আমি মানুষটা ঘরকুনো টাইপের। যদিও ঘরের কোণায়ই বেশিরভাগ সময় কাটাই, কিন্তু এখানে থাকতে আমার ভালো লাগেনা। মানুষ স্বভাবে ঘরকুনো হয়, আমি সুযোগের অভাবে ঘরকুনো হয়েছি। গতবছরটায় আমার সাথে একটা ভীষণ কাণ্ড হয়ে গেলো। আমার বিয়ে হয়ে গেলো। লৌকিকতা বলবে এবার আমি গৃহী হলাম। আমার নিজের ঘর পেলাম। কিন্তু আমার মনে হলো আমি পুরোপুরি ঘরবাড়িবিহীন উদ্বাস্তু হয়ে গেলাম। বেশকয়েকদিন দিন গেলো আমার শ্বশুরবাড়িও নিজের বাড়ি মনে হলোনা। নিজের বাবার বাড়িও নিজের বাড়ি মনে হলোনা। শ্বশুরবাড়ির দেয়ালের রঙ বেশি সাদা লাগে, খাট বেশি বড় লাগে, বাবার বাসায় রেখে আসা জামা কাপড় শ্বশুরবাড়ির আলমারিতে খুঁজে খুঁজে আমার পাগলপ্রায় দশা। অফিস থেকে এসেই বারান্দায় পনের মিনিট ধরে কান্নাকাটি করা আমার রুটিন হয়ে গেলো। অন্যদিকে বাবার বাড়ি গিয়ে ঘরবাড়ি আন্ধার লাগে, খাট ছোট লাগে, আলমারি খুললে মনে হয় কাপড়ের গুদাম। আমার মনে হতে লাগলো আমি সাঁতার না জানা মানুষ লাইফজ্যাকেট ছাড়াই সমুদ্রে নেমে গিয়েছি। ডুবলাম কি ভাসলাম, তাতে কিছুই যায় আসেনা। এই হাবুডুবু খাওয়ার ভর সিজনেই ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে পড়লাম। শ্বশুরবাড়ি, বাপের বাড়ি এবং এই দুই বাড়ির আলমারি থেকে অনেক দূরে সাগর, পাহাড় আর বিশাল একটা আকাশের কাছে। বিয়ের পর প্রথম ঘোরাঘুরি।
ঘরকুনো মানুষদের একটা ভালো দিক আছে। তাদের অভিভূত করা সহজ। এক চিলতে আকাশ দেখে অভ্যস্ত চোখ একটা বড় আকাশ দেখে চমকে উঠে। আমিও চমকালাম। আমাদের প্রথম গন্তব্য ছিলো সেন্টমার্টিনস। ঢাকা থেকে বাসে করে টেকনাফ। আমি পলিথিনের বিশাল বহর নিয়ে বাসে উঠলাম। জার্নি করে অভ্যাস নেই। কখন কোন অঘটন ঘটিয়ে ফেলি বলা তো যায়না। রাত ৯ টার বাস। প্ল্যান ছিলো বাসে উঠেই দিবো ঘুম, চোখ খুলে দেখবো টেকনাফের আকাশ। কিন্তু ঘটনা সেরকম ঘটলোনা। আমি বাসে উঠে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে থাকলাম। এসি বাসের জানালা একটু পর পর ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। বাহিরে তাকিয়ে কিছুই দেখার নেই, বিশুদ্ধ অন্ধকার ছাড়া। শুধু একটা একটা করে পেছনে হারিয়ে যাওয়া লাইটপোস্ট বলে দিচ্ছে কতটা দূরে চলে যাচ্ছি। অন্ধকার দেখতে দেখতেই কুমিল্লা চলে এলাম। এতদিন জানতাম দুপুরের খাবারের পর ঝিমুনি আসে। সেদিন বুঝলাম দুপুররাতের