আমি আর আমার গার্ল ফ্রেন্ড তিশমা (সে ও গায়ীকা, তবে ঐ তিশমার মত পুরুষ কন্ঠে গান গায় না) একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। তার রুপ দেখেই প্রথম তার প্রেমে পরেছিলাম। তার মেঘ কালো চুল আর তার কাজল কালো চোখ দেখে আমার যুবক মন প্রেমে পরতে বেশি টাইম নেয় নি। সে যখন কট কটে গোলাপী রংয়ের শাড়ী পরে তখন তার সৌন্দর্যে সকল পুরুষের চক্ষু কপাল বেয়ে মাথার তালু তে উঠে। আর আমি মনে মনে ভাবি আমি কতই না ভাগ্যবান।
তার রুপের বর্ননা দিতে থাকলে একটা উপন্যাস হয়ে যাবে, তাই সেই কথা বাদ দিয়ে আসল গল্পে যাই।
গত টিউটোরিয়াল পরীক্ষাটা সে খুব খারাপ দিয়েছিলো। আসলে দোষ আমারই, সারা রাত ফোনে কথা বলে তাকে ব্যাস্ত রেখেছিলাম তাই সে পড়তে পারেনি। আমি হাত সাফাইয়ে ভালো হওয়ায় ঐ পরীক্ষায় পাঢ় পেয়ে যাই।
যাইহোক, পরীক্ষায় ফেল করার কথা সে ভাবতেও পারেনা। তাই পরীক্ষা দেওয়ার পরের দিন রাতে সে আমাকে ফোন করে তার সাথে দেখা করতে বলে। বুঝতেই পারছেন তার আকুতিকে অসন্মান জানানোর রিস্ক নেওয়ার সাহস আমার ছিলো না। তাই মধ্যরাতেই তার বাসার নিচে গিয়ে "ঘেউ ঘেউ" করে কয়েকটা ডাক দেওয়ার পর সে নিচে নেমে এল। বলল তার প্ল্যানের কথা। প্ল্যান শুনে তো আমি কতক্ষন শুটকি মাছের মত শক্ত হয়ে রইলাম। মনে মনে বল্লাম..."ছি ছি...এই অপকর্ম আমি করব?" কিন্তু তার আকুতি দেখে না করতে পারছিলাম না। তাকে সেই আধার রাতে এত সুন্দর লাগছিলো...কি আর বলব। আমি আবার বরাবরই সৌন্দর্যের সামনে নতশির।
অবশেষে আমি সেই পাপ কর্ম টি করেই ফেল্লাম!!!
স্যারের বাসায় ঢুকে আমি আর আমার গার্লফ্রেন্ড মিলে তার খাতা চুরি করে তাতে প্রশ্নের সঠিক উত্তর লিখে যথাস্থানে রেখে আসলাম।
ইসসস...সেই পাপের কথা চিন্তা করলে আজও অপরাধবোধ আমাকে ঘিরে ধরে। সেই ভয়াল রাতের কথা চিন্তা করলেই গায়ে কাটা দেয়।
নারী জাতির দ্বারা প্রলুব্ধ হয়ে কি চুরির মত এত বড় পাপ আমাকে করতে হল