার দুর্মূল্যের পাশাপাশি দুর্বল নিয়ন্ত্রণ কাঠামো প্রভৃতিই দায়ী।বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা প্রসারে প্রতিবন্ধক হিসেবে চিহ্নিত এসব বাধা দূরীকরণে সরকার এবং সেবাদানকারী সংস্থাগুলো আন্তরিক হলে ইন্টারনেট সার্ভিস পৌঁছে যেতো বাংলার ঘরে ঘরে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো ভিন্ন উপায়ে আইএসপিদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে নামলেও তাদের অতি মুনাফালোভী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে সব গ্রাহকই সে সেবা নিতে পারছে না ।ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা এদেশে ইন্টারনেট সেবাদানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করলেও তাদের অর্থগ্রাসী চিন্তাধারা সেক্টরটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের মাত্রাতিরিক্ত চার্জের কারণে দেশের অধিকাংশ পরিবারই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ইন্টারনেট সংযোগ নিতে পারছে না । সার্কভুক্ত বিভিন্ন দেশের ইন্টারনেট চার্জ সম্পর্কিত পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায় বাংলাদেশেই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সবচেয়ে বেশি অর্থ পরিশোধ করে। বাংলাদেশে সেখানে ইন্টারনেট ব্যবহারে বাৎসরিক খরচ হয় ২ হাজার ডলার সেখানে একই ধরনের সেবা নিতে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ শ্রীলংকায় খরচ হয় মাত্র ২৪২ ডলার, ভারতে ২২৩ এবং মালদ্বীপে মাত্র ১১২ ডলার।গলাকাটা সার্ভিস চার্জ প্রত্যাহার করে নিয়ে গণসামর্থ্য বিবেচনায় একটি যৌক্তিক চার্জ ধার্য হলে খুব দ্রুতই বাড়বে গ্রাহকসংখ্যা। বর্তমান মোবাইল ফোন ব্যবসার দিকে তাকালে এর সত্যতা মিলে। গলাকাটা কলরেট থাকাবস্থায় মানুষ কথা বলেছে কম, কিন্তু কলরেট কমার পর মোবাইল ব্যবহারকারীদের সংখ্যা বেড়েছে বহুগুণ বেশি্। একই সঙ্গে কথার পরিমাণও বেড়েছে অনেক বেশি। অর্থনীতির একটি চিরসত্য ফর্মূলা হচ্ছে ‘পণ্যের দাম কমলে বিক্রয় বাড়ে’। ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে তথ্যপ্রযুক্তির মহাসমুদ্রে প্রবেশ করার পরও মাত্র ০.৬-০.৭ শতাংশ নাগরিক ইন্টারনেট ব্যবহার করা নিতান্তই দুঃখজনক।সাধারণ মানুষ যদি কম খরচে ইন্টারনেট সুবিধা না পায় তাহলে কেনো বহু কাঠখড় পুড়িয়ে, বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলের সাথে যুক্ত হয়েছে তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকবে।সরকার ও সেবাদানকারী সংস্থাগুলোকে বলতে চাই, অধিক মূল্যমানের কারণেই বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা প্রসারিত হতে পারছে না। তাই বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে সিরিয়াস হওয়া উচিত। মনে রাখতে হবে, প্রায় ১৬ কোটি মানুষের এদেশের মাথাপিছু গড় আয় যেখানে ৪৭০ মার্কিন ডলার, সেখানে উচ্চমূল্য বজায় রেখে কখনো ইন্টারনেট পরিষেবা বিস্তৃত করা সম্ভব হবে না। এক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত সফলতার জন্যে অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে ‘কম লাভ বেশি বিক্রি’---নীতি।
