ছোট গলিটি পার হলে বড় রাস্তা,রাস্তার ওপারে একটি মেয়েদের স্কুল "বিদ্যাময়ী আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়"। ৯টা বেজে ৫০ মিনিট হয়েছে,স্কুলের সতর্কঘন্টা বাজছে ঠনঠন তালে,ঠিক ১০টায় স্কুলের গেইট বন্ধ করে দেয়া হবে,আর কাওকেই ঢুকতে দেয়া হবেনা।
রোমানা দৌড়োচ্ছে,বিনা অনুমতিতে স্কুলে অনুপস্থিত থাকলে দিনপ্রতি ১০০ টাকা জরিমানা গুণতে হবে। পিঠে ব্যাগ নিয়ে দৌড়োনো বড্ড মুশকিল। সামনে দুজন লোকের মাঝখান দিয়ে গলে বেরিয়ে যেতেই কোথা থেকে একটি রিকশা এসে পড়লো,রিকশার চাকা রোমানার হাঁটুতে ঘষটে বেরিয়ে গেল,তেমন একটা আঘাত লাগেনি। সময় চলে যাচ্ছে বলে সে তোয়াক্কা না করে মাটি থেকে ব্যাগ তুলে নিয়ে ঝেড়ে দৌড় লাগাবে,এসময় তার হাত চেপে ধরলো কেও একজন,রিকশার যাত্রী লোকটি নেমে এসেছে।
" ওহহো,ব্যথা বেশী লেগেছে? রিকশাওয়ালাকে বললাম গলির ভেতর আস্তে চালাতে,হলো তো এবার,দেখিতো কোথায় লেগেছে?"
- না ভাইয়া ঠিক আছে,ব্যথা তেমন লাগেনি। আমার দেরী হচ্ছে ক্লাসের।
- আমি দেখলাম রিকশার পাশের চাকা তোমার হাঁটুতে লেগেছে…
এই বলে লোকটি রোমানার জবাবের অপেক্ষা না করে ডান হাঁটুতে হাত দিলো,রোমানা ভীষণভাবে অপ্রস্তুত হয়ে পড়লো। লোকটি হাঁটুর ব্যথা দেখার নাম করে হাঁটুর ওপরে উরুর দিকে হাত বুলাতে শুরু করেছে রোমানার। এবার সম্বিত ফিরলো তার " এইযে ভাইয়া,কি করছেন? হাত সরান,সরান বলছি"
এর মধ্যে কয়েকজন লোক জমে গেলো। রোমানা আর কথা না বলে জোরে হাঁটা দিলো লোকটির হাত থেকে ছাড়া পেয়ে,একবার পেছনে ফিরে দেখতে পেলো যে সে রিকশায় উঠতে উঠতে হাসছে।
শেষমুহুর্তে কোনরকমে স্কুলের গেইট পার হলো রোমানা,গেইটের দারোয়ান জমির তাকে দেখে বললো "কি আপা,রোজ রোজ দেরী করেন কেন? আরেকটু হলে তো গেইট বন্ধ হয়ে যেতো,তখন কে ঢোকাত আপনাকে স্কুলে?"
