পৃথিবীর ইতিহাসে সম্ভবতঃ এই প্রথমবারের মত সুন্দরীদের জীবনকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও সহানুভূতির দৃষ্টিতে বিশ্লেষণ করার একটা প্রচেষ্টা চালাতে চালাতে যাচ্ছি, আশাকরি সংগে থাকবেন। ...............সুন্দরীদের জয় হোক।
সুন্দরীদের শৈশব- সচেতনতা
সুন্দরীদের শৈশব কাটে মিশ্র এক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যার মধ্যে ভাল-খারাপ দুইই আছে। ভাল হচ্ছে তারা সবার কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে মনোযোগ, আদর, আহ্লাদ, গিফট ইত্যাদি পেতে শুরু করে। খারাপ দিক হচ্ছে এই সময় তারা খুব কাছের কিছু আত্নীয় স্বজন বা পাড়া প্রতিবেশীদের কাছ থেকে অপ্রত্যাশিত আচরণের সম্মুখিন হয়। এই আচরণগুলোর মধ্যে রয়েছে মন্দ আদর, হালকা চুমুর পরিবর্তে গভীর চুমু, শরীরের সংবেদনশীল জায়গা গুলোতে হাত দেয়া ইত্যাদি। গার্ডিয়ানদের পক্ষ থেকে সচেতনতার অভাব থাকলে এই সমস্ত অনাকাংখিত ঘটনা অনেক বেশী করে ঘটতে পারে এবং এতে করে সুন্দরীদের মনোজগতে এক ধরণের পরিবর্তণ আসতে থাকে। মানুষের প্রতি বিশ্বাস তাদের কমে যায় এবং তারা অনেক বেশী প্রোটেকটিভ হয়ে পড়ে। আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি সুন্দর একটা বাচ্চা মেয়েকে কোলে নিলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অত্যন্ত হিংস্র ভাবে আঁচড়ে বা চিমটি দিয়ে নিজেকে ছুটিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে। তবে সবমিলিয়ে সুন্দরীদের মনে এখন থেকেই তারা যে সুন্দরী এই ব্যাপরটা গেঁথে যেতে থাকে এবং তারাও তৈরী হতে থাকে বাকী দুনিয়ার মুখোমুখি হওয়ার জন্য।
সুন্দরীদের কৈশোর- বাস্তবতার মুখোমুখি
এই সময় সৌন্দর্য্যের ফুলগুলো পাঁপড়ি মেলে আস্তে আস্তে গ্রাস করতে থাকে সুন্দরীদের। স্বাভাবিক ভাবেই দেখা দেয় নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যার মধ্যে রয়েছে স্কুলে যাওয়ার পথে বখাটেদের অত্যাচার, চলার পথে সম বা অসম নির্বিশেষে সকলের লোলুপ দৃষ্টি, পাশের বাড়ির খালাম্মাদের অগ্রিম বুকিং (নিজের ছেলে বা বিবাহযোগ্য আত্নীয়ের জন্য) ইত্যাদি। অনেক সময় স্কুল ছাড়া বাইরে বেরুনোই দায় হয়ে যায়। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা ডাক পিয়ন সেজে হাতে গুঁজে দিয়ে যায় অচেনা কারো চিঠি। বিকেলে একটু ছাদে গিয়ে দাড়ালে আশেপাশে অগণিত ভক্তের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। আমার নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি এই সময় অনেক সুন্দরীকে পড়ালেখা বন্ধ করে দিতে হয়, অনেকের বাবা বা অন্য কোন গার্ডয়ান পার্টটাইম দেহরক্ষী হয়ে স্কুলে দিয়ে যান বা নিয়ে যান, একদম চরম কিছু ক্ষেত্রে পুরো পরিবারকে এলাকা ছাড়তে হয়। অনেকের বিয়েও হয়ে যায় অকালে। তবে সবার ভাগ্য এত খারাপ হয়না। কিছু কিছু সুন্দরী এই সময় ভাল খেলোযাড় হয়ে ওঠে। নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাতে থাকে অনেক ভক্তকুলকে। ফ্রি ফাস্টফুড আর আইসক্রিম খাওয়ার সু অভ্যাস গুলো গড়ে উঠতে থাকে। বার্থডে, নববর্ষ, ভ্যালেন্টাইন ইত্যাদি দিবসে উপহারের পাহাড় জমতে থাকে।
চলবে..........
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ৯:২৭