মস্তিষ্ক সম্পর্কে এই কথাগুলো হয়ত শুনতে গাঁজাখুরি বলে মনে হবে! কিন্তু কথাগুলো সত্য। এবং তা আমি নিখুঁত ভাবে প্রমানও করতে পারি, যদি কেউ কথাগুলোর পক্ষে প্রমান চায়! যদিও মস্তিষ্কের এনাটমি ও ফিজিওলজি সম্পর্কে আমার ধারনা খুবই কম। এমনকি আমি মস্তিষ্ককের অনেক অংশের নামও ঠিকমত জানিনা। তবুও আমি অত্যন্ত নিখুঁতভাবে মস্তিষ্কের কাজের কৌশল ব্যাখ্যা করতে পারি। বর্তমান বিজ্ঞান মস্তিষ্ককে যেভাবে জানে, আসলে মস্তিষ্ক সেভাবে কাজ করেনা। মস্তিষ্কের কাজের কৌশল অত্যন্ত স্বাভাবিক। আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক মস্তিষ্ক সম্পর্কে গাঁজাখুরি কথাগুলো যেগুলো আমি খুব নিখুঁতভাবে প্রমান করতে পারি।
১। আমাদের মস্তিষ্কের ওজনঃ আমাদের মস্তিষ্কের ওজন আসলে অনেক বেশি। আমরা যেটা জানি, সেটা নয়। আপনার শরীরের ওজন যদি ৬০ কেজি হয়, তবে আপনার মস্তিষ্কের ওজনও হবে ৬০ কেজি। অর্থাৎ, মস্তিষ্ক আর শরীরের ওজন পরস্পর সমান। এটাই হল। একটা বড় গাঁজাখুরি কথা, কিন্তু শতভাগ সত্য। আমি তা প্রমান করতে পারি।
২। মস্তিষ্কের গঠনের একক নিউরন হলেও, নিউরন মস্তিষ্কের কাজের একক কখনই নয়। এবং মস্তিস্কের কাজের কৌশল জানার জন্য নিউরনের গঠনগুলো সম্পর্কে সুক্ষভাবে জানার প্রয়োজন নেই। আমি এটাও প্রমান করতে পারি।
৩। মস্তিষ্কের স্মৃতিঃ মস্তিষ্ক এর স্মৃতি ধারন ক্ষমতা অসীম নয় আবার সসীমও নয়। মস্তিষ্ক এক বিশেষ কৌশলে স্মৃতি ধারন করে এবং সেই স্মৃতি ধারন ক্রিয়া ততক্ষন চলতে থাকে যতক্ষন মস্তিষ্ক জীবিত থাকে। মস্তিষ্ক মারা যাওয়ার সাথে সাথে স্মৃতিও মুছতে থাকে। আর মুছে যাওয়া স্মৃতি ফিরে পেতে হলে মস্তিষ্ককে ঠিক জীবিত অবস্থার মতই কার্যকর হতে হবে, যেটা অসম্ভব!
এসব গাঁজাখুরি কথাবার্তার স্পষ্ট ও নিখুত প্রমান আমার কাছে আছে, কিন্তু বিশ্বাস করুন, আমি এই পোষ্টটি গাঁজা খেয়ে রচনা করিনি!