খাবারও কম যায়না। খাবার সেরে বাসে উঠে দ্রুতই ঘুমিয়ে পড়লাম। ঘুম যখন ভাঙলো তখন টেকনাফের পাহাড়ি রাস্তায়। গন্তব্যের কাছাকাছি। বাস থেকে যখন নামলাম তখন ঘড়ির কাঁটা সাতের ঘর ছুই ছুই। ১১ ঘন্টার বিশাল জার্নি। নেমেই মনে হলো বিশাল কাজ করে ফেলেছি। যদি ধরি আমাদের দেশটা একটা মানুষের শরীরের মতো, তাহলে বলা যায় দেশটার পেটের ভেতর থেকে পায়ের ছোট আঙ্গুলের ডগায় চলে এসেছি। একটা দেশের এক কোনায়। ভাবা যায়?! অনেকের কাছেই হয়তো ডাল ভাত, কিন্তু আমাদের মতো এক পা চলতে দুই পা নড়ে টাইপ আনাড়ি মানুষের জন্য অবশ্যই বিশাল ব্যপার। সেইন্টমার্টিন্সগামী সি ট্রাকগুলোর জন্য অপেক্ষা করতে করতে ঘাটেই নাস্তা সেরে নিলাম। তারপর সোজা জাহাজে, নাফ নদীর বুকে।
কিছু কিছু বিষয় থাকে যেগুলো দেখে চোখ ঠাণ্ডা হয়, মনে তৃপ্তি লাগে। আর কিছু থাকে যেগুলো চোখ মনের সীমানা পেড়িয়ে ভেতরে কোথাও গিয়ে গেঁথে যায়। হাহাকারের মতো লাগে। মনে হয় এই সৌন্দর্যের বিশালত্ব ধারণ করার জন্য জীবনটা খুবই ক্ষুদ্র। নাফ নদীর বুক থেকে টেকনাফের পাহাড়ের সারি দেখে আমারও এমন কিছুই মনে হচ্ছিলো। সবুজ পাহাড়ের সবুজ প্রতিফলনে নাফ নদীর পানিও সবুজ। কিন্তু চোখে সানগ্লাস থাকায় সবুজের সৌন্দর্য পুরোপুরি উপভোগ করতে পারলাম না। ভীষণ কড়া রোদ, চোখ খুলে রাখাই মুশকিল। ফেরার পথে বিকেলের নরম রোদে দুই চোখ ভরে সবুজ দেখবো, এই আশায় তখনকার মতো সবুজ বিলাস ক্ষান্ত রাখলাম। জাহাজের গতি বাড়লো। দৃশ্যপটও বদলে যেতে লাগলো। পাহাড় কম পানি বেশি দেখা যেতে লাগলো। নদী-সমুদ্রের মোহনায় চলে এসেছি।
এই বিশাল জলরাশির বুকে উপর দাঁড়িয়ে আছি। ভেবে যেমন শিহরিত হচ্ছিলাম তেমনি ভয়ও লাগছিলো। সাঁতার জানিনা। পায়ের নিচে মাটির ছোঁয়া পাবার আকুলি বিকুলি নেই বললে ডাহা মিথ্যা বলা হবে। তারপরও ছোট থেকে আস্তে আস্তে বড় হওয়া ঢেউ, সেগুলোর উপর প্রতিফলিত হওয়া সুর্যরশ্মি যখন মনে করিয়ে দিচ্ছিলো সমুদ্রের গভীরে যাচ্ছি তখন অন্যরকম রোমাঞ্চ কাজ করছিলো। আমার জীবনে প্রথম সমুদ্র দেখা সমুদ্রের উপরে দাঁড়িয়ে। ধীরে ধীরে দিগন্তে ছোট একটা রেখা ফুটে উঠলো। সেন্টমার্টিনস।