সহজ কুশল কিংবা অনুযোগের কথা হলেও একটি ইঙ্গিতপূর্ণ হাসির কারণে জমিরের কথাগুলো কেমন অশ্লীল ঠেকলো রোমানার কাছে। এর নামে মেয়েরা প্রায় বলাবলি করে,এর নাকি স্বভাব খারাপ। তবে রোমানা বড় আপুদের কয়েকজনকে জমিরের সাথে বেশ কয়েকবার আড্ডা দিতে দেখেছে টিফিন বিরতির সময়,আবার ক্লাসের লিজা,কাকলীরাও প্রায় ওর সাথে হেসে হেসে কথা বলে,জমিরের বয়স কম,প্রায় ২৭/২৮ হবে। লিজা ওর কথায় কান না দিয়ে অষ্টম শ্রেণীর কক্ষে চলে আসে।
ক্লাস শুরু হলো সাড়ে দশটায়,ক্লাস টিচার মানিক স্যার ইংরেজী পড়ান। গতকাল বাড়ীর কাজ দিয়েছিলেন,রোমানাসহ আরো বেশ কয়েকজন মেয়ে বাড়ীর কাজ আনেনি। তাদের সবাইকে দাঁড় করালেন মানিক স্যার,একে একে সবার কাছে গিয়ে কেন আনেনি তা জিজ্ঞেস করে ঝাড়ি দিয়ে বসিয়ে দিচ্ছেন। রোমানার কাছে আসলেন স্যার " এই মেয়ে,বাড়ীর কাজ আনোনি কেন? এটা তোমার ভাতারের বাপের বাড়ী লাগে? পড়াশোনা করবেনা,ক্লাস করবেনা,বাড়ীর কাজ আনবেনা। সামনে জে-এসসি পরীক্ষায় স্কুলের নাম ডোবানোর জন্যে 'চ্যাগাইয়া' আছো"
রোমানা শুধু এটুকু বলে যে আর ভুল হবেনা।
-মনে থাকবে তো? নাকি মনে করিয়ে দিতে হবে?
মানিক স্যার নিজের মুখ রোমানার মুখের একদম কাছে নিয়ে আসলেন,অস্বস্তিকর দূরত্ব। স্যারের নিঃশ্বাস রোমানার নাকে এসে লাগছে। রোমানা মুখ অন্যদিকে সরিয়ে বলে "জ্বী স্যার,থাকবে…মনে থাকবে"
গণিত রোমানার পছন্দের বিষয়,সে আজ পর্যন্ত অন্যান্য বিষয়ে যাই করুক না কেন,গণিতে কখনোই আশি'র নিচে পায়নি। আজকের শেষ পিরিয়ডে গণিত আছে,পরিমল স্যারের ক্লাস। পরিমল স্যার ভালো করে বুঝাতে পারেন,জাহাঙ্গীরনগর থেকে গণিতে মাস্টার্স করেছিলেন তিনি। উনার ক্লাস বেশ উপভোগ করে রোমানাসহ অন্য ছাত্রীরা।
গণিত ক্লাস শুরু হলো,স্যার নতুন অঙ্ক বুঝিয়ে দিলেন বোর্ডে লিখে। এরপর কয়েকজনকে এসে বোর্ডে অঙ্কটি করে বুঝিয়ে দিতে বললেন,রোমানাকেও ডাকা হলো। রোমানা বেশ ভালো করেই বুঝিয়ে দিলো অঙ্কের সমস্যাটি। পরিমল স্যার খুশী হয়ে গেলেন "নাউ দ্যাটস লাইক মাই গার্ল,কাম হিয়ার"
স্যারের কাছে গেলে স্যার রোমানার দু কাঁধে হাত দিয়ে খামচে ধরলেন প্রথমে এবং এরপর পিঠ চাপড়ে দিলেন। তিনি রোমানার পিঠে হাত দিয়ে বলছেন "মেয়েরা,রোমানার জন্যে একটি তালি হয়ে যাক!"
