(ডিসক্লেইমার: এটা নিছকই ফান পোস্ট... কেউ অহেতুক সিঁধুপ্রেমী হয়ে ক্যাঁচাল করতে আসলে তাকে ও ভর্তা বানানো হবে...ভর্তা বানানের সিরিয়ালে অবশ্য মন্দিরাবেদী ও ছিলো কিন্তু সে এবার মুখেতালা দিয়ে ভালোই করেছে। সিঁধু আমাদের যেভাবে হেয় করে কথা বলে সে তুলনায় আমরা যথেষ্ঠ ভদ্র থেকে নীরব থাকি কিন্তু আমাদের নীরবতাকে যদি খবিশটা দূর্বলতা ভেবে লাগাতার এমন কটাক্ষ করে তাহলে আমরাই বা নীরব থাকবো কেন?)
মনে ম্যালা দুঃখ বুয়া কোম্পানির এমডি হয়ে বসে আছি....মানুষজন আজকাল দরকারের সময় বুয়ার খোঁজখবর নেয় আমার কাছ থেকে। ব্লগে আফাদের সাথে তাল মিলিয়ে ভাইজানরাও কত শত রেসিপি পোস্ট দেয় অথচ অকামের বুয়া আমি একটা ও রেসিপি পোস্ট দিতে পারলাম না।সেই দুঃখ দূর করার জন্য আজকে খবিশটারে নিয়া ভর্তার রেসিপি পোস্ট দিলাম। উল্টাপাল্টা কাম করতে আমার তুলনা শুধু আমিই । নভ........সিঁধু (খবিশটার পুরা নাম লিখতে বিরক্ত লাগে) হলো বর্তমানে বাংলাদেশের অনেকেরই আলোচলা,সমালোচনা আর ঘৃণার মানুষ। খবিশটারে নিয়ে এফবিতে সব গ্রুপেই মেম্বার হয়ে বসে আছি কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো ভাইজানেরা দেখি তারে কত্ত গালি দেয় আর আমরা আফামণি হয়ে মনে মনে গালি দিয়ে চুপ থাকি ...বড়জোড় হারামজাদা বলি(এটা ও নাকি আজকাল ভদ্র গালি হয়ে গেছে) কিন্তু মনে মনে গালি দিলে কি রাগ কমে? যাইহোক গালি না দিয়ে এবার ডাইরেক্ট এ্যাকশনে যাবো মানে খবিশটারে ভর্তা বানবো।
ইএসপিএনের ফ্লোরে বসে সিধু ব্যাটা যতই কচকচ করুক সে কি ভাবে তার পরর্র্তী সময়ে কোনদিন বাংলাদেশে আসা লাগবেনা? ঐ ব্যাটা আসুক বা না আসুক এটা কল্পনা করে ও শান্তি পাই যে ধরে খালি মাইর দিতাছি। ধরি, ইএসপিএনে আজকে বসে বাংলাদেশরে নিয়া যাতা বলে বাসায় ফেরার সময় খোশমেজাজে পাঞ্জাবী ভাংরা গুণগুণ করতে করতে যখনই গাড়ীতে উঠতে গেল তখনই আচমকা ঝড়-তুফান শুরু হয়ে গেল। আসলে ঝড়-তুফান কিছুই না বাংগালীদের অভিমান,ক্ষোভের সাথে প্রকৃতি ও সায় দিলো।সেই সময় প্রবল বাতাসে সিঁধুর সাধের পাগড়ীখানা উড়তে উড়তে একেবারে মিরপুর স্টেডিয়ামের উপর এসে পড়লো। সিঁধু তার সাধের পাগড়ির চিন্তায় বেপোয়ারা হয়ে যে কখন টাইগারদের এলাকায় ঢুকে গেছে সেটা খেয়ালই নাই। পাগড়ীর ঠিকঠাক করে পরে যেই পিছন ফিরলো দেখে একটা দুইটা করে লোকজনে স্টেডিয়াম ভরে যাচ্ছে। জোকারটা প্রায় চ্যানেলের লাফটার শোতে গিয়া যেভাবে ভাংরা নাচের মতন দুহাত উপরে তুলে কথা বলে ঠিক সেভাবেই ওয়ে গুরুঊঊউ তো হয়ে যা শুরু সেইম ডায়লগ দিয়ে রেসপন্স না পেয়ে ভয় পেল। পাবলিক ক্ষেপে গিয়ে আয় তোরে মাইর শুরু করি বলেই এমন দৌড়ানি আর লৌড়ানি দিলো যে সিঁধু কয়েক চক্কর দেবার পর কাহিল হয়ে পড়ে গেল.....