আমি একজন ওহবি মতাদশী। আমাদের দেশে সবাই হানাফি মাজহাবী সুন্নী মুসলিম, তার ভিতর অনেক দল উপদল আছে, যেমন ওহাবি, সুন্নী, (বেদাত), কাগতিয়া, ভান্ডারি, মাজারি, মাজার পুজারী আরও অনেক। এসবের মধ্যে ওহাবীরা হচ্ছে প্রকত ইসলাম পালনকারী কারন তারা মাজার, মিলাদ এসব বিদাতের মধ্যে নেই।কিন্তু একটা বিদাত সবার মধ্যে আছে সেটা হচ্ছে শবে বেরাত। যেটা আমি নিজেও পালন করে আসছি এবং ছোট থেকেওঁ দেখে আসতেছি সব দলের মধ্য। ইসলাম নিয়ে দেশে বিদেশে যেভাবে অপপ্রচার, হুজ্রদের মতবাদ থেকে নিজে ইসলাম পড়াশুনা শুরু করেছি এবং নিজে অনেক কিছু জেনেছি এবং জানার মধ্য আছি।আমি জাকির নায়েক কে ইসলামের একজন কান্ডারি মানি এবং ওনাকে অনুসরন করি কারন ওনার মত একজন জ্ঞানবান লোক এই উপমহাদেশ তথা বিশ্ব দিতিয় আর একজন নেই। আমার মতে আলেমদের সব বিশয়ে জ্ঞান থাকতে হবে ইসলাম বানী প্রচার করার জন্য। আমি জানি আলেমরা নামাজ পরানো , সহি ভাবে কেরাত পড়া এগুলো অনেক ভাল জানেন সেটা অনসবীকায কিন্তু জ্ঞান বিজ্ঞানের, সমাজ বিজ্ঞানে ওনারে অনেক পিছয় বা শিখতে চান না। ওহাবির হুজুররা বা ক ও মী মাদ্রাসায় নিজের ভাষা (বাংলা) বা ইংরজী ভাষা, বিজ্ঞানের সাথে পরিচিতি এগুলো শিখানো হয় না, সেক্ষেত্রে সুন্নীরা মান সম্মত সিলেবাস করে ইসলাম তথা দুনিয়াবী অন্যান্য বিশয়ে শিখানো হয় যেকারনে তারা অনেক এগিয়ে। আমি একসময় নাভির নিচে হাত বাধতাম, এখন বুকের উপড় হাত বাধি এবং রাফুল ইয়াদিন করি, কারন আমি জাকির নায়কের ভাশন শুনেছি হাত বাঁধা নিয়ে এবং নিজে বুখারী শরিফ পড়েছি এবং বুকের উ পড় হাত বাধা নিয়ে অনেক হাদিস পাইসি এবং তাঁরপর থেকে নিজ পালন করতেছি। আমি নিজেকে আহলে হাদিস বলিও না বা দাবী করি না কিন্তু ওদের হাত বাধার অংশটুকু আমি সমথন করি। ইসলামে না জেনে অনেক কিছু করলে গুনাহ মাফ কিন্তু যাদের এলম আছে, যারা জানার চেষ্টা করে না, জানার সামথ থাকার পরও অন্ধভাবে হুজুরদের অনুসরন করে তাদের জন্য কি আছে আল্লাহ্ ভাল জানের। প্রত্যেক মুসলমানদের এক একজন ইমাম হওয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে, ইসলামী জ্ঞান থাকতে হবে। সব কিছু হুজুরদের উপড় ছেড়ে দিলে হবে না। হুজুররা যে বেহেশ্তে যাবে সেটার কোন গ্যার্যান্টি নেই। আমি যেখানে বাস করি সেটা হচ্ছে ওয়াবি পারা আর টিক দক্ষিন পাশে সুন্নি পাড়া। শিতের সময় ওয়াজে ওহাবি হুজুররা সুন্নিদের গালমন্দ করে আর ওনারও ঠিক তাই। এই হচ্ছে আমাগো আলেমদের অবস্থা। কেউ কারে সহ্য করতে পারে না। সবাই ওস্তাদ। এখন যেটা নতুন শুরু হয়েছে ওহাবি সুন্নি সবাই মিলে এখন আহলে হাদিসের পিছনে লাগছে। কারন আহলে হাদিস এবং আরও অনেক প্লাটফমে আমাদের নামাজ ব্যবস্থা নিয়ে শিক্ষিত সমাজে ইমাম শাফয়ি (রা) এর নিয়মকে সত্য বলে গ্রহন করাইতে পারছে।