সিনেমা নিয়ে স্বজন প্রীতি দেখানো, বাজার দখল করা করে দেয়া । ইতিহাস বিকৃত করে দেয়া মুষ্টিমেয় কয়েকজনের হাতে থাকতে পারে না । বলতে পারেন কালচারাল এডাপ্টেশন, সেটা অনেক আগেই হয়েছে, হচ্ছে । যেটা একটা নির্দিষ্ট মাধ্যম দিয়ে রোধ করা বা বলার কোন ভিত্তি নেই ।
বিষয়টা মার্কেট দখল,টাকা তৈরি । ইতিহাস বা ঐতিহ্যের কথা আসলে এসে পরে ছিনিমিনি খেলা । মৃত্যুঞ্জয় দেবব্রত এমন কোন ইতিহাস বেক্তা বা ইতিহাস বিদ হয়ে যায়নি যাকে দিয়ে ইতিহাস বলে নেয়া বা ইতিহাস বিনির্মাণ করার কাজটি করে নিতে হবে । যুদ্ধ শিশু এক কথায় বলতে গেলে টাকা মেকিং করার যন্ত্র হিশেবে সামনে আনা, ইতিহাসকে ঢাল হিশেবে ব্যবহার করা ।
দেশীয় সিনেমার বাজার অন্যের হাতে তুলে দেবার যে ঠান্ডা মতিষ্কের কারসাজি তা কাউকে বুঝতে না দেয়া স্বজন প্রীতিতার আড়ালে । স্পষ্ট ভাবে দেখতে গেলে দেশের অভ্যন্তরে যে ভারতীয় পণ্যের বাজার ,বাজার দখল করার ,করে দেবার যে প্রবণতা তা অনেক ক্ষেত্রেই অনেক দিক দিয়েই হয়ে আসছে। শাড়ি, লুঙ্গী, প্রসাধনী সামগ্রী ,ইলেকট্রনিক্স পণ্য, হালের আমলে নতুন সংযোজন সিনেমা ।
ভাষা ,রুচি, অভ্যাস, বৈশিষ্টতা সব সপে দেয়া ভারতের নিকট, তা অনেক আগে থেকেই আছে । সিনেমা যে ছিলো না তা কিন্তু না, সিনেমার বাজার বাকি ছিলো মাত্র । সেটাও দখলের পর্যায়ে । আমাদের নিজস্বতা, স্বকীয়তা আলাদা আলাদা দেখার কোন জায়গা নেই ভারতীয় এডাপটেশনের ভীড়ে । বাকি ছিলো ইতিহাস, বলার মতো নিজস্ব থাকলে সেটা ইতিহাস । সেটাও যে দখল করার চেষ্টা ভারতীয়রা করেনি তা কিন্তু নয় । হালের আমলের গুন্ডে বা যুদ্ধ শিশু সিনেমা দিয়ে ভারতীয় রা নিজেদের ইতিহাস, ইতিহাস দখল করার চেষ্টা করে যাচ্ছে । ভবিষ্যতে যে ইতিহাস দখল করবে না তা বলা খুবই কঠিন ।
আমরা দখল হয়ে যাচ্ছি , শিকার হয়ে যাচ্ছি । আমাদের পিছনে ফেরার পথ বা সামনে যাবার পথ নেই । একটি আমি শুধু চেয়েছি তোমায় সিনেমা দিয়ে দুই বাংলার মিলন হয়না,দুই বাংলার সাংস্কৃতি মিলে যায়না ।
দুই বাংলার মিলন নামের যে টাকা মেকিং বাজার দখল করার যে ষড়যন্ত্র তা ঘৃণার চোখে দেখি আমরা হে মাননীয়রা । (সংক্ষিপ্ত)