আমি মনে করি , আর্মি কিংবা বিডিআর কেউই ধোয়া তুলসি পাতা না। যখন কেউ আরেকজনকে খুন করে, তার পিছনে কারন থাকে। আর এই গনহত্যা'র পিছনে দুর্নীতি কিংবা প্রবঞ্চনা নয়, বরং আরো বড় কোন কারন থাকাই স্বাভাবিক। ভেতরের আর্মি অফিসাররা নিশ্চই এমন কিছু করেছে, যা ঐ বিডিআর দের বাধ্য করেছে গনহত্যা চালাতে, যদিও কোনভাবেই তা সমর্থনযোগ্য নয়।
যদি তাদের পিছে কিছু মাষ্টারমাইন্ড ও থাকে, তাহলে তারা দুর্নীতি কিংবা প্রবঞ্চনা'র মতো কারন দেখিয়ে নিশ্চই বাকী বিডিআর দের বাধ্য করেনি। তারা অবশ্যই এমন কোন কারন দেখাতে পেরেছে, যাতে সবাই না হোক, অন্তত অর্ধেক (আমার ধারনা আরো বেশি) বিডিআর তা জেনে গনহত্যা চালাতে এগিয়ে গিয়েছে। আর যদি এটা স্বতস্ফুর্ত হয় তাহলে তো কিছু বলার নেই।
গনক্ষমা কে আমি সাপোর্ট করি, যদি এটা স্বতস্ফুর্ত হয়, কিংবা সেইসব মাষ্টারমাইন্ড দের বাদ দিয়ে হয়। নইলে এমন বিদ্রোহ করার জন্য শাস্তি হওয়া উচিত; যাদের হাতে বন্দুক থাকে, তারা যদি অবাধ্য হয়, সেটা কখনই সুখকর নয়। কিন্তু এর আগে, এই গনহত্যার পিছে কি কারন আছে তা বের করে, যারা দায়ী তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, সে আর্মি'ই হোক আর বিডিআরই হোক। এম্নিতেই আর্মিরা কখনো নিজেদের দোষ জনতার সামনে প্রকাশ করে না, দরকার হলে নিজেরা কোর্ট মার্শাল করে, কিন্তু এই পরিস্থিতিতে আমার মনে হয়, সিভিল আদালতেই এই বিচার হওয়া উচিত, যাতে সকল বাহিনী তাদের লিমিট বুঝতে পারে।
পরিশেষে বলতে হয়, বিডিআর কর্তৃক প্রচারিত অভিযোগগুলোকে সহ, বিগত ২ বছরে সেনাবাহিনী'র দুর্নীতি তদন্ত করা উচিত।