এতক্ষণ যাত্রাপথের কথা বলেছি। এবার যাত্রাসঙ্গীর পালা। আমার সফরসঙ্গী মহাশয়টির এটা পঞ্চমবারের মতো সেইন্টমার্টিন ভ্রমণ। এবারের ভ্রমণের বিশেষ অনুষঙ্গ আমি। সুতরাং ট্রাভেল গাইডের অভাব বোধ করার কোন সুযোগ নেই। দ্বিপের কাছাকাছি আসতেই জাহাজের গতি কমে গেলো। পানির গভীরতা নাকি বেশ কম, আটকে যাওয়ার ভালো সম্ভাবনা আছে। জাহাজ রীতিমতো হেলে দুলে ঘাটে এসে ভিড়লো। আমি দুরু দুরু বুকে পা রাখলাম সেইন্টমার্টিনের মাটিতে। আমাদের রুম বুক করা ছিলো উত্তর বিচের এক হোটেলে। ঘাট থেকে হাটা পথ। কিছুদিন আগেই বেশ বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তার এখানে সেখানে কাদা। বলাই বাহুল্য যে বিশেষ মনোহর কোন দৃশ্য সেটা ছিলোনা। আমাদের রুমটা ছিলো সী ফেসিং। ঢুকেই সাগরের বিশালত্ব দেখে হা হয়ে গেলাম। বুঝলাম ডাঙায় বসে সাগর দেখা আর সাগরে বসে সাগর দেখা এক নয়। দুইটা দুই ভিন্ন সৌন্দর্য। তখন ভাটার সময়। ভাটার সময় সাগরে নামা নিষিদ্ধ। এই সতর্কবানী আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা পই পই করে বলে দিয়েছিলো। আমি পানিতে নামতে রাজি হলাম না। কিন্তু মহাশয় ছাড়ার পাত্র নন। তিনি পানিতে নামিয়ে ছাড়লেন। অস্বীকার করবোনা বেশ কয়েকবার মনে হয়েছে ধরাধমে এইটাই আমার শেষদিন। পরদিনের পত্রিকার শিরোনাম ‘হানিমুনে গিয়ে মৃত্যু’। মাঝে তো এটাও মনে হয়েছিলো আমার সফরসঙ্গীর দ্বিতীয় বিবাহ করার খায়েশ হয়নি তো। কিন্তু আদতে তেমন কিছু ঘটলোনা। তবে খুব যে সুবিধা করতে পারলাম সেটাও না। তাই প্রথমদিনটা হালকা ডুবাডুবি করে বীচে বসে মোবাইল আর জুতা পাহাড়া দিয়ে কাটালাম। আর আমার মহাশয় সমুদ্রজয় করে ফিরলেন। ফ্রেশ হয়ে লাঞ্চ করে ওখানকার লোকাল একটা সিটওয়ালা ভ্যানে করে পশ্চিম বীচে গেলাম। উদ্দেশ্য সুর্যাস্ত দেখা। পশ্চিমের বীচটা বেশ প্রশস্ত। অনেক প্রবাল পাথরও এদিক সেদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তখন জোয়ারের সময়। আগ্রগামী সৈনিকের মতো প্রবালের দুর্গ ভেদ করে সমুদ্রের পানি ঢুকে পড়ে পায়ের পাতা ভিজিয়ে দিচ্ছে। সুর্যটাকে দেখে মনে হচ্ছিলো সমুদ্রের পানিতে আস্তে আস্তে গলে যাচ্ছে। আর পানির রঙ্গও নীল থেকে ধীরে ধীরে সোনালী হয়ে যাচ্ছে। এই অপার দিগন্তের মুখোমুখি হয়ে প্রকৃতির নিত্যদিনের খেলাও অপরিচিত লাগে। অপার্থিব লাগে। অতি আধুনিক ক্যামেরায় এই সৌন্দর্য ধারণ করার চেষ্টা করে কোন লাভ নেই যদিনা মানসপটে একে বন্দি করা যায়।
