ষোল'শ শতাব্দীর দিকে ইংল্যান্ডের মেয়েরা প্রথম হিল জুতা পড়তো । হিল জুতো মেয়েরা কতটা আবেদনময়ী তা ফুটিয়ে তুলে ।আধুনিক সমাজে মেয়েরা নিজেদের একটু বেশী আবেদনময়ী করে তোলার জন্য উচ্চ হিল পড়ে থাকে ।
২য় বিশ্ব যুদ্ধ থেকে মেয়েদের হিল জুতা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে । কিন্তু তা বেশী দিন স্থায়ীত্ব নেই নি । এর পর ১৯৯০ এর শেষের দিকে উচ্ছ হিলের জনপ্রিয়তা শুরু হয় । এর আগে ৬০ কিংবা ৭০ এর দশকে নিচু বা মাঝারি হিল জুতার প্রচলন বা জনপ্রিয়তা ছিলো ।
পেন্সিল হিল যা স্টিলেটো হিল বা মার্কিন ইংরেজিতে স্পাইক হিল নামেও পরিচিত, একটি লম্বা, চিকন হিলের জুতা যা বিভিন্ন প্রকার বুট জুতা ও সাধারণ জুতাতে দেখতে পাওয়া যায়। সাধারণত নারীদের ব্যবহৃত জুতাতেই এ ধরনের হিল ব্যবহৃত হয়। ১৯৩০-এর দশকের শুরুর দিকে এই ধরনের জুতাকে নির্দেশ করতে স্টিলেটো ড্যাগার শব্দজোড়া ব্যবহৃত হতো, এবং এজন্যই এ জুতার নামকরণ করা হয় ‘স্টিলেটো হিল’ স্টিলেটো ড্যাগার হচ্ছে এক প্রকার ছুরি যার নিম্নভাগ যথেস্ট চিকন এবং এই ধরনের হিলের সাথে তাঁর সাদৃশ্য পাওয়া যায়। এই হিলে দৈর্ঘ্য ২.৫ সেন্টিমিটার বা ১ ইঞ্চি থেকে ২৫ সেন্টিমিটার বা ১০ ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে; কিছু ক্ষেত্রে, পরিবেশ বিচারে এর থেকে বেশি উঁচু পেন্সিল হিলও দেখা যায়, এবং এই হিলের মাটিতে হিলের যে অংশ স্পর্শ করে তার ব্যাস এক সেন্টিমিটার থেকে আধা ইঞ্চি বা ১ সেন্টিমিটারের কম হয়। হিলের দৈর্ঘ্য আধা ইঞ্চি থেকে বেশি ব্যাসের কিন্তু ৫ সেন্টিমিটারের কম হলে তা কিটেন হিল নামে পরিচিত। তাই সকল প্রকার উঁচু এবং চিকন হিল-ই পেন্সিল হিল নামে পরিচিত হবে না। ১৯৫০-এর দশকের এবং ১৯৬০-এর দশকের একেবারে গোড়ার দিকে এধরনের হিলগুলো ব্যাস ছিলো মাত্র ৫ মিলিমিটার। যেহেতু এই হিলগুলো মাটি স্পর্শকারী অংশটি হয় খুবই চিকন, তাই অনেক ক্ষেত্রেই সে স্থানটি আরো বেশি সুসংহত করতে আলাদা টিপ ব্যবহৃত হয়।
আধুনিক মেয়েরা বা ফ্যাশন সচেতন মেয়েরা হিল পড়ে না এটা ভাবা যায় ??