বর্তমান মহাজোট সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছে। এটি তাদের নির্বাচনী অঙ্গীকারও বটে। শিক্ষিত ও শিক্ষার্থী তরুণ ভোটাররা প্রধানত দুটি কারণেই আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। ১. যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ২. ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্যে কয়েজন চিহ্নিত ও স্বীকৃত যুদ্ধাপরাধীর বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছে । ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্যেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে দেয়া, ই-কমার্সের ব্যবহার বৃদ্ধি, পুলিশ প্রশাসনসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে-ই পরিষেবা চালুসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। তবে তা পর্যাপ্ত নয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে হলে এ বিষয়ে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সরকারকে মনোযোগী হতে হবে। একই সঙ্গে ইন্টারনেটের ব্যবহারকে সহজলভ্য ও আরো কম মূল্যের করতে হবে।
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানীর সিমিউই-৪ এর কক্সবাজার সংযোগে জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আছে মাত্র ১৬৪ জিবিপিএস। আর আমি আপনিসহ সারা বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করছি সেটা মাত্র ২২ জিবিপিএস। তাহলে বাকিগুলো কি হয়? মেগাবাইট নয় গিগাবাইট চুরি।
বাংলাদেশ ২০০৬ সালের মে মাসে ৭.৫ Gbps ব্যান্ডউইথ নিয়ে সিমিইউ-৪ সাবমেরিন ক্যাবলে প্রথমবারের মতো যুক্ত হয়। ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে ১ম আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে ২৪ Gbps এ উন্নীত হয়। ২য় আপগ্রেডটি হয় ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে, যা থেকে বাংলাদেশ ৪৫ Gbps ব্যান্ডউইথ অর্জন করে। আর তৃতীয় আপগ্রেডটি হওয়ার কথা ছিলো ২০০৯ এর ডিসেম্বরে যা থেকে বাড়তি আরও ১১০ জিবিপিএস যুক্ত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু সে সময় নীতি নির্ধারকরা সেটা নেননি।২০০৮ এ যখন ব্যান্ডউইথ ৪৫ জিবিপিএস, তখন সারা দেশের মানুষ আমরা ব্যবহার করতাম ১০ জিবিপিএস। তাহলে বাকি ব্যান্ডউইথ কি হতো?
ভবিষ্যতে দেশের ব্যান্ডউইথ চাহিদা সামনে রেখে বিএসসিসিএল সরকারের অনুমতিক্রমে কনসোর্টিয়ামের আপগ্রেড-৩ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে অতিরিক্ত 4 Million MIU*Km ক্যাপাসিটি আনয়নের ব্যবস্থা করেছে। গত ৩রা এপ্রিল ২০১১ তারিখে গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উক্ত Upgradation প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন করেন। ইতিমধ্যে বিএসসিসিএল আপগ্রেড-৩ তে অংশগ্রহণ করার জন্য ৫০ কোটি টাকা নিজস্ব তহবিল হতে SEA-ME-WE-4 কনসোর্টিয়াম কে প্রদান করেছে। এর ফলে ব্যান্ডউইথ পরিমান ২০১২ সালের মে মাস নাগাদ ৪৪.৬০ Gbps হতে বৃদ্ধি পেয়ে ১৬০ Gbps এ পৌঁছাবে। কিন্তু এটি আসলে হয়ে গেছে ২০১১ এর অক্টোবর মাসে।
অথচ সরকারের তাবেদার এক পত্রিকার দাবী এ ব্যান্ডউইথ এখনও যুক্ত হয়নি তবে যুক্ত হবে আগামী জুলাই মাসের শেষের দিকে।এই দেখুন এখানে:
তবে ভয়ংকর কথা হচ্ছে এই কাজটা ২০১০ সালেই হয়ে যাওয়ার কথা ছিল যা বিটিসিএল এর ওয়েবসাইট সেসময় এক প্রেস-রিলিজে (http://www.bsccl.com.bd/index.html ) বলেছিল। তখন ঐটা স্থগিত করা হয়েছিল। কেন? যেহেতু যা ছিল তারই চারগুন ব্যান্ডউইথ অব্যবহৃত ছিলো। এত ব্যান্ডউইথ দিয়ে কি হবে, রপ্তানীর উদ্দ্যোগও প্রকাশ্য নেয়া যাচ্ছে না, এইসব অজুহাতে। আর এদিকে এই একই সাবমেরিন ক্যাবলে অন্যান্য দেশগুলো আজ ১.২৮ Tbps এ উন্নিত হয়ে গেছে।