আমরা পঞ্জিকার পাতা ধরে পুর্নিমার সময়টা ঠিক করে রেখেছিলাম সেইন্টমার্টিনে থাকার জন্য। তাই সুর্যাস্ত দেখেই চোখ ভরে ফেলেনি। একটু যায়গা বাকি রেখেছিলাম পুর্নিমার জন্য। সুর্যের আলো পুরোপুরি নিভে যাওয়ার আগেই বিশাল এক রুপার থালা আকাশে উকি দিলো। যদিও সেই থালার এদিকে সেদিকে দাগ, তাতে কি। তার জোছনার তীব্রতায় কোন কমতি নেই। শহুরে আলোয় সেই জোছনা খুঁজে পাওয়া যাবেনা। সমুদ্রের পানি এখন রূপালি। বিচের ভেজা বালিও রুপালি। আমি নিশ্চিত যদি বাতাস দেখা যেতো সেটাও হয়তো রূপালিই হতো। জীবনে প্রথমবারের মতো ইচ্ছে করলো হুমায়ুন আহমেদের লেখা গল্পগুলোর ভুত হতে। আমি তখন পেট পুরে চাঁদের আলো খেতে পারতাম। কিন্তু আফসোস আমি মানুষ, হা করে জোছনা দেখে চোখ ভরানো সম্ভব পেট নয়। সুতরাং খাবার চাই। রাতে খাবার হিসেবে ছিলো কোরাল মাছের বারবি কিউ। খাবারের বিবরণ খুব বেশি দিবোনা। শুধু এইটুকু বলি, সেই মাছের বার বি কিউ আমি এখনো মাঝে মাঝে স্বপ্নে দেখতে পাই। পাঠক মাত্রই বুঝে নিবেন।
যন্ত্রণা শুরু হলো রাতের বেলায়। আমরা গিয়েছিলাম সিজনের শুরুতে। আগস্টের মাঝামাঝি। নিয়েছিলাম সী ফেসিং রুম। ভীষণ গরম, রুমে বাতাসও ঢুকেনা। বাহিরে গিয়ে দাড়াবো সেই সাহসও নাই। মনে হচ্ছিলো প্রত্যেকটা ঝাউগাছের মাথায় একটা করে ভুত বসে আছে। রাতে একটুও ঘুম হলোনা। সকালে বারান্দায় বসে ঘুম ঘুম চোখে সুর্যোদয় দেখলাম। কি যে দেখলাম, কিছুই মনে করতে পারিনা। একটা আফসোস রয়ে গেলো। সব ইচ্ছা পুর্ণ হওয়া ঠিক নয়। কিছু কিছু আফসোস থাকা ভালো। পুর্ণ হওয়া ইচ্ছেরা অতীত হয়ে যায়। অপুর্ণ ইচ্ছেরাই ভবিষ্যতকে বাঁচিয়ে রাখে।
সকালে উঠেই তাই মহাশয়ের প্রথম প্রটোকল হলো রুম চেঞ্জ, অপারগতায় হোটেল চেঞ্জ। এই করতে করতে ছেড়া দ্বিপ যাওয়ার বোট মিস হয়ে গেলো। তাই বলে তো আর ছেড়া দ্বিপ মিস করা যায়না। আমরা কয়েকগুন বেশি ভাড়ার স্পীডবোট ভাড়া করে উঠে পড়লাম। দুইপাশে নোনা পানি ছিটাতে ছিটাতে আমরা চললাম। আস্তে আস্তে ছেড়া দ্বিপের ঝাউগাছটা ছোট থেকে বড় হলো, আমরাও এসে পড়লাম। কিন্তু মাটির পরিবর্তে পা রাখলাম পানিতে। বিভিন্ন কসরতে প্রবালের ক্ষেত খামারের গুষ্টি কিলিয়ে আমি মাটিতে পা রাখলাম। পুরো সময়টায় আমার বিশ্বস্ত ট্রাভেল গাইড আমাকে ধরে রেখেছিলো বলে রক্ষা। নইলে সলিলে সমাধি না হলেও প্রবালে আমার সমাধি হতে পারতো। ছেড়াদ্বিপের মুল আকর্ষন এখানকার প্রবাল পাথর আর গাঢ় নীল সমুদ্র। খুব ইচ্ছে হলো এমন নীল ব্যাকগ্রাউন্ডে যদি শাড়ি পরে একটা ছবি তোলা যেতো। কিন্তু ফেরার পথে দেখলাম ভাটার টানে পানির নিচের প্রবালগুলোও ভেসে উঠেছে। প্রবালের সেই বিশাল লাইন পার হয়ে বোটে উঠতে হবে চিন্তা করে শাড়ি পড়ার ইচ্ছেটার সেখানেই সমাপ্তি ঘটলো।