এরপর গণধোলাই ....সিঁধুব্যাটা কিন্তু মাইর খাইয়্যা পটল তুলে নাই। মাইর শুরু হবার কয়েকমিনিটের মাথায় হেড এ্যাটাক( ভয়ে হার্ট তার মাথায় উঠে গেছিলো) পটল তুললো। খবিশটা এতই হাবিজাবি আর অদরকারী কথা বলত যে পটল তোলার পর ও দেখলাম পাবলিক অশান্ত হয়ে রইলো।ভীড়ে খবিশটারে একটা মাইরও দিতে পারিনাই তাই পাবলিক কমতে শুরু করার পর ভর্তা বানানোর কাজে হাত দিলাম।
ভর্তার উপকরণ ও তৈরীর প্রণালী....
১.একটা বড়সাইজের বুলডোজার
২.মাংসসেদ্ধ করার জন্য পানি গরম করার বড় ডেকচি
৩.বিল্ডিং তৈরীর সময় ইট বালু সুরকি যে মেশিনে মিকচার করে সেটা (নাম জানা নেই )
৪.কয়েক বস্তা বোম্বাই মরিচ
৫.আলকাতরার টিন(বড় সাইজের কয়েকটা)
৬.লালমরিচের গুড়া(৭০কেজি)
খবিশদের মাংস,হাড্ডি নাকি সেইরকম শক্ত অনেক সময় লাগে মিহিন(ফাইন) হতে ।বাসার পাশে রাস্তায় কাজ চলছে একটা বুলডোজার আছে সেখানে পটলতোলা সিঁধুরে কয়েকদফায় থেঁতলে নিলাম। থেঁতলানো সিধুরে বড় ডেকচিতে আলকাতরা আর লালমরিচের গুড়া পুরাটাই মিক্সড করে কয়েক ঘন্টা ধরে সেদ্ধ করতে হবে। এরপর বিল্ডিং তৈরীর সময় ইট বালু সুরকি যে মেশিনে মিকচার করে সেটাতে পুরা ডেকচির জিনিসপাতি ঢেলে দিয়ে মিহিন না হওয়া পর্যন্ত মিকচার করতে হবে। মাংস আর হাড্ডিগুড্ডি পুরাটাই মিহিন হয়ে গেলে সব উপকরণ বোম্বাই মরিচের সাথে মিশিয়ে গরম গরম কলাপাতায় পরিবেশনের জন্য সাজাতে হবে।
খবিশ সিঁধুর ভর্তা টেস্ট করার জন্য শিয়াল,কুকুর-বিড়াল,গুরু ,ছাগল এমনিকি ইঁন্দুরকেও দাওয়াত দেওয়া হলো। তারা এমন রেসিপি দেখে লাফ দিয়ে নাকসিটিয়ে দশ হাত দূরে গিয়ে অভিযোগ জানাল এই ভর্তা থেকে নাকি কেমন জানি একটা খ্যাইশট্টা গন্ধ বের হচ্ছে। তাদের ক্যামনে বুঝাই খবিশটার খ্যাইশট্টা গন্ধে আমরা ম্যাঙ্গু পাবলিকরাই কতটা ত্যক্ত ছিলাম.....শেষে দেখা গেল পশু হলেও তাদেরও এই খবিশটার মাংসতে ভারী অরুচি। কি আর করা এত কষ্ট করে বানানো ভর্তা আশে-পাশে পঁচা-ডোবাতে ফেলে দিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো।
ছবি কৃতজ্ঞতা: ব্লগার ~স্বপ্নজয়~