২০০৩ সালের সাভারে ট্রাক চাপা দিয়ে খোদেজা বেগম নামের এক নারীকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারী ট্রাক চালক মীর হোসেন এবং নিহত খোদেজা দুজনেই ছিলেন সাভারের ঝাউচর এলাকার বাসিন্দা । হত্যার দিন গ্রামের রাস্তা দিয়ে ট্রাক নিয়ে যাচ্ছিল মীর হোসেন। আর এতে বাঁধা দিয়েছিলেন খাদিজা এবং তার স্বামী। মীর হোসেন প্রতিহিংসা বশত তাদের ওপর ট্রাক চাপা দেয় । এতে মারা যায় খাদিজা। বেঁচে ছিলেন খাদিজার স্বামী নূরু গাজী এবং মামলার বাদী।
পুরো ঘটনাই ব্যক্তিগত শত্রুতা । আদালতও সেই বিবেচনায় রায় দিয়েছেন। এই রায় দেয়ার কোথায় অন্যায়? এই রায়ের কোথায় অন্যায় হয়েছে? কিসের প্রতিবাদে সব অচল? তার মানে আমি গাড়ি নিয়ে নেমে যেতে পারব রাস্তায় এবং মানুষ মেরে ফেলে বলতে পারবো এটি দুর্ঘটনা। আমাকে শাস্তি দিলে দেশ অচল করবো। এটা কি মগের মুল্লুক?
এই সব দাবির বিরুদ্ধে সরকারে কোনো পদক্ষেপ দেখছি না। হাজার আন্দোলন দমন করা সরকারের কোনো বাহিনীকে দেখছি না কঠোর হতে। কেমন ফিসফিস পরিবেশ। সেই ফিসফাস গোপনীয়তা দেখার আমাদের প্রয়োজন নেই। আমরা জানি আইন সবার জন্য। আর জানি এই অনৈতিক, অবৈধ, অহেতুক দাবি মেনে নিলে বা মেনে নেয়ার চেষ্টা করা মানে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো এইসব খুনিকে লাইসেন্স দেয়া আর প্রমাণ করা এই দেশে চালকরা সব আইনের, সব সাজার ঊর্ধ্বে । আমরা কি আসলেই তা প্রমাণ করতে চাই?
যারা এই আন্দোলন দমন না করে নিরব, যারা গোপনে উস্কে দিচ্ছেন দেশ অচল করার এই ষড়যন্ত্র তাদের বলি এইসব খুনিদের হাতে রাস্তায় মরে পড়ে না থাকুক আপনার স্বজন। অন্যের কষ্ট বোঝানোর জন্য আপনি কষ্টে পড়েন সেই বদ দোয়া আমরা দেই না। আমরা প্রতিশোধ নিবো না। কারণ আমরা জানি প্রকৃতি কখনও প্রতিশোধ নিতে ভুলে না।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৪