আর সে কারনে আহলে হদিস তথা আরো যারা আছে তারা নিজেদের সত্য উদঘাটনের হোতা বলে তপ্তির ঢেকুত তুলে তারাও অন্য হুজুরদের মতে হানাফিদের এক হাত দেখে নিচ্ছে। আর হানাফিরাও এতদিনর প্রচলিত একটি সিস্টেমের উপর এটাকে আঘাত হিসেবে ধরে নিয়ে সত্য বলতে পিছপা হচ্চে। এটা অনেক ক্ষেত্রে বাপ দাদার প্রচলিত সিস্টেম থেকে বেরিয়ে না আসার একটা আহমীকা কাজ করতেছে এই ভেবে যে তাহলে এতদিন মাদ্রাসায় কি পড়ালাম আর মানুশকে কি বুঝাইলাম আর এখন যদি আহলে হাদিস বা জাকির নায়েক যেটা বলছে সেটাকেও সত্যি বলি তাহলে মানুষ কি বলবে এই ভয়ে আর সত্যটাকেও বলা হচ্ছে না। অন্য ধমের লোকদের অনেকে বুঝে যে ওদের ধমটা আসলে সত্যি না, কিন্তু সমাজ, লোক লজ্জার ভয় বা বাপ দাদার ধম থেকে বেরিয় আসা ওদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। একি ভাবে আমাদের নবী (সাঃ) চাচা আবু তালিব যখন মত্যুর সময় নবী (সাঃ০) বলা সত্তেও ইসলাম গ্রহন করে নাই যখন আবু জাহেল এসে বলল তুমি কি বাপ দাদার ধম ছেড়ে আসবে তখন তিনি বলল আমি বাপ দাদার ধমের উপরি আছি। একিভাবে আমাদের হুজুররাও কি সত্যি বলতে ভয় পাচ্চে। কমপক্ষে এটা তো বলা যায় যে এরা নাভির নিছে যেমন হাত বাঁধা যায় তেমনি বুকের উপরেওঁ বাধা যায়। মক্কা মদিনায় ত বিভিন্ন দেশের লোকজন থাকে, এক একজন এক এক ইমামের নিয়ম অনুযায়ী নামাজ পরে তখন ত মত ভেদ হয় না। তাছাড়া আমি মিডল ইস্টে ছিলাম ওখানে কোনদিন শবে বরাত পালন করতে দেখি নাই। ওরা ইসলাম সম্পকে আমাদের থেকে অনেক বেশি জানে। আমাদের হুজুরদের কোন মতভেদ দেখা দিলে আমরা মদিনার স্কলারদের সাহায্য নিতে পারি। কারন ইসলাম ওই পবিত্র ভুমিতেই আসছে এবং কেয়ামতে আগে ইসলাম ওখানেই ধাবিত হবে। অল্প জ্ঞানে যা লিখচি ভুল ভ্রান্তি ক্ষম্যা সুন্দর চোখে দেখবেন। মোট কথা নিজেদের জ্ঞান অজন করতে হবে। মক্তবে যে ছোট থাকতে পড়ছি, সেই পড়া দিয়ে প্রকত ইসলাম চরচা হবে না।ইসলামি জ্ঞান কে শানিত করতে হলে বিভিন্ন ধরনের বই, উপন্যাস, কাব্য , মহ্যাঁকাব্য না পড়ে ইসলামিক মহাকাব্য পবিত্র ধমগ্রন্থ কোরান থেকে শুরু করে হাদিসের বই পড়তে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০১৬ ভোর ৬:১৩