লঙ্কার প্রায় সব বীর মারা গেছে।রাবনের দিক থেকে দেখলে ক্ষয়-ক্ষতির হিসাব করার সাহসও অবশিষ্ট নেই।একে একে কুৎসিত ষড়যন্ত্রে ছেলেরা মারা গেছে।ইন্দ্রজিতের মৃত্যু তো অসহ।কোনও সভ্য জাতির লোক যে এভাবে চুরি করে মন্দিরের মত পবিত্র জায়গায়,খাস যজ্ঞাগারে কাউকে পিছন থেকে সদলবলে আক্রমন করতে পারে—তা রাবনের এতদিনের জীবনে জানা ছিল না।সবচেয়ে কষ্ট... বাকিটুকু পড়ুন

লঙ্কার প্রায় সব বীর মারা গেছে।রাবনের দিক থেকে দেখলে ক্ষয়-ক্ষতির হিসাব করার সাহসও অবশিষ্ট নেই।একে একে কুৎসিত ষড়যন্ত্রে ছেলেরা মারা গেছে।ইন্দ্রজিতের মৃত্যু তো অসহ।কোনও সভ্য জাতির লোক যে এভাবে চুরি করে মন্দিরের মত পবিত্র জায়গায়,খাস যজ্ঞাগারে কাউকে পিছন থেকে সদলবলে আক্রমন করতে পারে—তা রাবনের এতদিনের জীবনে জানা ছিল না।সবচেয়ে কষ্ট... বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দ্রজিতের কাছে বার বার পরাস্ত হয়ে রাম তখন হতাশ।রাবনের ছেলে বীরবাহু মৃত,মৃত কুম্ভকর্ণ ।কাজেই এবার আর নাগপাশ টাসের ধার দিয়ে যাবে না ইন্দ্রজিৎ,একেবারে মেরে রেখে যাবে।দেবতারাও আসলে রাবনকে ভয় পায় কাজেই প্রত্যক্ষ সাহায্য তাদের পক্ষে করা সম্ভব নয়।শোনা যাচ্ছে,সব খবরই আজকাল চলে আসে রামের শিবিড়ে,ইন্দ্রজিৎ এবার আবারও সেনাপতি হয়ে যুদ্ধে... বাকিটুকু পড়ুন

অপেক্ষাদের ধুসর রঙের সাঁঝে চোখের পাতায় বর্ষা বাদলধারা

কালের কোনও রোজনামচাও নেই একঘেয়ে গান ,একই কথার মালা

তিল থেকে তাল,তিল থেকে তন্ডুলে-তোমার ঠোটে কলঙ্কদাগ ,তিল

গান কবিতায় নৃত্য গীতের দোলে,তোমার সঙ্গে সবার কোথায় মিল



আমার কোনও প্রেমিক নেই শুধু ঝাউএর বনে শিস বাজালো কারা

আমার কোনও বন্ধু নেই জানো,একলা মনে কে যেন দেয় সাড়া ... বাকিটুকু পড়ুন

তখন সন্ধ্যা নামছে,যুদ্ধ বিরতি ঘোষিত হবার সময় হয়ে গেছে—মাঠে পড়ে আছে রাম,লক্ষ্মন সহ সমস্ত সেনারা—একমাত্র বৃদ্ধ জাম্ববাণ,হনুমান ও বিভীষন তখনও বেঁচে!



রাতে জাম্বুবাণ বিভীষণের সঙ্গে আলোচনায় বসে।জাম্বুবান জানায় উপায় আছে ,বানর জাতির বন্য মানুষের জানা আছে সেইসব ওষুধ,গাছ গাছড়ার খবর-কিন্তু সেগুলি পাওয়া যায় ঋষ্যমুক পাহাড়ের উপরে।মোট চার রকমের দুষ্প্রাপ্য গাছের প্রয়োজন।এক... বাকিটুকু পড়ুন

লঙ্কায় মহারণ শুরু হয়েছে—প্রথমদিনেই ইন্দ্রজিতের বাণে রাম ও লক্ষ্মণ প্রায় মৃত হয়ে পড়েছিলেন।দেব জাতির সহায়তায় তাদের বাঁধনমুক্ত করে বাঁচানো হয়েছে।এমনিতেই রাম-লক্ষ্মন যুদ্ধ করছিল না,তাদের কোনও দলের সামনেও রাখা হয়নি,কিন্তু রামের স্ত্রীকে বাঁচানোরই লড়াই কাজেই তারা এ যুদ্ধে অতি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র।

দ্বিতীয়দিনের সকাল থেকে একে একে রাবনের অনেক বীর যোদ্ধা প্রাণ হারালেন,আহত... বাকিটুকু পড়ুন

গভীর নীল সাগর যখন হাসের ডিমের কুসুমের মত সূর্যটাকে নিয়ে সকলের চোখের আড়ালে লোফালুফি খেলছে,—লঙ্কার পথে সদ্য ঊষার আলোক তেরছা হয়ে নেমে আসছ্‌-এমন সময় শান্ত লঙ্কায় ভয়ানক জোরে বেজে উঠল দগড়,কাহাল,ঘন্টা,মৃদঙ্গ,ঝাঁঝরি,কাঁসী,করতাল,দণ্ড,মহরী,ভোরঙ্গ,ডম্ফ,শিঙ্গা –একযোগে।লঙ্কাবাসীর বুক দুরুদুরু করে উঠল।নগরের বাইরে প্রতীক্ষমাণ সেনাদের কয়েকজনের চোখে তখনও তন্দ্রা জড়িয়ে,-তারা এই বাজনা শুনে ধরমর করে... বাকিটুকু পড়ুন

