সবুজ খুব আত্নবিশ্বাসের সাথে গাড়ি চালাচ্ছে। এই রাস্তার প্রতিটা বাক যেন তার চেনা। কোথায় গিয়ে কিভাবে টার্ন নিতে হবে সবই যেন তার মুখস্ত। তার দিকে তাকিয়ে দেখলাম সে একদম শান্ত। আমরা উল্লাস করে গেলেও তার কোন বিকার নেই। মাঝে মাঝে তার ঠোটের কোনে হালকা হাসির রেখা দেখা যায়। আবার সাথে সাথেই তা যেন মিলিয়ে যায়। মনে হচ্ছে তার মনের মধ্যে কোথায় যেন একটা কষ্ট আছে। আমি তাকে বললাম, সবুজ আমার ভয় করছিলো ঠিকই। কিন্তু তোমার গাড়ি চালানো দেখে আমার ভয় সত্যি কেটে গেছে। এই কথা শুনে সে বড় করে হাসি দেয়। কোন শব্দ নেই সেই হাসির। সে আমার সাথে তার মনের কথা বলে যায়। তার মনের জমানো সুখ-দুখের কথা। তার পরিবারের কথা। তার ভাই-বোনদের লেখাপড়া করানোর কথা। তার স্বপ্নের কথা। সে এমনভাবে কথা বলছে যেন আমি তার অনেক দিনের পরিচিত। আমি নিরবে তার কথা শুনে যাচ্ছি আর ক্লিক করে যাচ্চি। সেও বুঝে যাচ্ছে আমি কিসের কিসের ছবি নিচ্ছি। তখন সে গাড়ির গতি কমিয়ে দিচ্ছে যাতে করে আমি ছবি নিতে পারি। খুব ভালো লাগলো তার এই সহযোগিতা দেখা। আমরা দার্জিলিং পাড়া পেরিয়ে কেওক্রাডং এর উপর চলে এসেছি। সবুজকে সাড়ে ছয় হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে তার ফোন নাম্বার নিলাম। সে বলল, ভাইয়া আবার যদি আসেন তাহলে ফোন দিলে আমি গাড়ি নিয়ে হাজির হয়ে যাবো। আমরা সবাই হইহোল্লোড় করে গাড়ি থেকে নেমেই কেওক্রাডং এর সিড়ি বেয়ে পিক এ উঠলাম। যদিও গাড়িতে করে উঠেছি তবু ভালো লাগছে কেওক্রাডং এর উপর উঠতে পেরে।
সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ুন নিচের লিংকে:
http://sonalisokal.com/2016/03/26/à¦à§à¦à¦à§à¦°à¦¾à¦¡à¦/
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৩৩