আমি মনে করি না ।হালের ফ্যাশন জগতে হিল জুতা তার শ্রেষ্টত্ব ধরে রেখেছে । অধিকাংশ মেয়েদের সাথে কথা বলে যেটা ধারণা করা যায় বিভিন্ন পার্টি কিংবা বিয়ের অনুষ্টানে মেয়েরা এখন হিল জুতাকে প্রাধান্য দিচ্ছে ।হিল জুতা পড়লে মেয়েদের যেমন আবেদনময়ী দেখা যায় তেমনি তারা নিজেরাও পড়ে স্বাচ্ছন্দ্য মনে করেন । হিল জুতার কারণে পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষণ তো একটু বেশী থাকে তাদের দিকে।
চলুন দেখে নেয়া যাক মেয়েদের হালের কিছু হিল জুতা। এখানে কয়েকটি ডিজাইন দেওয়া হলো ।
হিল জুতা পড়লে কিছু অসুবিধা বা শাররিক সমস্যা হতে পারে হিলে সাময়িক উচ্চতা হয় তো বাড়বে। কিন্তু পরে চিরকালের জন্য খুঁড়িয়ে হাঁটতে হতে পারে। অস্থি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, তাদের কাছে এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যায় অল্পবয়সী রোগী আসছেন। তাদের অনেকেই আসছেন গোড়ালি বা হাঁটুতে ব্যথা নিয়ে। দেখা যাচ্ছে, সব অসুবিধার মূলে সেই জুতার হিল। অস্বাভাবিক উঁচু হিল পরায় গোড়ালি উঁচু হয়ে থাকছে। যখন-তখন অনিয়ন্ত্রিতভাবে এদিক-সেদিক বেঁকে যাচ্ছে। ফলে হাঁটুতে অস্বাভাবিক চাপ পড়ছে। ক্ষয়ে যাচ্ছে হাঁটুর মালাইচাকির পেছনের কার্টিলেজ। অস্টিও-আর্থ্রাইটিস দেখা দিচ্ছে।
‘ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া’র অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞদের কথায়, গোড়ালি, হাঁটু ও কোমর ঠিক রাখতে মেয়েদের জন্য পাম্পু শু বা ব্যাকস্ট্র্যাপ দেওয়া কম হিলের জুতা সবচেয়ে ভালো। তারা আরও জানিয়েছেন, হিল পরার ইচ্ছা হতেই পারে, তবে তার জন্য একটু সতর্ক থাকা দরকার। যেখানে অল্প হাঁটতে হবে, সেখানে উঁচু হিল পরা যেতে পারে। কিন্তু প্রতিদিনের জীবনে হাঁটাহাঁটির ক্ষেত্রে সামান্য উঁচু বা ফ্ল্যাট জুতাই থাকুক। কারণ শারীরিক সুস্থতা না থাকলে সৌন্দর্য অধরাই থাকবে। সুতরাং হাই হিল ব্যবহারে সাবধান!
ডায়াবেটিক রোগীদের পায়ের যত্ন নিতে বিশেষজ্ঞগণ দেড় ইঞ্চির বেশি হাই হিল জুতা না পরার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন মহিলাদের।
বর্তমানে বিয়েতে নববধূ রাও হিল জুতা পড়তে দেখা যায় , চলুন তার কয়েকটি সিম্পল ডিজাইন দেখি আমরা (যারা অবিবাহিত তাদের কিছু টা কাজে আসতে পারে ।
এইটা দেখে কি বুঝলেন
আর হ্যাঁ সাধারনত মেয়েরা ফ্ল্যাট জুতা বেশি পড়ে ।ফ্ল্যাট জুতা মেয়েদের পায়ের সৌন্দর্য্য টা ভালো ভাবে ফুটিয়ে তুলে । চলুন দেখি কিছু ফ্ল্যাট জুতার ডিজাইন ।
পোস্ট টি একান্ত নিজের অভিমত থেকে দেয়া । প্রায় সময় দেখি মেয়েরা হিল জুতা পড়ে এবং তাদের প্রতি অন্য রকম একটা অনুভূতিও জাগে । আবার অনেক কে দেখি হিল জুতা পড়ে নিজেকে ঠিক রাখতে পারে না , তাদের জন্য বলবো আগে একটু আকটু বাসায় অভ্যাস গড়ুন তারপর নাহয় বাইরে পড়ে বের হবেন । আবেদনময়ী হিসেবে প্রকাশ করতে গিয়ে নিজেকে ঠিক রাখতে না পেরে অঘটন বাঁধিয়ে আবার নিজের সম্মান হারাতে যাবেন না ।