খুব হুংকার আর হম্বিতম্বির প্রতীক। আত্মঅহংকারী, একরোখা, গোঁয়ার্তুমি -বিশেষণগুলো তার মধ্যে অকৃত্রিমভাবে বিরাজমান। তিনি আর কেউ নন, মমতা ব্যানারজী। মমতাদি। পরম করুণাময় মমতার লেশমাত্র যার চোখেমুখে রাখেননি। সৌজন্যতার নুণ্যতম বোধটুকুও তার মাঝে দেখতে পাইনি। তিস্তা নিয়ে কি ভোগান্তিতেই না রাখছেন আমাদের। ভারতের প্রধানমন্ত্রী Norendro Modiকেও এনিয়ে নাকানী চুবানী কম খাওয়াননি।
এই সেই হুংকারবাজ মমতা ব্যানারজী। ভাবখানা আপোষহীন, তলে তলে চোরের সর্দারনী। নারদ কেলেঙ্কারি, সারদা কেলেঙ্কারি সবকিছুরই হোতা, এই নেত্রী। দলের দুর্নীতিবাজ নেতা মন্ত্রীদের রক্ষার জন্য নিবেদিত প্রাণ তিনি।
সিঙ্গুর নিয়ে কতই না নাটক করলেন, গরীব সাধারণ কৃষকের ইমোশন নিয়ে খেলা করতে করতে রূপিশ্রী নায়িকা বনে গেলেন। একলাফে পশ্চিম বঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী! খেলা খেলা সারাবেলা। কি নোংরা খেলাই না খেললেন এই মহিলা! যাদের কাঁধে ভর করে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসলেন, কি অবলীলায় ভুলে গেলান তাঁদের। না দিলেন সিঙ্গুরবাসীর জমি ফেরত, না গড়তে দিলেন শিল্প কারখানা। ক্ষমতার মসনদে বসে শুধু করলেন টালবাহানা। কারখানা হলেও সিঙ্গুরবাসী কিছু করে খেতে পারতেন, হতে পারতো তাঁদের জীবন মানের উন্নয়ন। এঁদের ভাগ্যে বুড়ো আঙ্গুল ঠেকিয়ে নিজের ভাগ্য গড়ে নিলেন এই চতুর মহিলা। দুর্নীতিকে আশকারা দিয়ে ভাগ্য বদলে দিলেন নিজের ভাইদের, দলের কু-মতলববাজ নেতাদের। সত্যিই মমতাদি, তুমি পারোও।
তবে আর পার পাবে বলে মনে হয় না। পশ্চিম বঙ্গের জনতা তোমার চটকদারীতে এবার মজবে না। ন্যাড়া কবার বেলতলায় যায় বলতো?
সময় এসেছে দিদি, তোমার ভেল্কিবাজির তৃণমূল কংগ্রেস এবার ছিন্নমূল হয়ে যাচ্ছে কিন্তু।
মানুষ নিয়ে আর খেলো না দিদি, তা সে সিঙ্গুর হোক কিংবা তিস্তা বাঁধই হোক।
(ছবিটি “প্রথম আলো” পত্রিকা থেকে সংগৃহীত)
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০১৬ রাত ১:৫১