এক্টু আগে ব্লগার ইয়েন'র "কান্না পাইতাসে :-( (" পড়ার পর মনে হল এ বিষয়ে আসলেই আমাদের কিছু করা উচিত।
৪ বছরে ২-২.৫ লাখ টাকা বিনিয়োগে এসিসিএ ডিগ্রী পাইয়ে দেবার নাম করে সমানে ব্যবসা করে যাচ্ছে দেশের সকল টিউশন প্রোভাইডারগন। এইচ,এস,সি / এ লেভেল করা থাকলেই রেজিষ্ট্রেশন করে শুরু করা যায় বিশ্বখ্যাত এই প্রফেশনাল ডিগ্রীর পড়াশোনা। তাই প্রাইভেট ভার্সিটির নতুন সংস্করন এই টিউশন প্রোভাইডারগুলো ছেলেমেয়েদের সিএ বানানোর স্বপ্ন দেখিয়ে আদতে ছেলেমেয়েগুলোর জীবনটাই ধংস করে দিচ্ছে। বাবা-মার স্বপ্ন, ছেলে একদিন সিএ হবে, কিন্তু ২/৩ বছর পর যখন দেখে লাখখানেক টাকা, সময় আর কষ্ট সবই সার, তখন তাদের আর কিছুই করার থাকে না। না্ পারে প্রাইভেট থেকে একটা বিবিএ ডিগ্রী কিনতে, আর না পারে ১২ ক্লাসের গন্ডি পার হতে।
সিএ। অনেক বড় একটা ব্যাপার। বিবিএ কিংবা এমবিএ তুলনামূলক ভাবে অনেক সহজ। আর সবচেয়ে বড় কথা, এইটা প্রফেশনাল ডিগ্রী, একাডেমিক না। জবের অভিজ্ঞতা না থাকলে পার্ট-টু থেকে পাশ করাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। রিয়েল লাইফ এক্সপেরিয়েন্স না থাকলে শুধু বই পড়ে সিএ হওয়ার আশা করাটা বোকামী।
আমি জাবি'তে বিবিএ ফাইনাল সেমিষ্টারে পড়ার সময় সাড়ে তিন মাসে পার্ট-ওয়ান শেষ করেছি, আর আমার এক পরিচিত ছেলে ১ বছরে সি,এ,টি, (পার্ট-ওয়ান ইকুইভ্যালেন্ট) এর মাত্র ২ টা পেপার (৯টার মধ্যে) শেষ করেছে। কেন? কারন, আমার বিবিএ পড়াটা আমাকে যেরকম সাপোর্ট ও ম্যাচিউরিটি দিয়েছে, ও সেটা পায়নি। আমি পার্ট-টু পড়া শুরু করতে গিয়ে দেখলাম, জবের অভিজ্ঞতা না থাকলে, এই বিশাল বইগুলো শেষ করা অসম্ভব। তাই ইন্টার্ণশীপের এই সিমেষ্টারটায় কোনো পরীক্ষার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করিনি।
যারা এসিসিএ পড়তে চান, একটা অনুরোধ, আগে ব্যাচেলরটা শেষ করে আসুন, অনেক সহজ হবে, সম্ভবত (গ্যারান্টী দেয়া সম্ভব না) কষ্ট করলে পাশ করতে পারবেন। কিন্তু যদি ১২ ক্লাস করেই চলে আসেন, তাহলে ইন্টার্নাল এর নামে একজেম্পশন নিয়ে কিছুদুর এগুতে পারবেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১/২ পার্ট করেই বসে থাকতে হবে। আর জব মার্কেট যেই কঠিন হয়ে যাচ্ছে, তাতে লোকাল সিএ ছাড়া এসিসিএ দের পার্ট-টু এর কোন ভ্যালু নেই বাজারে।
তাই সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে একটু ভেবে দেখুন। টিউশন প্রোভাইডারদের কথা না শুনে, কর্পোরেট এ পরিচিত কারো সাথে আলোচনা করে নিন, অনেক স্বচ্ছ ধারনা পাবেন।
ধন্যবাদ।