কয়েকদিন থেকেই শরিরের উপর একটা না একটা সমস্যা লেগেই আছে, বসে বসেই সময় পার করছিলাম।
আজ খুব ইচ্ছে করছিল কারো সাথে একটু আড্ডা দেই। কিন্তু আমার বন্ধুবর্গ ইদানীং অসম্ভব ব্যস্ত থাকেন, তো কি আর করা...
এক ছোট ভাই'কে কল দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম.....
"কি রে কই তুই?"
সে উত্তরে বলল "ভাইয়া আমি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে বইসা আছি। "ক্রিকেট খেলি" বলেই ধুপধাপ লাইন কেটে দিল!
ভাবলাম ব্যাটিং বা বোলিং করতেছে তাই হয়তো লাইন কেটে দিল!
একটু পর নিজেই গেলাম মাঠে। গিয়ে দেখি
উনি সাহেব আসলেই ক্রিকেট খেলছেন! t-20 championship 2013.. এন্ড্রয়েড মোবাইলে গেম খেলতেছে!
তারপরে আর আড্ডা দিতে মন চাইলো না, তার ভালমন্দ খবর নিয়ে পা বাড়ালাম জিন্দাবাজারের দিকে, চৌহাট্রা পয়েন্টে এসে মনে পরলো রুকেয়া খালার কথা। ভাবলাম একটা ফোন দিয়ে দেখি, বহুদিন হলো উনাদের সাথে কথা বা দেখা কোনটাই হয়না।
ক্রিং ক্রিং.....ওপাশ থেকে খালার মেজো মেয়ে আফরোজা ফোন ধরলো, ধরেই তড়িৎ গতিতে বলল ভাইয়া মুরগী গুলিকে খাবার দিচ্ছি......! একটু পরে ফোন দিচ্ছি, বলে গুটাস করে লাইন কেটে দিল।
ভাবলাম ফ্লাট বাসায় সবাই হয় মিনি বাগান করে নয়তো পাখি-খরগোশ এইসব প্রাণী পুষে। কিন্তু কেউ মুরগী পুষে!?!
এইসব চিন্তা করতে করতে পা বাড়ালাম ওদের বাসা অভিমুখে......
ছয়তলা বাসায় ওরা থাকে চারতলায়। গিয়ে কলিংবেল বাজালাম, দরজা খুলে দিল খালার ছোট ছেলে ইশতিয়াক, ভিতরে গিয়ে মুরগী খুঁজায় ব্যস্ত হয়ে পরলাম! কোথাও মুরগির সন্ধান আর পেলাম না।
চলে গেলাম আফরোজা'র রুমের দিকে, গিয়ে দেখি আনমনে বসে কম্পিউটারে ফার্মভেলি গেইম খেলছে!!!
"যা বুঝার বুঝে গেলাম।"
বিঃদ্রঃ এই গল্প এখানেই শেষ।