সমুদ্রে নামার সবচেয়ে উত্তম সময় হলো জোয়ার সেটা সেদিন বিকেলে বুঝলাম। তখন ভাটার টানও থাকেনা, আর বড় বড় ঢেউ এসে ভালো নাকানি চুবানি দিতে পারে। সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হলো কিভাবে কিভাবে যেন জোয়ারের বিপুল পানি কয়েকঘন্টার মধ্যেই কপাকপ করে ভাটার সময়ে জেগে উঠা বিশাল বীচটা গিলে ফেলতে পারে। পানির মাঝখানে দাড়িয়েই সেদিনের সুর্যাস্ত দেখলাম।
মজার ঘটনা হলো ফেরার সময়। আমাদের সী ট্রাকের টিকিট আগেই ঠিক করা ছিলো। শিপ ছাড়ার সময়ও লেখা ছিলো দুপুর ২:০০। কিন্তু আমরা দুই কপোত কপোতির কারোরই কেন যেন সময়টা চোখে পড়েনি। তারউপর আমার অভিজ্ঞ সফরসঙ্গী দৃঢ় প্রত্যয়ে বললেন ৩:০০ তার আগে কোন শিপই ছাড়েনা। তো আমরা আরামসে লাঞ্চ শেষ করে গিয়ে দেখি আমাদের শীপ তখন মাঝ সমুদ্রে। আমি তো হায় হায় করে উঠলাম কিন্তু মহাশয় অভয় দিলেন সবকিছুরই অভিজ্ঞতা থাকা দরকার। ঘাটে আরেকটা শীপ তখন ছাড়ি ছাড়ি করছে। আমরা উঠে পড়লাম। মাঝ সমুদ্রে আমাদের এসি সিট ফেলে ননএসিতে গাদাগাদি করে বসলাম। টেকনাফ ফেরত যাওয়া নিয়ে কথা। সেই গাদাগাদি সিট নিয়ে কাড়াকাড়ির মধ্যেই কিছুদূর এগোতেই দেখি আমাদের আগের শিপ ডুবোচরে আটকা পড়ে আছে। আমরা তো খুশি হয়ে গেলাম। যা হয় ভালোর জন্যই হয়। কিন্তু খুশি বেশিক্ষণ টিকলোনা। ঘাটে নেমে বাসের হদিশ করতেই শুনলাম আমাদের আগের শিপে বাসের বেশ কিছু যাত্রী আছে। তাদের না নিয়ে বাস ছাড়বেনা। অতঃপর থাকো বসে।
আমাদের ট্যুর প্ল্যান বেশ লম্বা ছিলো। সেইন্টমার্টিন্স থেকে কক্সবাজার, সেখান থেকে বান্দরবান, তারপর ঢাকা। অত বিবরণ একবারেই লিখে ফেলতে চাইনা। স্মৃতির বাক্স আস্তে ধীরে খোলাই উত্তম। সেইন্টমার্টিন্স এখন বহু ভ্রমণ পিপাসুদের খুবই আকাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। অনেকেই সেখানে গিয়েছেন, যাবেন। অনেক আহ্লাদ করে ভ্রমণকাহিনী লেখার মতো নতুন কোন উপকরণ সেখানে নেই। সে কাজ আমি করতেও চাইনা। শুধু প্রথমবার নোনা পানি স্পর্শের অভিজ্ঞতাকে শব্দের ফ্রেমে আটকাতে চাই। তাই আটকে ফেললাম।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৪৩