আমি তার কাঠকয়লা রঙা চুলগুলো ছুয়েঁ দু আঙুলের ফাঁক দিয়ে গলিয়ে দিলেম পেছন থেকে এসে পা টিপে টিপে,মাথা ঝাঁকিয়ে মুখটি তা'র তবে সামনে নিয়ে এলে…
মুখটি পানে চা'বার পানে ভাবতে বসি- আরে,এই তো,সে যার জন্যে এক এক করে গুণেছি প্রহর দিবানিশি করে এক,
হাসলে সে,হাসলে
ছলকে ছলকে ওঠা রূপের খাঁজে খাঁজে বেয়ে বেয়ে যেন গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ছে সে তরলিত স্মিতমাল্যরাশি!
আরেকটু ছুয়েঁ দেখি? মুখটি এবার…নাম কি তোমার হে রূপসীশ্রেষ্ঠা অপ্সরী?
ভুবনমোহিনী? ইন্দ্রাণী? নার্গিস???
দেখছো আমায়? দেখে কি'ইবা হবে,দেখতে তো পাবে নিজেকে আমাতে,সর্বাঙ্গ মো'র র'য়েছে ভরে তোমার যে আবেশে!
কোন ভুবনের রূপজলধি এ'য়েছো হয়ে পার?
কোন গগনের রূপমেঘমালা তোমাতে পড়েছে ভেঙে?
আসবে সাথে আমার,ধরবে এসে খসখসে এ হাত?
বুরুশঘন পলক নাচিয়ে মিটমিটিয়ে চোখ,একবার চে'য়ে নেবে কি নামিয়ে দৃষ্টি তোমার লাজে?