বিজ্ঞানীরা যুগে যুগে আমাদের অনেক কিছু দিয়ে গেছেন, আজকের মানুষের এই আধুনিক সভ্যতা তাদেরই পরিশ্রমের ফসল। তারা যে পরিশ্রম করে গেছেন বিজ্ঞানের জন্য, সে তুলনায় আধুনিক বিজ্ঞানীরা হল চরম ফাঁকিবাজ। তাদের অলস মস্তিষ্ক দিয়ে নতুন কিছু আবিস্কার করা সম্ভব হচ্ছেনা, তবে ভবিষ্যতে হলেও হতে পারে। আগের বিজ্ঞানীরা যদি আবিষ্কার করত আমি ভাত খাই , তাহলে আধুনিক বিজ্ঞানীরা সেটাকে ঘুরিয়ে বলবে ভাত আমি খাই। আর অমনি পৃথিবী জুড়ে বিজ্ঞানে ঝর উঠে যাবে অমুক বিজ্ঞানী তমুক আবিস্কার করেছে। সবাই জানবে আবিস্কার করেছে, কিন্তু কোন ঘোড়ার ডিম আবিস্কার করেছে তা কে বুঝবে।
আমাদের দেশেও সেরকম আবিস্কারের কথা শোনা যায় মাঝে মাঝে। এক বিজ্ঞানীতো শক্তি ছাড়া চির ঘূর্ণায়মান পানি আবিস্কার করে ফেলেছিলেন, যার সাহায্যে শক্তি উৎপন্ন করা যাবে। পেপার পত্রিকায় কত হই চই, কোথায় গেল সেসব। এরকম ভূয়া আবিস্কার যে কত হল, আর কত ডাকঢোল পেটালো আমাদের মিডিয়া!
পৃথিবীতে প্রতিদিন অসংখ্য ঘোড়ার ডিম আবিস্কার করে চলছেন বিজ্ঞানীরা। আর সেই সব ডিম চিনিনা জানিনা ভেজে ভেজে খাই আমরা। কি আর খাব, খাওয়ারতো কিছু নেই।
শোনা যায় বিজ্ঞানীরা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা আবিস্কার করে ফেলেছে। আরে ঘোড়ার ডিম, এখন পর্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সঠিক সংজ্ঞাই আবিস্কার করতে পারলি না, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা কিভাবে আবিস্কার করলি।
এত সামান্য সমালোচনা, আধুনিক ভন্ড বিজ্ঞানীদের সমালোচনা শুরু করলে ল্যাবরেটরি রেখে পালাতে হবে। তবে যারা সততা দিয়ে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, তাদের প্রতি অনেক অনেক সম্মান।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৪৪