বিচ্ছিন্ন দ্বীপ লঙ্কা চিরকালই সুরক্ষিত ছিল।এভাবে কোনও মানুষ,সৈন্য-সামন্ত নিয়ে যে চলে আসতে পারে তা লঙ্কাবাসী বা তাদের রাজা রাবন কেউই ভাবেনি।রাবন ছিল মস্ত বীর।বড় বড় বীরদের কাছে সে শিক্ষা নিয়েছে সমস্ত রকম যুদ্ধ বিদ্যার।খুব ভক্তি তার ,শিবও খুশি রাবনের উপর।আর বুদ্ধিতে তো রাবনের সমতুল্য কেউই নেই—বেড়ালের যেমন নটি জীবন,রাবনেরও দশটি... বাকিটুকু পড়ুন

রাম- লক্ষ্মণ রাজা সুগ্রীবের বিশাল সেনাদের সঙ্গে নিয়ে অঙ্গদের দেখানো পথে দক্ষিন সাগরতীরে এসে পৌঁছাল।দক্ষিন দেশে থাকার দরুন তবুও সুগ্রীব ও অন্যান্য সেনাদের সাগর সম্পর্কিত ধারণা ছিল কিন্তু রাম-লক্ষ্মণ সাগরের বিশালতা ও ভয়ংকর রূপ দেখে ভয় পেয়ে গেল।বনের এক মুনির কাছে নেওয়া কৌশলে রাম প্রথমে সাগরকে একটু শান্ত করবার... বাকিটুকু পড়ুন

রাত্রিময়ী

যদি সে নশ্বর হত! সর্বব্যাপী বিশ্বচরাচরে!

যদি সে শাশ্বত গুণে চরম প্রশান্ত হত চিরনিদ্রাময়!

এসব বাহুল্য হত কিন্তু তবু নিয়তি নির্দেশে--



আকাঙ্ক্ষা জীবনধর্ম ইচ্ছেশক্তি শুধু উড়ে যায়

ডানাও থাকুক দেহে অগ্রপ্রান্ত ছেঁটে রেখে দেওয়া ... বাকিটুকু পড়ুন

সমস্ত লঙ্কাকে জ্বালিয়ে দিয়ে হনুমান আবারও খুব উঁচু গাছের উপর উঠে দেহকে অনেক বড় করে ,হালকা করে লাফ দিয়ে পার হল সাগর।এপারে সাগরতীরে যুবরাজ অঙ্গদ সহ সব বিশিষ্টজনেরা অপেক্ষা করছিল।হনুমানকে দেখেই তারা সকলে ঘিরে ধরল তাকে।হনুমান ধীরে ধীরে সব বলল তাদের,কিভাবে সোনার লঙ্কার এক কোনায় অশোকবনের মধ্যে একা সীতাকে দেখতে... বাকিটুকু পড়ুন

সুন্দরাকান্ড

সাগরপার হওয়ার আগের রাতে হনুমান ,জাম্বুবান,অঙ্গদ সকলে রাত কাটানোর জন্য একটা অস্থায়ী চালাঘর বানালো।কিন্তু সাগরের তীরে এসে সকলের চক্ষুস্থির—একি ভয়ানক ব্যাপার-যেন ক্রুদ্ধ নাগিনী গর্জন করছে এক নিস্ফল রাগে-এই সাগরের উপর দিয়ে সুপার্শ্বকে ধরে ঝুলে ঝুলে যেতে হবে!সর্বনাশের মাথায় পা! কেউ আর রাজি হয় না ভয়ে—সকলেই নেতা অঙ্গদকে জানায়,একটা উপায় বার... বাকিটুকু পড়ুন

রাম ঋষ্যমুকে চুপচাপ এভাবে বসে থাকতে পারে না, বার বার জানতে চায় সুগ্রীবের কাছে সীতার কথা, খুব কি কান্নাকাটি করছিল? —সুগ্রীব রামকে আশ্বস্ত করে বলে,কোনও চিন্তা নেই আপনার।আমাদের কিষ্কিন্ধ্যার অনেক সেনা,ঠিক আমরা ্সীতাকে

বিকেল হেমন্ত সুর যেন চতুস্পার্শ্বে গেছে শোনা

আসক্তিও লুপ্তপ্রায় তবু কেন যায় না বাসনা



এই মোহ আকর্ষক প্রেম দ্বন্দ্ব পূর্ণতা চেতনা

বাহ্যরূপ? ছেড়ে দিলে নশ্বরের দেহ অন্যমনা!



বাসা না কুলায় ফেরা,আহ্নিকের স্বাভাবিক বেগে ... বাকিটুকু পড়ুন

ঋষ্যমুক পাহাড়ের ওপরে তখন বিশেষ জরুরী আলোচনায় বসেছিল মহাবীর বালিরাজার ভাই সুগ্রীব ও তার অতি ঘনিষ্ঠ সহচর।আসেপাশে পাহারায় ছিল সামান্য কয়েকজন অনুগামী।বিশেষ কারণে বালি এই ঋষ্যমুকে আসতেন না।সেই কারণে খানিকটা নিশ্চিন্তে এই বিক্ষুব্ধ জনেরা।এমন সময় তাপসের মত অতি সাধারণ পোশাকের দুইজন ক্ষত্রিয় পুরুষকে পাহাড়ে উঠে আসতে লক্ষ্য করে সুগ্রীব খুব... বাকিটুকু পড়ুন