কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও নদী থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ভাসমান এক অজ্ঞাত নামা ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া লাশের আনুমানিক বয়স ২৮/২৯ বছর হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২৬ ডিসেম্বর সকালে উপজেলার ঈদগাহ ইউনিয়নের বাস ষ্টেশনস্থ নদীর লাল ব্রীজের পশ্চিম পাশ থেকে ভাসমান অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়। সরেজমিনে জানা যায়, সোমবার ভোরে স্থানীয় কতিপয় লোক নদীতে গোসল করতে গেলে পানিতে লাশটি ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায়। এ সংবাদ তারা এলাকার লোকজনকে জানালে লাশটি দেখতে শত শত নারী পুরুষ নদী পাড়ে ভীড় করতে শুরু করে। সংবাদ পেয়ে সকাল ৮ টার দিকে কক্সবাজার মডেল থানার ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই কবির হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় পানি থেকে লাশটি স্থলে উঠালে দূর্গন্ধ বের হতে শুরু করে। এ সময় লাশটির হাত-পা বাঁধা এবং শরীরের অধিকাংশ স্থানে আঘাতের চিহ্ন ও মুখ কান দিয়ে রক্ত বেরুতে দেখা যায়। লাশটির পরনে ছিল প্যান্ট ও গেঞ্জি । প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণা, যেভাবে লাশটির পচন ধরেছে তাতে কমপক্ষে ৫/৬ দিন পূর্বে সংঘবদ্ধ কিলার চক্র পৈশাচিক কায়দায় নির্যাতন পূর্বক হত্যা করে লাশ গুম ও নিজেদের অপরাধ আড়াল করতে রাতের আঁধারে গাড়ি যোগে এনে লাশটি মহাসড়কের নিচ দিয়ে বয়ে যাওয়া ঈদগাঁও নদীতে ফেলে চলে যায়। নিহতের পরিচয় সনাক্ত কিংবা হত্যার ক্লু উদঘাটন করা যাইনি। এ ব্যাপারে এস আই কবির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কে বা কারা অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিকে হত্যা করে লাশটি নদীতে ফেলে চলে গেছে। রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত (বেলা ১২ টা) লাশের সুরতহাল তৈরী পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে এবং নিহত ব্যক্তির পরিচয় ও ঘটনার ক্লু উদঘাটনে সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে প্রশাসন। এদিকে উক্ত ঘটনায় ঈদগাঁও ও আশপাশের এলাকার লোকজনদের মাঝে এক ধরনের অজানা আতংক বিরাজ করছে। উল্লেখ্য বিগত সপ্তাহ দুয়েক পুর্বেও পার্শ্ববর্তী ভারুয়াখালী ইউনিয়ন থেকে গলাকাটা অবস্থায় অজ্ঞাত নামা এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। পরে পরিচয় সনাক্ত করতে না পারায় পৌরকর্তৃপক্ষ বেওয়ারিশ হিসাবে লাশটির দাফন কাজ সম্পন্ন করে।