কত বড় রাষ্ট্রীয় ক্ষতি! যেমন ধরুন, এই মুহুর্তে সারাদেশ যদি ২২ Gbps এবং তার প্রতি মেগাবিট/সেকেন্ডের দাম ৮ হাজার টাকা হয় তাহলে মোট সাড়ে ১৭ কোটি টাকার ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করছে। আর অব্যবহৃত রাখছে ১১৩ কোটি টাকারও বেশি ব্যান্ডউইথ। ব্যান্ডউইথ ব্যবহার না করা মানে অপচয় করা। কারণ ব্যান্ডউইথ সংরক্ষণ করার বস্তু না। এটি টাকা নয় যে কোনো ব্যাংকে এটি জমা করবেন। গ্রামীনের পি২ প্যাকেজ নিয়ে আপনি ব্যবহার না করলেও যেমন মাস শেষে থাকবে না, তেমনি ১৬৪ জিবিপিএস এর ২২ জিবিপিএস ব্যবহার করলেও বাকিটুকু আমরা সঞ্চয় করতে পারব না। এ মুহুর্তে সারাদেশে ২২ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হচ্ছে এবং বাড়তি ব্যান্ডউইথ সরকার ২০১৩-১৪ সাল পর্যন্ত চাহিদার কথা বিবেচনা করে সংরক্ষণ ও রপ্তানী করার চিন্তা ভাবনা করছে। সরকার যদি পুরো ব্যান্ডউইথ আমাদের জন্য ছেড়ে দিতো তাহলে বর্তমানে আমরা যে স্পিডে কাজ করি তার ৭ গুণ স্পিড পেতাম। ইতিমধ্যে বিভিন্ন ব্লগে এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিশ্বের সর্ব উচ্চ ব্যান্ডউইথ মূল্যের জন্য বাংলাদেশের আইএসপিগুলোকে প্রতি ইউজার ৫ কিলোবাইট হারে ব্যান্ডউইথ ডিস্ট্রিবিউশন প্লান করতে হয়। সর্বনিম্ন গতি সত্বেও বাংলাদেশে সরকার বিশ্বের সর্বোচ্চ দামে ব্যান্ডউইথ বিক্রি করে ।
আজকের দিনে ১ Mbps এর নিচের গতিকে ইন্টারনেটই বলা হয় না। ব্রডব্যন্ডের সজ্ঞা ৫ এমবিপিএস করার দাবি উঠছে আজকাল। বাংলাদেশের টেলি আইনে ২৫৬ kbps ও এর অধিক গতিকে ব্রডব্যন্ড বলা হয়। ন্যাশনাল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কে ইন্টারনেটে অস্ট্রেলিয়ায় ২৪তম অবস্থানে রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় ইন্টারনেটের গড় গতি ৪.৯ Mbps
দক্ষিন কোরিয়া বাংলাদেশের অর্ধেক জনগণ নিয়েও এই মুহুর্তে ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করছে ১১ টি ক্যাবলে ২৫ টেরাবিট/সেকেন্ড বা ২৫০০০ Gbps । আর আমরা ১৬ কোটি জনগণের বাংলাদেশ মাত্র ১৬৪ Gbps এর মধ্যে ১৪২ Gbps ফেলে দিচ্ছি । সরকার যে হিসাব দিয়েছে সে মতেই এই ফেলে দেয়া বা অব্যবহৃত ব্যান্ডউইথ এর পরিমানটার বাজার মূল্যটা =সাবমেরিন ক্যাবলে গত ৩ বছরে (৩০*৬০*৬০*২৪*৩৬৫*৩) ভাগ ১০০০ = ২৮,৩৮,২৪০ টেরাবিট বা প্রায় ৩০ লক্ষ টেরাবিট কন্টেন্ট অব্যবহৃত ছিল। এখন প্রতি জিবি ১০০/- টাকা করে ধরলেও এই ক্ষতির আর্থিক পরিমান ২৮,৩৮,২৪০*১০০*১০০০ = ২৮৩,৮২,৪০,০০,০০০ টাকা বা প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা।
আপনার কি মনে হয়, সরকারের নীতিনির্ধারকদের মাথায় এই হাজার হাজার কোটি টাকার হিসাবটা ঢুকেনি। তারা শুধু নদীর মাঝি আর বাস ড্রাইভারের উপরই অদৃশ্য চাঁদা আদায় করতে জানে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কিভাবে ঠকাতে হয়, তা বুঝি তারা জানেনা? এরকম ভেবে থাকলে আপনি বোকার স্বর্গে নয় বোকার নরকে বাস করছেন। বিএসসিসিএল, বিটিসিল এবং অবৈধরা অবশিষ্ট ১৪২ জিগাবিট ব্যান্ডউইথ অবৈধ ভিওআইপি কলে গোপনে ডাইভার্ট করে প্রতিদিন প্রায় ৬ কোটি মিনিট আন্তর্জাতিক কল করছে। যার দ্বারা মুষ্টিমেয় কিছু লোক আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশে হাজার হাজার লোক আছে যারা অনলাইন এর মাধ্যমে প্রতি মাসে কোটি কোটি ডলার নিয়ে আসে আমাদের দেশে। বিনিময়ে কি পাচ্ছে তারা?
