মিশরের নীল নদ থেকে হাজার বছর আগে ধবংস হয়ে যাওয়া দুটি শহরের নিদর্শন পেয়েছেন। সেখানে হারিয়ে যাওয়া শহর হেরাক্লেইন এবং ক্যানোপাসের বেশ কিছু ভাস্কর্য রয়েছে। উদ্ধারকৃত ভাস্কর্যগুলো ব্রিটিশ মিউজিয়ামে প্রদর্শন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। ভাস্কর্যগুলো ১০ ফুট পলির নিচে ছিল।নীল নদ থেকে অনেকগুলো ভাস্কর্য, স্বর্ণালংকার, হায়ারোগ্লোফিক লিপি উদ্ধার করা হয়েছে। ছয় ফুট লম্বা একটি হায়ারোগ্লোফিক লিপি পাওয়া গেছে। লিপিটিতে ফারাও নেকটানেবুর রাজকীয় ঘোষণা খোদাই করা রয়েছে। মিশরের বন্যার দেবতা হাপির ৫.৪ মিটার একটি মূর্তি পাওয়া গেছে।
হাজার বছর আগের নদীর গর্ভে হারিয়ে যাওয়া সেই সম্পদ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল খুবই কম। ইতিহাস থেকে জানা গেছে আলেকজান্দ্রিয়ার আগে হেরাক্লেইন এবং ক্যানোপাস শহর ছিল মিশরের প্রবেশ দ্বার। দুটি বাণিজ্যিক নগরই হারিয়ে গিয়েছিল। ১৯৯৬ সালে প্রথম পানির নিচে এই শহরের সন্ধান মেলে। ডুবুরিরা দুই দশক ধরে নীল নদের তলদেশ থেকে সম্পদগুলো উদ্ধার করার চেষ্টা করেছেন। উদ্ধার হওয়া নিদর্শনগুলো ১৯শে মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ব্রিটিশ মিউজিয়ামে প্রদর্শন করা হবে। প্রদর্শনীটির নাম দেওয়া হয়েছে সানকেন সিটিস: মিশর লস্ট ওয়ার্ল্ড।
ইংল্যান্ড উদ্ধার হওয়া সেই নিদর্শনগুলো মিশরের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ধার করে নিচ্ছে। ৩০০টি নিদর্শন প্রদর্শণীতে স্থান পাবে যার বেশির ভাগই মিশরের হারিয়ে যাওয়া শহরের। প্রদর্শনীতে মিশর ও প্রাচীন গ্রিসের সংস্কৃতির মধ্যে যে মিল রয়েছে তা তুলে ধরা হবে।
ডুবুরি ফ্রাঙ্ক গোড্ডিও বলেন আমি এবং আমার দল খুশি যে পানির নিচ থেকে আমাদের তুলে আনা ভাস্কর্যগুলো ব্রিটিশ মিউজিয়ামে প্রদর্শন করা হবে।তিনি আরো বলেন ‘আমাদের কাজটি করতে দীর্ঘ দিন লেগেছে। অবশেষে আমরা মানুষের সামনে প্রাচীন পৃথিবী এবং সভ্যতার প্রতি আমাদের মুগ্ধতাকে তুলে ধরতে পারছি।
তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট ।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