মৃত্যু মৃত্যু আর মৃত্যু। একের পর এক ঘটেই চলেছে আমাদের দেশে। একটাও স্বাভাবিক মৃত্যু নয়. সব অস্বাভাবিক মৃত্যু। কেউ মরছে সন্ত্রাসীর হাতে, কেউ মরছে মৌলবাদীর হাতে, কেউ মরছে বিরোধিলের হাতে, কেউ মরছে সরকারি দলের হাতে, কেউ মরছে ধর্ষিত হয়ে।বিরতিহিন ভাবে চলছে এসব মৃত্যু।একের পর এক, একের পর এক। মৃত্যুগুলো এত দ্রুত ঘটছে যে এক মৃত্যুর চাদরে চাপা পড়ে যাচ্ছে আর এক মৃত্যুর গল্প।এক স্বজনের আর্তনাদের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে আর এক স্বজনের আর্তনাদ। প্রশাসনও সেই সুযোগে এক মৃত্যুর ফাইলের নিচে চাপা দিচ্ছে আর এক মৃত্যুর ফাইল।এভাবেই চলছে গাড়ি সিসিমপুর।কোনো মৃত্যুরই বিচার হচ্ছেনা।বিচারতো দূরের কথা, অপরাধীই ধরা পড়ছেনা।
নারায়নগন্জের সমাজতান্ত্রিক দলের নেতার চেলে মেধাবি ছাত্র ত্বকীকে কে বা কারা খুন করলো কয়েক বছর হয়ে গেলো। আজ পর্যন্ত অপরাধীর হদিস পাওয়া গেলো না। বিচারতো দুরের কথা।
সাংবাদিক সাগর রুনি হত্যাকান্ডেরও কয়েক বছর পেরিয়ে গেলো। ততকালিন সরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বললেন ২৪ ঘন্টার মধ্যে খুনি বের করা হবে। তার পর কতোগুলো বছর চলে গেলো কিন্তু সাহারা খাতুনের ২৪ ঘন্টা আর হলোনা।
একের পর এক ব্লগার (তথাকথিত মুক্তমনা) খুন হলো এবং এখনো হচ্ছে কই একটারও কোনো সুরাহা হয়েছে?হয় নি। তাদের পরিবারও বিচার পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছে। কারণ তারা জানে এদেশে বিচার হয়না।
রাজশাহি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক খুন হলো এইতো সেদিন। তার খুনিদের দরা বাদ দিয়ে উল্টো তাকে কারা খুন করেছে এই নিয়ে জোতিষবিদ্যার চর্চা করা হচ্ছে। একবার বলা হচ্ছে তাকে মৌলবাদীরা মেরেছে, আবার বলা হচ্ছে তাকে তার আত্বিয় স্বজনদের কেউ মেরেছে।
ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করার দায়ে কারাবাস করে আসা টাংগাইলের এক হিন্দু দর্জিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে কে বা কারা। আবার দায় স্বিকার করেছে আই এস। ওদিকে মন্ত্রী মহোদয় বলছে আরে বাবা এদেশে আইএস আছেটা কোথায়। ব্যাস তার দায়িত্ব শেষ।
এবার আসি তনুর কথায় । তনুকে নিয়ে জানি কিছু বলতে হবেনা। কারন তনুকে নিয়ে কি হয়েছে তা এ দেশের সবাই জানে।
কয়েকদিন আগেই মার্কিন দুতাবাসে খুন হলো এক লোক। সেটা নিয়ে কয়েকদিন হাও কাও হলো, এখহোন সেটাও ঝিমুচ্ছে।
একানেতো কয়েকটা উদাহরন টানলাম এছারাও রয়েছে কত খুনের ঘটনা।
তারপরও বলা হচ্ছে এদেশের বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন, এদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর চেয়ে হাস্যকর আর কি হতে পারে?
এগুলো দেখতে দেখতে আমাদেরও সয়ে গিয়েছে।এখন আর কিছু মনে হয় না। কারন আমরা জানি এসব এখানে সম্ভব। তবে মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে-
এই মৃত্যুর মহা উতসব আর কত কাল????
এই লাশের মিছিল আর কতকাল???