১।
শরিফ মিয়া আনারস মার্কা নিয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। আর জলিলের মার্কা ছাতা। একদিন রাস্তায় কথা হচ্ছিল তাঁদের-
শরিফ : বুঝলা জলিল, ভোটে কিন্তু আমিই পাস করব। কেন জানো? আমার দলের কর্মীরা যখন রিকশায় ওঠে রিকশাঅলার খোঁজখবর নেয়। রিকশা থেকে নামার সময় তাকে ১০ টাকা বকশিশ দেয়। আর বলে, ‘ভাই, ভোটটা কিন্তু আনারস মার্কায়ই দিয়েন।’
জলিল : না রে শরিফ, ভোটে আমিই জিতব। কারণ, আমার লোকেরা রিকশায় উঠেই রিকশাঅলাকে গালিগালাজ করে। রিকশা থেকে নামার সময় ১০ টাকা কম দেয়। আর বলে, ‘ওই ব্যাটা, ভোটটা কিন্তু আনারস মার্কায় দিবি।’
;
;
২।
এক নেতা মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করছিলেন-
নেতা : আমি যদি নির্বাচিত হই, এই গ্রামে ব্রিজ বানিয়ে দেব।
একজন : স্যার, এই গ্রামে তো কোনো খাল নেই। ব্রিজ করবেন কীভাবে?
নেতা : ইয়ে মানে… প্রথমে খাল খনন করব। এরপর খালের ওপর ব্রিজ বানাব।
;
;
৩।
এক নেতা ভোট চাইতে ভোটারের কাছে গেছেন-
নেতা : চাচা, কথা দেন, ভোটটা আমারেই দিবেন।
ভোটার : কিন্তু ভাতিজা, আমি যে আরেকজনকে ভোট দেব বলে কথা দিয়ে ফেলছি।
নেতা : তাতে কী? কথা দিলেই যে কথা রাখতে হবে, তা তো নয়।
ভোটার : তাইলে ভাতিজা তোমারেও কথা দিলাম।
;
;
৪।
নির্বাচনের দিন। দুই দলের সমর্থক দুই বন্ধু দাঁড়িয়েছে ভোটের লাইনে। কিন্তু সকাল হতে না হতেই ভোটকেন্দ্রের সামনে দীর্ঘ লাইন। এভাবে লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর প্রথম বন্ধু অনেকটা আফসোসের সুরেই দ্বিতীয় বন্ধুকে বলল, 'দ্যাখ, আমিও জানি আমি আনারস মার্কায় ভোট দেব। আর এটাও নিশ্চিত যে তুই ভোট দিবি টেলিভিশন মার্কায়। তাই বলছি কী আমাদের দু'জনেরই যখন একটি করে ভোট তখন তোর আর আমার ভোট কাটাকাটি হয়ে তো ফলাফল একই থাকবে। তাই চল লাইনে না দাঁড়িয়ে থেকে বাসায় চলে যাই।'
প্রথম বন্ধুর এই প্রস্তাব পছন্দ হলো দ্বিতীয় বন্ধুটির। তাই তারা দু'জনই পা বাড়ালো বাড়ির পথে। একটু পরে কাছেই এক চায়ের দোকানে প্রথম বন্ধুটির সাথে দেখা হলো ওই সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা আরেক ভদ্রলোকের। তিনি সকালের ঘটনা মনে করিয়ে দিয়ে প্রথম বন্ধুটিকে বললেন, 'তোমার এই ভোট কাটাকাটির খেলাটা কিন্তু আমার খুব পছন্দ হয়েছে।' উত্তরে বন্ধুটি বললো, 'পছন্দ হতেই হবে। তা ছাড়া এটা খুব কার্যকরও বটে। আজ সারাদিনে আমি কমপক্ষে চারজনের সাথে এভাবে কাটাকাটি খেলেছি!'
;
;
৫।
এক লোকের ইচ্ছে হয়েছে, তিনি সংসদ নির্বাচন করবেন। ইচ্ছে অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েও গেলেন। ভোট হলো। গণনা শেষে দেখা গেল, তিনি মাত্র তিনটি ভোট পেয়েছেন। ফলাফল দেখে লোকটির স্ত্রী তো রেগে আগুন। বললেন, ‘আমি আগেই সন্দেহ করেছিলাম, তুমি নিশ্চয় অন্য কোনো মেয়েকে ভালোবাস। তা না হলে তৃতীয় ভোটটা দিল কে?'
;
;
৬।
বল্টু ভোট দিয়ে পোলিং অফিসারকে জিজ্ঞাসা করল : স্যার আঙ্গুলের এই দাগ কি পানি দিয়ে ধুলে যাবে?
অফিসার: না।
বল্টু: তা হলে স্যার, সাবান দিয়ে ধুলে যাবে?
অফিসার: না।
বল্টু: তাহলে স্যার, কত দিন পরে উঠবে?
অফিসার: (বিরক্ত) এক বছর পর যাবে।
বল্টু: তাহলে আরও একটু দেবেন স্যার?
অফিসার: কেন?
বল্টু: চুলে লাগাব স্যার। আজকাল হেয়ার ডাই গুলো এক সপ্তাহের বেশি থাকে না।
সংগ্রহীত
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১