তর্জনী উঁচিয়ে মুখের যেখানটা'য় ঠেসে ধরলে চুপ হয়ে যাওয়া বোঝায়-
ঠিক সেখানটায়; উপরের ওষ্ঠে তোমার প্রথম খাঁজ।
কিছুটা বাঁকা- কিছুটা রুক্ষ;
শীতে ফেটে যাওয়া ক্ষত যেন উপশম নেই - যত্ন আত্তি নেই অনেকদিন।
নিজ ওষ্ঠাধর কখনো ছুঁয়ে দিয়েছ আঙ্গুলের ডগায়?
ওটা যেন বর্ষার জল গড়িয়ে চলার অগভীর স্রোতস্বিনী।
যেমনটা তুমি চাইতে কামিজের দর্জির কাছে-
পিঠের দিকে কিছুটা উঠতি - পেটে ঘাটতি - কোমরে ঈষৎ বাড়তি
ঠিক সেরকম মানিয়ে যাওয়া আঁটসাঁট মাংসল অধর-ওষ্ঠ;
খুঁজে পাবে কেবল আমার ঠোঁটেই।
এসো প্রিয়া দমবন্ধ চুমু খাও-
আমাকে বশ করো -
তুমি জানো, আমার আচ্ছন্নতা কেবলই তোমার ঠোঁট।
এসো পুষ্পপত্র, টুপটাপ চুপ করিয়ে দাও আমাকে;
পোড়া অধরে ঠেসে ধরো তর্জনী।
এসো হংস-চঞ্চু, আমাকে খুঁড়ে খাও-
এসো অরণ্য, নিজেকে নিরাভরণ করো আমার অভ্যন্তরে,
তোমার গহীনে টেনে নাও আমাকে-
এসো সীমান্তিনী, অতটা দূরে নয় -
অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ নয়;
স্ব-স্ব অস্তিত্বে বাঁচি মিথুন মিথোজীবিতায়।
@জাহিদ অনিক
১৭/১০/২০১৮
রাজশাহী
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৬:২৪