পরিবেশের ক্ষতি
সোনা উত্তোলনের ক্ষেত্রে পারদ আর সায়ানাইড ব্যবহারের কারণে লম্বক দ্বীপের পাশের সাগরের পানি ও সেখানকার ম্যানগ্রোভ বনের পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে৷ সাগরের পানিতে বিষ ছড়িয়ে পড়ায় সেখানকার প্রাণীকূলের ক্ষতি হচ্ছে৷
বিতর্কিত সায়ানাইড
অশোধিত আকরিক থেকে সোনা বের করতে সায়ানাইডের ব্যবহার একটি বিতর্কিত প্রক্রিয়া৷ কারণ সায়ানাইড খুবই বিষাক্ত৷ কিন্তু লম্বকের তাওয়ান গ্রামে সায়ানাইডের ব্যবহার হচ্ছে দেদারছে৷
ঝুঁকি
১৮ বছরের মসুর পারদ নিয়ে কাজ করছে৷ কিন্তু সে জানে না যে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ না করে পারদের ব্যবহার কতটা ঝুঁকিপূর্ণ৷ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় ব্যাঘাত ঘটানো ছাড়াও কিডনি, ত্বক, ফুসফুস ও চোখের ক্ষতি করতে পারে পারদ৷
সরু টানেল
শুধু একজন মানুষ যেতে পারে সেরকম করে টানেল তৈরি করা হয়৷ সাইফুল বলেন, অনেকসময় দেখা যায় টানেল কাটতে গিয়ে আরেক বন্ধুর টানেল চলে আসে৷ সেসময় একটু পিছিয়ে গিয়ে আবার শুরু করতে হয়৷ মাথায় হেলমেটের সঙ্গে থাকা ল্যাম্পই সাইফুলের জন্য খনিতে আলো পাবার একমাত্র উৎস৷
খনিতেই সারাদিন
হাতে বাটালি নিয়ে ৪৮ বছরের সাইফুল খনির ভেতরে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন৷ প্রতিটি ৩০ কেজি ওজনের ব্যাগ তিনি অশোধিত আকরিক দিয়ে ভরে থাকেন৷ যত বেশি ব্যাগ ভরবেন সোনা পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি৷ তাই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সাইফুলের খনিতেই কাটে৷
টানেলের সমাহার
মাইনিং বা খনিখননের কাজ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লম্বকের পাহাড়ের গায়ে বড় বড় গর্ত ও টানেল তৈরি হয়েছে৷ ছবিতে নীল রংয়ের যে তারপলিন দেখা যাচ্ছে, সেগুলো টানেলে ঢোকার প্রবেশপথ৷
বিষাক্ত উপাদান
সোনার খনিতে পারদের ব্যবহার ইন্দোনেশিয়ায় নিষিদ্ধ হলেও, লম্বকের খনিগুলোতে এটা নিয়মিতই ব্যবহৃত হয়৷ ফলে প্রতি বছর সেখানকার পরিবেশে প্রচুর পরিমাণ পারদ ছড়িয়ে পড়ে৷ এছাড়া ক্ষতিকর এই পারদ মানবদেহেও প্রবেশ করতে পারে৷
আর্থিক উন্নতি
সোনার খনির কারণে ইন্দোনেশিয়ার লম্বক দ্বীপের মানুষের জীবনে বিশাল পরিবর্তন এসেছে৷ একসময় তাঁরা মাছ ধরে আর কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন৷ এখন তাঁরা সোনা বিক্রি করেন৷ যেমন রিজকি নামের এই মানুষটি তাঁর দোকানে এক গ্রাম সোনা বিক্রি করেন আড়াই লাখ রূপিতে৷