১৯৯১ সালে ২৯ শে এপ্রিল আমি ভোলা তজুমদ্দিন উপজেলার সরকারি কোয়াটারে। ঘূর্ণিঝড় চোখের সামনে! ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেট! ভোলা পুরোটাই ধ্বংস হয়ে যাবে, এই রকম গুজব সুজব শুনেছিলাম। আমাদের বাসাটা দোতলা ছিল! অঘোষিত সাইক্লোন সেন্টার হয়ে গেছিল আমাদের বাসা সেদিন! কোয়াটারের অনেক বাসা খালি করে, দোতলা বাসাগুলোতে সবাই উঠেছে। কিছু বাসা বাহিরের মানুষদের জন্যও দিয়ে দেয়া হয়েছে! সবাই আশ্রয় চায়! সরকারি সাইক্লোন সেন্টারে আর জায়গা নেই! বিভিন্ন জায়গায় লাল পতাকা খুঁটি টানানো! আমি চোখে দেখা, একটু পর পর রেড ক্রিসেন্ট এর পোশাক পরে সতর্কবাণী দিচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ভোলার উপর দিয়ে যাবে শুনেছিলাম। কিন্তু তা গেল চট্টগ্রাম এর উপর দিয়ে। ভোলাতে তার চিহ্ন দিয়ে গেছিল। সকালে উঠে দেখি, বৃষ্টি তোরে আমার দোতলার বাসায় সব কিছু ভিজে গেছে। পানির স্রোত ঘরে ঢুকে গেছিল। এটা ছিল বৃষ্টির পানি! যার ঝাঁপটা ছিল এতোই তীব্র! আমি তখন একটা শিশু, কিছু বুঝি কিছু বুঝি না! শুধু এটুকো বুঝেছিলাম, মহা বিপদ আমাদের সামনে এসেছিল!
সেই ভোলা আমার আরেকটি করুণ স্মৃতির স্বাক্ষী। সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু পরবারের উপর সেই ভয়ার্ত আক্রমণ, ভারতের বাবরি মসজিদ নিয়ে!!!
তবু একবার হলেও, ভোলায় যেতে ইচ্ছে করে...
ভালো থেকো ভোলা... ভালো থেকো তজুমদ্দিন!
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৫১