সবাই তালি দিচ্ছে,রোমানা বুঝতে পারছে যে পরিমল স্যার তার পিঠে বাহুর নিচে আঙুল দিয়ে সুড়সুড়ি দিচ্ছেন,ব্রা'র স্ট্রাইপ টেনে ছেড়ে দিচ্ছেন। কিছুই করার নেই রোমানার…
স্কুল শেষে বাসার পথে পা বাড়ালো রোমানা,সাথে শিউলীও আছে। শিউলীর বিয়ে ঠিক হয়েছে,জামাই ভারতের হায়দ্রাবাদে চাকরী করে একটি আইটি ফার্মে। শিউলীর হায়দ্রাবাদে থাকা পিসি পাত্র দেখেছিলেন,শিউলী বিয়ের পর সেখানে চলে যাবে অল্পদিনের ভেতরেই। রোমানার মন খারাপ হয়,শিউলী তার সবচেয়ে কাছের বান্ধবী,তার হয়তো আর কখনোই দেখা পাওয়া যাবেনা…
বাসায় এসে দরজার সামনে অনেক স্যাণ্ডেল-জুতা দেখে রোমানা,বাসায় মেহমান এসেছে। মা দরজা খোলার পর দেখে যে তার ফুফাতো বোন মালিহা আপা ও তার স্বামী এসেছে,সাথে ছ' মাসের একটি বাচ্চা। তারা অনেকক্ষণ ছিলো,আড্ডা দিচ্ছিলো রোমানার আব্বু,আম্মু আর দাদুর সাথে। দাদু রোমানাদের বাসাতেই থাকেন। রাতে চলে যাবার সময় রোমানা ভদ্রতা করে বললো " আপা,থেকে যা আজকে"
মালিহার স্বামী বললো " আমরা থাকলে তো তোমার থাকতে অসুবিধা হবে খুকী!"
দরজা পর্যন্ত বাচ্চা কোলে নিয়ে ছিলো রোমানা,দুলাভাই বাচ্চা নেবার জন্যে হাত বাড়ালেন,রোমানা বাচ্চা এগিয়ে দিলো। বাচ্চা নেবার সময় দুলাভাই রোমানার বুকে হাত ঘষে দিয়ে 'স্যরি' বলে বিব্রত হবার ভান করলো,তবে রোমানা বড় হচ্ছে,কোনটি ইচ্ছাকৃত আর কোনটি অনিচ্ছাকৃত তা সে ভালোই বুঝতে পারে।
-----
রোমানাদের স্কুল বন্ধ দিয়েছে,শীতকালীন বন্ধ। বিকালে কোচিং এর সময়টুকু বাদে সারাদিন বাসায়ই থাকে। মাঝেমাঝে মায়ের জন্যে এটাসেটা কিনে আনতে হয় দোকান থেকে,আজকে যেমন পেঁয়াজ আনতে পাঠালেন। বাবা আসতে রাত হবে,পেঁয়াজ শেষ; রাতের রান্নার জন্যেও নেই। মুদির দোকান একটু দূরে,বড় মাঠটি পেরিয়ে যেতে হয়। রোমানা দোকানে যাবার সময় মাঠের পাশে বসে আড্ডা দেয়া ছেলেগুলো তাকে দেখে নিজেরা নিজেরা কি যেন বলে। ফিরে আসার সময় ওদের পাশ দিয়েই যেতে হয়। একটি ছেলে তাকে দেখে হাসছে,রোমানা তাদেরকে পার হয়ে যাবার সময় শুনতে পায়,তারা বলছে "দোলা দে,দোলা দে,দোলা দে রে পাগলী…উফফ মামা,হেব্বী জিনিস!!…"
রোমানা পেছনে ফিরে কি যেন বলতে গিয়ে আর বলেনা,হয়তো আরো খারাপ কথা শুনতে হতে পারে। সে পা চালিয়ে বাসায় চলে আসে।
-----