আমি সমস্ত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের পক্ষ থেকে শুধু এতটুকু বলতে চাই, আমাদের টাকা দিয়ে কেনা এই ব্যান্ডউইথ যেন আমরা পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারি। এই মুহূর্ত থেকে প্রতিবাদী হোন, আওয়াজ তুলুন। ডিজিটাল বাংলাদেশ নামের আর কত স্বপ্ন দেখব? এরই নাম কি ডিজিটাল বাংলাদেশ??
ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরনে আমাদের প্রতিবাদী হতে হবে, আওয়াজ তুলতে হবে
জয়েন করুন,প্রতিবাদী হোন
বর্তমানে অনেক ছাত্র ছাত্রী ও যুবক যুবতী ভাই বোনেরা ঘরে বসেই ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে প্রতিদিন বৈদেশিক মুদ্রা দেশে এনে দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখে চলেছে, পড়ালেখার খরচ জোগানোর পাশাপাশি নিজেরাও স্বাবলম্বী হচ্ছেন কোন প্রকার সরকারি বেসরকারি উ্দ্যোগ ছাড়াই ।
অত্যন্ত দুঃখের বিষয় দফায় দফায় ইন্টারনেটের ডাটার দাম কমলেও গ্রাহক পর্যায়ে কোন প্রভাব পরে নাই, রক্তচোষা ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গুলো একদিকে যেমন গলাকাটা মূল্য নিচ্ছে অপরদিকে ইন্টারনেটের ধীরগতির জন্য আমাদের বায়ার হারাতে হচ্ছে , তাই http://www.pchelplinebd.com উদ্যগ নিয়েছে মানববন্ধনের মাধ্যমে সরকারের কাছে আমাদের সমস্যাগুলো নীরব ও শান্তিপূর্ণভাবে তুলে ধরবে ।
আমাদের দাবীসমূহঃ
১, দফায় দফায় ডাটার দাম কমলেও গ্রাহক পর্যায়ে কোন প্রভাব পরে নাই, আমরা চাই সরকার
১ জিবি ডাটার দাম ৫০ টাকা ও ৫ জিবির দাম ২০০ টাকা নির্ধারণ করে দিবেন ।
২, ফ্রিল্যান্সার ও ইকমার্সের স্বার্থে বাংলাদেশে দ্রুত পেপাল চালুর ব্যাপারে সরকারি জরুরী উদ্যাগ নিতে হবে ।
৩, ইন্টারনেটের ফেয়ার ইউস পলিসি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে ইন্টারনেটের নুন্যতম গতি নির্ধারণ করে করে পূর্ণ গতির ডাটা দিতে হবে ।
৪, ইন্টারনেট সেবাদানকারী মোবাইল কোম্পানি গুলোর স্বেচ্ছাচারিতা রোধে একটি বিশেষ সেল গঠন করতে হবে ।
৫, ডাটার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও অব্যবহিত ডাটা পরের বার ডাটা প্যাকেজ চালু করার
সাথে সাথে যোগ করে দিতে হবে ।
৬, গনমাধ্যমে আনলিমিটেডের বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহকদের প্রতারিত করা যাবেনা ।
৭, ফ্রিলান্সিং এর ব্যাপারে ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে, ব্যাংক কর্মকর্তা দ্বারা ফ্রিল্যান্সারদের সকল হয়রানী বন্ধ করতে হবে ।
আমাদের দাবী পুরন কর , আমরাই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বো ।
¤¤ জিপি ইন্টারনেট pakage এর
দাম কমানোর
প্রতিবাদে আমরা আগামী ২০-০৫-২০
তারিখ সকাল ১০ টা থেকে ১১
টা পর্যন্ত সকল জিপি সিম এর
ব্যবহার বন্ধ রাখব ...
উক্ত somoya আমরা ১
পয়সা ব্যবহার করবো না
তবে missdCall freenet চালু
থাকবে..
আপনি যদি আন্দোলনে একাত্মতা প্
করেন
তাহলে এখনি সবাইকে জানিয়ে দীন...
TR EMON
http://facebook.com/tremonbd.fp
লিংকঃ
Click This Link
Click This Link
Click This Link
তথ্যসূএঃ বিভিন্ন পএিকা ও সামাজিক সাইট
http://www.cdnews24.com/?p=34900
Click This Link
http://www.prothom-alo.com › হোম › কম্পিউটার প্রতিদিন