প্রথমে মূল খবরটা দেখে নেই।
প্রথম আলো
রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিতের এপিএস ৭০ লাখ টাকাসহ আটক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএস ওমর ফারুক তালুকদার ‘ঘুষের’ ৭০ লাখ টাকাসহ সোমবার গভীর রাতে ঢাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-র হাতে ধরা পড়েছেন। এ সময় ওই গাড়িতে তার সঙ্গে ছিলেন রেলওয়ের জিএম (পূর্বাঞ্চল) ইউসুফ আলী মৃধা। এই টাকা নিয়ে তারা রেলমন্ত্রীর জিগাতলার বাসায় যাচ্ছিলেন। প্রায় ১২ ঘণ্টা বিজিবির হাতে আটক থাকার পর রেলমন্ত্রীর চাপে গতকাল দুপুরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
রেলের নিয়োগ নিয়ে বহু বছর ধরে বহু কথন প্রচলিত আছে। বিষয়টি নিয়ে জানার এবং কাছ থেকে একটু দেখার সুযোগ হয়েছিল বিধায় সামান্য যা জেনেছি তা সকলের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করছি। যদি কোন সাংবাদিক ভাই রিপোর্ট করতে চান বা গভীরে যেতে চান তবে কিছুটা সাহায্য হতেও পারে।
দুর্নীতির শুরু একেবারেই প্রথম পর্যায় থেকে। লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমেই আমজনতার রেলের চাকরির আশা হত্যা করা হয়। অত্যন্ত কঠিন ভাবে সুকৌশলে প্রশ্নপত্র তৈরী করা হয় এবং উক্ত প্রশ্ন পত্রের উত্তরসহ সিলেক্টেড প্রার্থীদেরকে সরবরাহ করা হয়। (কয়েকটি প্রশ্নপত্র দেখলেই বুজবেন এগুলো উক্ত মানের অনেক উপরে)
মূলত: লিখিত পরীক্ষার আগেই যাবতীয় চুক্তি সমাপ্ত করা হয়। চুক্তি অনুয়ায়ী লিখিত পরীক্ষায় পাশ করানোর দায়িত্ব কতৃপক্ষের। লিখিত পরীক্ষার পূর্বে যাদের উত্তরপত্র সরবরাহ করা সম্ভব হয় নাই তাদের জন্য ভিন্ন ব্যবস্থা। পরীক্ষার খাতা খালি রাখা এবং পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষ নিজ দায়িত্বে উহা পূরণ করেন। কোন কোন ক্ষেত্রে খাতার প্রথম পাতার সাথে ভিতরের পাতার কোন মিল নেই। কাগজ কিংবা হাতের লেখা সম্পূর্ন ভিন্ন।
(বিষয়টি শুধুমাত্র তদন্ত করলেই জানার যাবে, যারা পরীক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন তারা বিষয়টি টের পেয়েছেন।)
৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় একজন সাধারণ প্রার্থীর পক্ষে ২০ পাওয়া অত্যন্ত কঠিন কিন্তু বেশ কয়েকজন ৬০ এর মধ্যে ৬০ পায়। বেশী নম্বর পাওয়ার কারণে উক্ত খাতাগুলোর সঠিক উত্তরের + - বদলিয়ে নাম্বার কমিয়ে দেয়া হয়। না হলে প্রশ্ন উঠতে পারে। উক্ত খাতাগুলোর প্রত্যেকটির উত্তর একই। এমনকি অনুবাদ/ভাবসম্প্রসারনও হুবহু । (কিভাবে সম্ভব?)
এসকল কাজ অত্যন্ত নিখুত ভাবে করা হয়েছে জিএম এর সম্পূর্ন জ্ঞাতসারে। নিয়োগ কমিটির ৪ জন জিএম, এইচডব্লিউ, সিএমও এরা সকলেই মিউচুয়াল্যী বিষয়টা ম্যানেজ করেন। প্রত্যেকের নিজস্ব প্রার্থী জোগাড় করা থাকে। আর্থিক বিষয়টা সম্পূর্ন নিশ্চিত হলেই জিএম গ্রীণ সিগন্যাল দেয়। সেই অনুযায়ী কাজ হয়। (বিগত ৯ মাস যাবত এসব কর্মকর্তার সম্পদ চেক করলেই বিষয়টা যে কেউ ধরতে পারবে। দুদক লাগবেনা)
একটু খানি ব্যতিক্রম আছে যে কোন প্রার্থী রিট করলেই তার চাকরি ফাইনাল। কয়েক বার নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকার পর হঠাত করেই সচল। রিট কারী তার রিট উঠিয়ে নিয়েছেন। (যারা রিট করেছেন তাদের ধরলেই এটি প্রমাণিত হবে।)
জিএম ইউসুফ আলী মৃধা হিসাব করে টাকা নিয়েছেন উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের জন্যই। তবে আরো পরিমান কম মনে হয়।
আমি সাজিয়ে লিখতে পারি নাই তাই হয়তো লেখাটি তেমন কার্যকর হবে না। যদি কোন সাংবাদিক ভাই ভালভাবে লিখে দিতেন তবে তা আরো অর্থবহ হতো।
তবুও সাহস করে একটু লিখলাম। প্রশ্ন করতে পারেন আমি জানলা কিভাবে? আমিও ওই ড্রাইভারের মতো ভুক্তভোগী কিনা? আপনারা যা মনে করেন তাই ঠিক।
আমি এদের শাস্তি চাই। বিচার চাই । (যদিও কিছুই হবে না জানি)