রোমানা এখন ক্লাস নাইনে উঠেছে,সায়েন্স নিয়ে পড়ে। পড়াশোনার চাপ বেড়ে গিয়েছে অনেক। তিনজন স্যারের কাছে পড়তে যায় সে এখন,এক স্যারের কাছে সাধারণ গণিত আর উচ্চতর গণিত,আরেক স্যারের কাছে জীববিজ্ঞান,রসায়ন আর পদার্থবিজ্ঞান এবং আরেক স্যারের কাছে ইংরেজী। গণিত স্যারের বাসায় যাবার সময় ওই এলাকার একটি ছেলে তাকে রাস্তায় বেশ উত্যক্ত করে,স্যারের বাসা রোমানাদের চেয়ে দূরে পড়েছে একটু। ছেলেটি বন্ধুদের সাথে নিয়ে ব্যাচ ছুটি দেয়ার আগেপরে দাঁড়িয়ে থাকে গলির মোড়ে। একবার-দু'বার কথা বলতে চেয়েছিলো রোমানার সাথে। দেখতে মাস্তান ধরণের,২৪/২৫ বছর হবে বয়স,রোমানা এড়িয়ে গিয়েছিলো। এরপর থেকে ছেলেটি কথা বলার চেষ্টা করেনা আর,খালি আজেবাজে মন্তব্য করে যায় রোমানাকে দেখলে।
একদিন গণিত স্যার ছুটি দিতে বেশ দেরী করলেন,শীতকালে সন্ধ্যা হয়ে পড়লো,বাইরে অন্ধকার। রোমানা গলির মুখে দাঁড়িয়ে রিকশা খুঁজছে,লোকজন তেমন নেই রাস্তায়,ভয় লাগছে রোমানার।
হঠাৎ কে যেন পেছন থেকে এসে তার মুখ চেপে ধরে,তাকে পেছন থেকে আলগিয়ে ধরা হয়। আরেকজন তার পা দুটো ধরে। আরেকজন হাত দুটো কি দিয়ে যেন বেঁধে নেয়। রোমানাকে নিয়ে তিনজন সন্ধ্যার অন্ধকারে দৌড়াতে থাকে। শ্নশানঘাট,পুকুর এসব পার হয়ে তিনজন রোমানাকে দেয়াল ঘেরা একটি জমিতে নিয়ে যায়। তিনজনের একজনকে সে চিনতে পারে,সেই মাস্তান ধরণের ছেলেটি। সে জ্যাকেট,শার্ট খুলে ভেতরের সাদা গেঞ্জিটি রোমানার মুখে গুঁজে দেয়। এরপর একে একে তারা তিনজন রোমানার ওপর হামলে পড়ে,নেকড়ের মতো করে উল্লাসে মেতে উঠে নিরীহ শিকারটিকে নিয়ে…
রোমানার জ্ঞান ফিরে,চোখ খুলে দেখতে পায় যে সে হাসপাতালে,পাশে তার মা বসে আছে,হাতে স্যালাইনের নল লাগানো। মা অবিরত কেঁদেই চলেছেন,রোমানা ধীরে ধীরে ব্যথা অনুভব করতে থাকে। কোমরের নিচে তলপেটে,উরুসন্ধিতে,বুকে প্রচণ্ড জ্বালাপোড়া করছে,তাকে ব্যথার ইঞ্জেকশন দেয়া হলো।
রোমানাকে আজকে সকালে এক লোক বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পায় সে দেয়ালঘেরা জমিতে,সে প্রস্রাব করতে ঢুকেছিলো। সে পাশের পাড়ায় গিয়ে লোকজনকে খবর দেয়। তারা কয়েকজন মহিলাকে নিয়ে গিয়ে রোমানাকে রক্তাক্ত ও মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হ্স্সপাতালে ভর্তি করায়। রোমানার বাবা খোঁজ করতে করতে অবশেষে হাসপাতালে এসে মেয়ের খোঁজ পান।
-----
ছেলেটি এবং বাকি দু'জন অজ্ঞাতের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিলো তিন মাস আগে। পুলিশ বলছে আসামী পলাতক,অথচ এখনো ছেলেটিকে এখানে সেখানে দেখতে পায় রোমানার বান্ধবীরা। রোমানার স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়েছে,মামলা তুলে নেবার জন্যে ফোন,উড়ো চিঠি আসতে থাকে,ধর্ষক ছাত্রনেতা সরকারী কলেজের অনার্স পড়ুয়া। মাঝরাতে প্রায়ই রোমানাদের দরজায় ধাক্কা দিয়ে কারা যেন পালিয়ে যায়। রোমানার বাবা রোমানা ও তার মা'কে অন্য শহরে পাঠিয়ে দেন,রোমানা নতুন স্কুলে ভর্তি হয়। একটি সাদা পৃষ্ঠা,একটি নতুন শুরু; হয়তো…
ধর্ষক এখনো 'পলাতক',অথচ তার ছবি দিয়ে পোস্টার ছাপিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানানো হয় নারীশিক্ষায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পিস ট্রী পুরষ্কার প্রাপ্তি উপলক্ষে।
নতুন স্কুলে এসে রোমানা নিজেই উচ্ছৃঙ্খল হয়ে পড়ে। ক্লাস শেষে ক্লাসের ছেলে বন্ধুদের সাথে এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ায়,দেরী করে বাসায় আসে। মা প্রশ্ন করলে জবাব দেয় না।
দিন আরো গড়ালো,রোমানা এখন সীসাবারে ধূমপান করতে যায়,৩য় বয়ফ্রেণ্ডের বাসায় যায়। স্কুলের ছেলেমেয়েরা সবাই তাকে বাজে মেয়ে হিসেবে চিনতে শুরু করে,ক্লাস টেনের টেস্টে ফেইল করে সে।
রোমানার ঘরে আজকাল অনেককিছু দেখতে পান মা,নতুন দামী হাতঘড়ি,নতুন জামা,নতুন হাতব্যাগ,ক্যামেরা। রোমানার হাতে একবার দামী ফোন দেখে প্রশ্ন করলে সে ক্ষেপে যায় মায়ের উপর " আমার বন্ধুরা গিফট করেছে,তোমার এতো মাথাব্যথা কেন?" বাবা মাঝেমাঝে আসলেও এসব নিয়ে প্রশ্ন করতে সাহস পান না মেয়েকে,পাছে কোন বাজে কথা বলে।
রোমানা এখন হাইক্লাস কলগার্ল,রুমি নামে পরিচিত। ইতোমধ্যে স্থানীয় বেশ বড় বড় নেতার ঘরেও সে থেকে এসেছে। এবার তার কাছে ঢাকা যাবার প্রস্তাব আসলো,এক প্রতিমন্ত্রীর কাছে,বেশ বড় অঙ্কের টাকা। বাসায় এক বান্ধবীকে দিয়ে বলালো যে রাতে তার বাসায় থাকবে,আসতে পারবেনা।
রোমানার বাসায় দামী জিনিসপত্রের সংখ্যা বাড়তে থাকে। হীরার আঙটি,আইফোন,ল্যাপটপ,ডিএসএলআর…
-----
আরো ৫ বছর পর,রোমানা এখন যুক্তরাষ্ট্রে,পেশাদার পর্ণোতারকা। চার বছর আগে সে গোপনে ঘর ছেড়ে চলে আসে ঢাকায়। নিজে ফ্ল্যাট ভাড়া নেয় গুলশানে,রথী মহারথীরা 'রুমির ফ্ল্যাটে' গিয়ে মোটা টাকার বিনিময়ে রোমানার গায়ের উষ্ণতা উপভোগ করে যায়। এর আরো এক বছর পর এক বিদেশী তার ফ্ল্যাটে থাকতে এসে যুক্তরাষ্ট্রে যাবার প্রস্তাব দেয়,সেও সানন্দে তার হাত ধরে চলে আসে এখানে; লাস ভেগাস। সে আগে একটি পর্ণ ওয়েবসাইটের সাথে চুক্তিবদ্ধ থাকলেও এখন সে ফ্রীল্যান্সার,তার এক একটি ভিডিও রেকর্ডিং বাবদ সম্মানী লাখ ডলারের উপর দর। পর্ণ ইন্ডাস্ট্রীতে রোমানার নাম এখন 'রোজী মায়ার'…রোমানার সব পর্ণ ভিডিওর শেষে সে ক্যামেরার দিকে মুখে বীর্য নিয়ে একটি কথা বলে,সেটি পর্ণস্টার রোজী মায়ারের সিগনেচার কোট- I was fucked a long ago by the society. By now you might have finished watching getting me fucked,actually I have been fucking the society back